স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৮ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার ২৪ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
আরএমপির ৯ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
হোটেলে বসে জুয়া খেলাসহ অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ৯ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা ও কনষ্টেবলদের রাতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন কাশিয়াডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই মনির, বোয়ালিয়া মডেল থানার এএসআই বকুল হোসেন, পুলিশ লাইনের হাবিলদার বারেক আলী, হাবিলদার মিজানুর রহমান, কনস্টেবল আফজাল হোসেন, আব্দুস সালাম, ফরহাদ হোসেন, শাহেদ আলী, খগেন্দ্র নাথ, রফিক ও আব্দুল করিম।
আরএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টিএসআই মনিরকে চাঁদাবাজি ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে এবং এএসআই বকুল হোসেনকে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলসহ অন্যান্য গুরুতর অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
অন্যদিকে বুধবার গভীর রাতে হাবিলদার বারেক ও মিজানের নেতৃত্বে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা রাজশাহী কলেজের বিপরীতে হোটেল নিউক্যাসেলে বসে মদ্যপান করে জুয়া খেলছিলেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি অভিযানিক টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়ার উপকরণ ও টাকাসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে পুলিশ কমিশনারকে প্রতিবেদন দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ডোপ টেস্টের পর পুলিশ সার্জেন্ট সাময়িক বরখাস্ত
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রমাণ মেলায় নওগাঁ জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আতাউর রহমান নামের এক সার্জেন্টকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আকতার।
রকিবুল আকতার প্রথম আলোকে বলেন, মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করতে সারা দেশে ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি নওগাঁ জেলা পুলিশের বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়। তাঁদের মধ্যে নওগাঁ ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আতাউর রহমান নামের এক সার্জেন্টের মাদকাসক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের শনাক্তের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আরও বেশ কিছু পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এসবের ফল হাতে পৌঁছাবে। ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তের প্রমাণ মিললে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেশের মধ্যে নওগাঁর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও ইউনিটে কর্মরত পুলিশের মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নওগাঁয় পুলিশের মধ্যে মাদকাসক্তের হার বেশি বিবেচনায় ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে।
পুলিশ চায় সব উজি পিস্তল বাজেয়াপ্ত
গত কয়েক বছরে আমদানি হয়েছে ১১১টি অস্ত্র, বিক্রি ৫৩টি
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দেশে আমদানি করা, বিক্রি হওয়া এবং মজুদ থাকা সব উজি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করতে চায় পুলিশ সদর দপ্তর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি অস্ত্র আমদানির নীতিমালাবিরোধী সব ধরনের অস্ত্র দেশে আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশও করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২০ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মিনাল শরীফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ। পরে তার বাসা থেকে লাইসেন্স করা উজি পিস্তল জব্দ করা হয়। এর পরই সেমি অটোমেটিক এই অস্ত্র নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উজি পিস্তলের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এর পরই জানা যায়, শুধু ওই ব্যক্তির হাতেই নয়, ছয়টি অস্ত্র আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান আইনের অস্পষ্টতার সুযোগ নিয়ে ৯১টি উজি পিস্তল ও ২০টি উজি রাইফেল আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৪৯টি পিস্তল ও চারটি রাইফেল বিক্রিও হয়েছে।
ডিবি তদন্ত শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হলে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ওই তদন্ত শেষ করে পুলিশ সদর দপ্তর সম্প্রতি উজি পিস্তলের বিষয়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও আটটি সুপারিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব আমদানিকারক উজি রাইফেলের নামে উজি পিস্তল আমদানি করে বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কাস্টমস থেকে অস্ত্রের চালান খালাসের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টিমের উপস্থিতি ও পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সাধারণত পিস্তলে একটি ম্যাগাজিন ও আট রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা যায়। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও সেই ধরনের পিস্তল রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের তৈরি উজি পিস্তলে দুটি ম্যাগাজিনে ২০ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা যায়। এটি দেখতেও বেশ ভারী।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাংগীর আলম সমকালকে বলেন, ওই অস্ত্রগুলো আমদানি এবং বিক্রয়ে কী ধরনের ব্যত্যয় হয়েছিল তা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে বৈঠকও হয়েছে।
মাদক মামলার আসামির সঙ্গে এসআইয়ের ফোনালাপ তদন্তের নির্দেশ
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
গ্রেপ্তারের আগে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে ঢাকার দারুস সালাম থানার এসআই মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামানের ফোনালাপের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা মহনগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। মাদক মামলার আসামি মিরাজ হাওলাদার ওরফে সোহাগের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুজ্জামান বর্তমানে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্মরত। আদালতে আসামির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ জুন মিরাজ হাওলাদার ওরফে সোহাগ নামের এক বাস ম্যানেজারের কাছে হেরোইন ও ২১টি ইয়াবা উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী একটি মোবাইল কললিস্ট আদালতে দাখিল করেন, যেখানে এসআই রায়হানুজ্জামানের সঙ্গে আসামি সোহাগের কথোপকথন রয়েছে। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসআই রায়হানুজ্জামানেকে তলব করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আসামি সোহাগকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রায়হানুজ্জামান গতকাল আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। ব্যাখ্যায় তিনি আদালতে বলেন, আসামি সোহাগ তার ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করত। বিভিন্ন জায়গার মাদকের তথ্য দিত। সে বিষয়ে মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে কথা হতো।
৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমবায়: সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে পরিদর্শকের বাধা
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: গণমাধ্যম
জয়পুরহাট শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিনিময় আদর্শ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরিচালক সবুজ সরদার, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে জেলা সমবায় কার্যালয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ওই সমবায় সমিতির পরিচালক সবুজ সরদার উধাও হওয়ার তথ্য ও বক্তব্য সংগ্রহের সময় জেলা সমবায় অফিসারের রুমে এ ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাট জেলা সমবায় অফিসার ইসমাইল হোসেন সিরাজীর তথ্য ও ভিডিও বক্তব্য ধারণের সময় বাধা প্রদান করেন পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
জানা গেছে, সমবায় সমিতির সদস্য ও সাধারণ মানুষের কাছে এক লাখ টাকা এফডিআরে ২৬০০ টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সবুজ সরদার। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে তার মোবাইল বন্ধ। বাসায়ও তালা। এসব তথ্যের ভিত্তিতে জেলা সমবায় কার্যালয়ে সাংবাদিকরা জেলা কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ওই অফিসের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বক্তব্য প্রদানে বাধা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়বদ্ধ নেই আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে বলার। আমাদের দায়বদ্ধ আছে প্রধানমন্ত্রী, ১৬ কোটি মানুষের কাছে বলার’।
স্থানীয় অন্যান্য এনজিওকর্মী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সমবায় অফিস কিছুতে দায় এড়াতে পারেন না। তাদের মনিটরিং, অডিট কমিটি, সদস্য সব ঠিক আছে কিনা তা নিয়মিতভাবে দেখা হয় না। এ ঘটনায় সমবায় অফিসেরও যোগসাজশ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেন, ‘ওই পরিদর্শক একটু রগচটা। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর বিনিময় আদর্শ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক সবুজ সরদারের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Accused, Convicts, Fugitives of Non-Bailable Offences: No media can air, publish their comments: HC
The Daily Star
Category: Media
Referring to Ekattor TV allowing Proshanta Kumar Halder to participate in a live talk show and interview, the High Court has observed that no one accused or convicted of non-bailable, cognisable offences is entitled to any comment or interview through the media.
PK Halder, former managing director of NRB Global Bank, is a fugitive accused in a money-laundering case.
The HC also directed the private television channel to submit on January 10 the video clips of the interview and conversations PK Halder, who fled the country after allegedly siphoning off around Tk 10,200 crore from some non-banking financial institutions, had with the channel on December 28. “Our concrete and considered view is that the accused, the convict, the fugitive and convicted accused of non-bailable and cognisable offences who are wanted by the court are not entitled to make any comments or interviews before TV channels, electronic media, print media, social media or any other media in respect to the case during its pendency for trial and investigation because it may create confusion, affect the merit of the case and also lower the image and sanctity of the judiciary and the investigating agency,” the HC bench of Justice Md Nazrul Islam Talukder and Justice Ahmed Sohel said.
The HC bench made the observation in the full text of an order issued on December 30 last year following a petition filed by the Anti Corruption Commission (ACC) seeking necessary directives against the authorities concerned of Ekattor TV for allowing PK Halder to participate in a live talk show and broadcasting his interview.
The full text of the 56-page order was released yesterday. The HC judges said in the order that Ekattor TV’s action was a despicable act and contrary to the spirit of the law.
The HC bench said as per section 59 of the Criminal Procedure Code (CrPC), every person is bound to assist the court and the investigating agency to prevent the escape of someone accused of non-bailable and cognisable offences, and assist in the arrest if asked
আপনার মতামত জানানঃ