প্রত্নতত্ত্ববিদরা কৃষির উত্থান নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংকটের কথা এনেছেন যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুল। জনসংখ্যাবৃদ্ধি কমানো কিংবা খাদ্য সরবরাহ বাড়ানো এ দুইটির মধ্যে আমরা পরেরটিকে পছন্দ করেছি। ফলাফলে অনাহার, যুদ্ধ, ও নিপীড়নের মধ্যে এসে পড়েছি।
শিকারী-সংগ্রাহকরা মানব-ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও দীর্ঘস্থায়ী জীবনপ্রণালীর চর্চা করেছে। অন্যদিকে চাষাবাদ আমাদের একটা জগাখিচুড়ীর মধ্যে এনে ফেলেছে। আমরা চাষাবাদ নিয়ে টালমাতাল একটি পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এটা পরিস্কার না যে আমরা আদৌ কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারবো কি না।
সাধারণত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রাচীন মানুষের যে অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায় তা হলো কঙ্কাল। কঙ্কাল অনেক ধরনের অনুমানের জন্য সহায়ক। এ থেকে কঙ্কাল-মালিকের লিঙ্গ, ওজন ও আনুমানিক বয়স অনুমান করা যায়। পুরারোগবিদরা বিভিন্ন বয়সের কঙ্কাল মেপে বৃদ্ধির হার বের করতে পারেন, দাঁত পরীক্ষা করতে পারেন এনামেল-খুঁত বের করার জন্য (যা শৈশবের অপুষ্টির লক্ষণ), আর কঙ্কালে রক্তশূণ্যতা, যক্ষা, কুষ্ঠ ও অন্যান্য রোগ কর্তৃক রেখে যাওয়া ক্ষতচিহ্ন সনাক্ত করতে পারেন।
আদিম কঙ্কাল থেকে পুরারোগবিদরা যেসব তথ্য জেনেছেন তার একটি উদাহরণ হলো উচ্চতার ঐতিহাসিক পরিবর্তন। গ্রীস ও তুরস্কে পাওয়া কঙ্কালের নমুনা অনুযায়ী বরফ-যুগের শেষ দিকে শিকারী-সংগ্রাহকদের গড় উচ্চতা ছিলো পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫’৯” ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫’৫”। কৃষিকাজ শুরু করার পর উচ্চতা কমা শুরু করে, আর খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সালের দিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫’৩” ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫’ হয়ে যায়। ধ্রুপদী যুগে উচ্চতা আবার ধীরে ধীরে বাড়া শুরু করে, কিন্তু আধুনিক গ্রীক ও তুর্কীরা এখনো তাদের বহুপূর্বপুরুষদের গড় উচ্চতা পুনরুদ্ধার করতে পারেন নি।
পুরারোগবিদ্যার আরেকটি উদাহরণ হলো ইনিয়নিস ও ওহিয়ো নদী-উপত্যকায় রেড-ইন্ডিয়ানদের সমাধি-ঢিবি থেকে পাওয়া কঙ্কালের নিরীক্ষা। স্পুন ও ইলিনয়িস নদীর সংযোগস্থলে ডিকসন ঢিবি থেকে প্রত্নতাত্বিকরা ৮০০টির মতো কঙ্কাল খুঁড়ে বের করেছেন। একটি শিকারী-সংগ্রাহক সমাজ যখন ব্যাপক ভুট্টাচাষে মনোযোগী হচ্ছে ঠিক সে সময় স্বাস্থ্য-অবস্থার পরিবর্তনের কী রকম হয় তার ছবি পাওয়া যায় এ কঙ্কাল নমুনা থেকে।
ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জ আর্মেলাগোস ও সহকর্মীদের সম্পাদিত গবেষণায় দেখা যায়, প্রথমদিকের কৃষকদের তাদের নতুন-প্রাপ্ত জীবিকার জন্য কড়া মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছিলো। পূর্ববর্তী শিকারী-সংগ্রাহকদের তুলনায় সেই নতুন-কৃষকদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় বেড়ে যায় প্রায় ৫০ শতাংশ। এটি পুষ্টিহীনতার নির্দেশক। এছাড়া লোহার অভাবজনিত রক্তশূণ্যতা বেড়ে যায় চারগুণ – হাড়ের পোরোটিক হাইপারোস্টোসিস নামক বিশেষ অবস্থা দিয়ে এটা বোঝা যায়। হাড়ে ক্ষয় বেড়ে যায় তিন গুণ যা সংক্রামক রোগের নির্দেশক এবং বেড়ে যায় মেরুদন্ডের ভগ্নদশা, যা সম্ভবত কঠিন শারিরীক পরিশ্রমের ফলাফল।
আমেরিকান নৃ বিজ্ঞানী জর্জ জে. আর্মালাগোস বলেন- “প্রাক–কৃষি সমাজে গড় আয়ু ছিলো ছাব্বিশ বছর, কিন্তু উত্তর–কৃষি সমাজে তা হয়ে যায় উনিশ বছর। তার মানে এসব পুষ্টি–সংক্রান্ত চাপ ও সংক্রামক রোগ তাদের বেঁচে থাকার ক্ষমতাকে ভীষণভাবে বাধাগ্রস্থ করছিলো।”
সাক্ষ্য-প্রমাণ বলছে অন্যান্য আদিম জনগোষ্ঠীর মতো ডিকেন্স ঢিবির ইন্ডিয়ানরা ঐচ্ছিকভাবে কৃষিকাজ বেছে নেয় নি। বরং ক্রমাগত বাড়তে থাকা সদস্যদের খাওয়ানোর প্রয়োজনে এ পথে এসেছে। আর্মালাগোসের সাথে এ বিষয়ের অন্যতম মৌলিক বই “Paleopathology at the Origins of Agriculture”-র সহঃসম্পাদক নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির (প্ল্যাটসবার্গ) মার্ক কোহেন মনে করেন, “আমার মনে হয় না বাধ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ শিকারী-সংগ্রাহকরা কৃষিকাজ শুরু করে, আর যখন তারা জীবিকা কৃষিকাজে বদলালো তারা গুণের বদলে পরিমাণ বিনিময় করলো। যখন আমি দশ বছর আগে এই যুক্তি দেই, খুব বেশি মানুষ আমার সাথে একমত হন নি। এখন এটি এই বিতর্কের একটি সম্মানীত অংশ, যদিও তর্কযোগ্য।”
কৃষিকাজ স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ ছিলো এই আবিষ্কারের পেছনে অন্তত তিন ধরনের কারণ ব্যাখ্যা দেয়া যায়। প্রথমত, শিকারী-সংগ্রাহকরা বৈচিত্র্যময় খাবার খেত। অন্যদিকে আদি কৃষকরা তাদের অধিকাংশ খাবারই পেত একটি বা কয়েকটি স্টার্চ-শর্করা সমৃদ্ধ শস্য থেকে। সে কৃষকরা অপুষ্টির বিনিময়ে সস্তা ক্যালরি পেতেন। বর্তমানে মাত্র তিনটি উচ্চ-শর্করা উদ্ভিদ গম, ধান ও ভুট্টা মানুষকে অধিকাংশ ক্যালরী-শক্তি সরবরাহ করে। যদিও এগুলোতে জীবনের জন্য জরুরী কিছু ভিটামিন বা অ্যামিনো এসিড অনুপস্থিত)।
দ্বিতীয়ত, অল্প কয়েকটি শস্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় কৃষকরা কোনো বছর ঠিকমতো ফলন না হলে অনাহারের ঝুঁকি নিতেন।
তৃতীয়ত, কৃষিকাজ মানুষকে ঘনবসতিপূর্ণ সমাজে বসবাস করতে উৎসাহতি করেছিলো। এসব সমাজের অনেকেই আবার বাইরের সমাজের সাথে বাণিজ্য-বিনিময় করতো। এর ফলে পরজীবি ও সংক্রামক রোগ ছড়ানো শুরু করলো।
কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিদ মনে করেন- কৃষি নয়, বরং ঘনবসতিই রোগ-ব্যাধী ছড়ানোর মূল নিয়ামক ছিলো। কিন্তু এটা আসলে ডিম আগে না মুরগী আগে ধরনের বিতর্ক। কারণ, ঘনবসতি কৃষিকাজ উৎসাহিত করেছিলো ও বিপরীতক্রমে কৃষি ঘনবসতিকে। জনসংখ্যা ছোট ছোট দলে ছড়ানো-ছিটানো থাকলে মহামারী কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। যক্ষা ও উদরাময় জনিত রোগব্যাধীকে তাই কৃষিকাজের শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। হাম ও বিউবোনিক প্লেগকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বড় নগর আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত।
অপুষ্টি, অনাহার ও সংক্রামক রোগের পাশাপাশি কৃষিকাজ শ্রেণী-বিভাজনের করুণ অভিশাপ নিয়ে আসে মনুষ্যত্বের উপর। শিকারী-সংগ্রাহকরা সামান্য পরিমাণে খাবার সংরক্ষণ করতে পারতো। কিংবা একেবারেই পারতো না। আর বাগান বা গরুর পালের মতো কোন ঘনীভুত খাদ্য-উৎস ছিলো না। তারা প্রতিদিন বনজ উদ্ভিদ ও বুনোপশু সংগ্রহ বা শিকারের মাধ্যমে খেয়ে-পরে বাঁচতো। এ কারণে তাদের কোন রাজা ছিলো না, ছিলো না কোন সামাজিক পরজীবী-শ্রেণী – যারা বাকিদের কাছ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে গায়ে চর্বি জমাতো।
একমাত্র কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠিতেই এরকম অনুৎপাদনশীল বনেদী শ্রেণী তরতাজা অবস্থায় ব্যাধি-নিপীড়ীত জনগণের শীর্ষে অবস্থান করতে পারতো। মাইসিনিয়ায় ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বে গ্রীক সমাধিস্থল থেকে পাওয়া কঙ্কাল সাক্ষ্য দেয় যে- সমাজের উচ্চ শ্রেণী জনসাধারণের চেয়ে ভালো খাবার খেত। কারণ তাদের কঙ্কাল গড়ে দুই বা তিন ইঞ্চি লম্বা। এছাড়া দাঁতের অবস্থাও বেশ ভালো। যেখানে গড়পড়তায় উচ্চশ্রেনীর একটি দন্তক্ষয় বা পড়েছে, সেখানে সাধারণের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ছয়। ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বের চিলির মমিদের মাঝে বনেদী-ঘরানার সদস্যদের শুধু অলঙ্কার ও চুলের-ক্লিপের অস্তিত্ব দিয়েই নয়, বরং হাড়ে বিভিন্ন রোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষতের কম সংখ্যা দিয়েও আলাদা করা হয়েছিলো।
এখন বিশ্বজুড়ে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একই রকমের বৈষম্য লক্ষ্যণীয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশে শিকার-সংগ্রহকে উৎকৃষ্ট বলে জয়গান করাটা হাস্যকর শোনাবে। আমেরিকার অভিজাতশ্রেণীর লোক যারা পুষ্টি ও স্বাস্থ্যখাতে দরিদ্র দেশ থেকে আমদানী করা তেল ও খনিজের উপর নির্ভরশীল। যদি কাউকে ইথিওপিয়ার হালচাষী কিংবা কালাহারি মরুভূমির বুশম্যান গোষ্ঠীর সংগ্রাহক জীবনপ্রণালী বেছে নিতে বলা হয়, কোনটি উত্তম পছন্দ বলে আপনি মনে করেন?
চাষাবাদ সম্ভবত দুই লিঙ্গের অসমতাকেও উৎসাহিত করেছে। চাষাবাদের ফলে নারীরা যাযাবর জীবনে শিশু পরিবহনের প্রয়োজন থেকে মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু ক্ষেত-চাষের দরকারে আরো হাত তৈরির চাপে কৃষক-সমাজের নারীরা শিকারী-সংগ্রাহক সমাজের চাইতে অধিক হারে গর্ভধারণ করতেন। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্যের অবনতিও ঘটতো। চিলির মমির হাড়ে সংক্রামক রোগ জনিত ক্ষত পুরুষদের চাইতে নারীদের মধ্যে অধিক সংখ্যায় দেখা গেছে।
কৃষিকাজের ফলে অবসরের ফাঁক তৈরি হয়ে শিল্পকলার বিকাশ ঘটাতে উৎসাহিত করেছে – এমন দাবীর ক্ষেত্রেও বিপরীত ব্যাখ্যা রয়েছে। অধিকাংশ শিকারী-সংগ্রাহকরা কৃষকের মতো অন্ততঃ একই রকম অবকাশ পেতেন। অবসর সময়কে এতোটা গুরুত্ব দেয়াকে মানুষকে ভুলপথে পরিচালিত করা হয়েছে বলে মনে করি। গরিলাদেরও নিজস্ব পার্থিয়ন-প্রাসাদ নির্মানের জন্য যথেষ্ট অবসর সময় আছে, যদি তারা সেটা তৈরি করতে চায়। যদিও কৃষি-উত্তর সময়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে নতুন নতুন শিল্পরূপ তৈরি ও সংরক্ষণ সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শিকারী-সংগ্রাহকরা ১৫,০০০ বছর আগেই দারুণ সব চিত্রাংকন ও ভাষ্কর্য তৈরি করেছিলো। এস্কিমো ও উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ইন্ডিয়ানদের মতো শিকারী-সংগ্রাহকরা গত শতাব্দীতেও এ ধরনের শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন।
আসলে কৃষির উৎকর্ষের সাথে সাথে অভিজাতদের উন্নতি হলেও বেশিরভাগ মানুষের দূর্দশা বেড়েছে। তাই প্রগতিবাদী চিন্তাধারা অনুযায়ী “আমরা কৃষি চয়ন করছি কারণ তা আমাদের জন্য ভালো ছিলো” ভাষ্যটি না গিলে বরং প্রশ্ন করা যাক কৃষির অনেক বিপদ থাকলেও কেন আমরা এ জীবনধারার মধ্যে আটকা পড়ে গেলাম।
এর একটি ব্যাখ্যা ‘জোর যার মুল্লুক তার’ প্রবাদটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। শিকার-সংগ্রহের চেয়ে কৃষিকাজ অধিক সংখ্যক মানুষকে ভরণপোষণ করতে পারে। যদিও কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় জীবন-যাপনের মান কমে যায়। শিকারী-সংগ্রাহকদের বেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি দশ বর্গ মাইলে গড়ে একজনের চেয়ে বেশি খুব কম ক্ষেত্রেই ছিলো। কৃষকদের ক্ষেত্রে তা একশ গুন বেশি। এর আংশিক কারণ হলো জমিতে শুধু একধরনের শস্যের চাষাবাদ করে অনেকগুলো মুখের খাবার যোগান দেয়। যে খাবার একটি বনে ছড়িয়ে থাকা ভক্ষণযোগ্য উদ্ভিদের চেয়ে অনেক বেশি। অন্য কারণটি হলো যাযাবর জীবনের জন্য শিকারী-সংগ্রাহকদের চার বছর সময় ধরে বাচ্চা নেওয়া বন্ধ রাখতে হত শিশুহত্যা ও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে। কারণ মাকে অবশ্যই তার শিশুকে বহন করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বড়দের সাথে চলার মতো বয়সে পৌছায়। কৃষক-সমাজে নারীদের এরকম কোন বাঁধা ছিলো না। তাই তারা দুই বছর পর পর বাচ্চা নিতে পারতো।
মূলত, বরফ যুগের শেষ দিকে কৃষিতে যুক্ত হওয়া দলের সদস্য-সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে তারা তখন শিকারী-সংগ্রাহক রয়ে যাওয়া দলগুলোকে হটিয়ে দেয়। এমন কি হত্যাও করে ফেলে। কারণ শ’খানেক অপুষ্টিতে ভোগা কৃষক একজন স্বাস্থ্যবান শিকারীকে হারিয়ে দিতে পারে। এমন নয় যে শিকারী-সংগ্রাহকরা তাদের জীবন-পদ্ধতি বর্জন করেছে। বরং যারা বর্জন না করার মতো যথেষ্ট বিচক্ষণ ছিলেন তাদেরকে প্রায় সব জায়গা থেকেই ঝেঁটিয়ে বিদায় দেয়া হয়েছে।
উপসংহারে বলা যায়, শিকারী-সংগ্রাহকরা মানব-ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও দীর্ঘস্থায়ী জীবনপ্রণালীর চর্চা করেছে। অন্যদিকে চাষাবাদ আমাদের একটা জগাখিচুড়ীর মধ্যে এনে ফেলেছে। আমরা চাষাবাদ নিয়ে টালমাতাল একটি পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এটা পরিস্কার না যে আমরা আদৌ কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারবো কি না।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭২০
আপনার মতামত জানানঃ