ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে বিষাদময় ঘটনাগুলোর একটি হলো আল-আন্দালুস বা মুসলিম স্পেনের পতন। শত শত বছর ধরে আইবেরিয়া উপদ্বীপ ছিল মুসলিম অধ্যুষিত ও মুসলিম শাসনাধীন এক মুসলিম ভূমি। আল-আন্দালুসের স্বর্ণযুগে এর মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৫০ লক্ষেরও বেশী এবং তারাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম শাসকরা (ইসলামী) বিশ্বাস ও জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সেখানে তৈরী করেছিলেন এক উন্নত ও অগ্রগামী সভ্যতা।
১০ম শতকে আল-আন্দালুসের রাজধানী কর্ডোবায় ছিল শান বাঁধানো রাস্তাঘাট, হাসপাতাল এবং শহরজুড়ে রাস্তাঘাটে ছিল বাতির ব্যবস্থা। এসময় খ্রিস্টান ইউরোপের সর্ববৃহৎ লাইব্রেরীতে বই ছিল যেখানে মাত্র ৬০০ টি, সেখানে কর্ডোবার ক্যালিগ্রাফারগণ বছরে ৬০০০ টি বই তৈরী করতেন। ইউরোপ ও আফ্রিকার সংস্কৃতির মিশ্রণে শান্তিপূর্ণ এক সমাজ গড়ে উঠেছিল আল-আন্দালুসে, যেখানে শান্তিময় সহাবস্থান ছিল মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর।
প্রায় স্বপ্নসম সেই সমাজ আজীবন টেকেনি। কারণ স্পেনের ক্যাথোলিক রাজাদের পরিচালিত তথাকথিত “রিকনকুইস্তা” বা পুনর্দখল আন্দোলনের ব্যপ্তি ঘটতে থাকে ১১শ থেকে ১৫শ শতাব্দী পর্যন্ত। ফলে স্পেনের মুসলিমরা একঘরে হয়ে পড়ে। ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে যখন আইবেরিয়ার সর্বশেষ মুসলিম রাজ্য- গ্রানাদার পতন হয় তখন স্পেনের মুসলিমরা এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়, যা ছিল — গণহত্যা।
[রিকনকুইস্তা (Reconquista) হচ্ছে একটি স্পেনীয় ও পর্তুগীজ শব্দ যার ইংরেজি হচ্ছে Reconquest (অর্থঃ পুনর্দখল)। ঐতিহাসিকরা ৭১৮ বা ৭২২ থেকে ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৭৭০ বছরের সময়কালকে “রিকনকুইস্তা” হিসেবে অভিহিত করে থাকেন, যা মূলত খ্রিস্টানদের স্পেন পুনর্বিজয়ের আন্দোলনকে বুঝানো হয়।]
১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে গ্রানাদার পতনের পর বেশীরভাগ মুসলিমই এই পরিস্থিতিকে সাময়িক এবং সামান্য বাধা-বিপত্তি হিসেবে ধরে নিয়েছিল। তারা ভেবেছিল আফ্রিকা থেকে শীঘ্রই মুসলিম বাহিনী এসে গ্রানাদা পুনর্বিজয় করবে এবং একটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে মুসলিম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। যদিও নতুন স্পেনীয় শাসক — ফার্দিনান্দ এবং ইসাবেলার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন কিছু।
প্রথমেই ধর্মীয় ব্যাপারে তারা তাদের লক্ষ্য পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করে। ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে স্পেনের শাসকরা এক ফরমান জারী করে যার মাধ্যমে কার্যকরভাবে স্পেনের সকল ইহুদিদেরকে স্পেন থেকে বিতারণ করতে সক্ষম হয়। শত শত হাজার হাজার ইহুদিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয় যাদের বেশিরভাগই ওসমানী সাম্রাজ্যে চলে যায়। ওসমানী সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদ তার গোটা নৌবাহিনীকে স্পেনে পাঠান ইহুদিদেরকে উদ্ধার করে ইস্তানবুলে নিয়ে আসার জন্য যাতে স্পেনে তাদের জন্য যে গণহত্যা অপেক্ষা করছিল তা তারা এড়াতে পারে।
মুসলিমদের ব্যাপারে স্প্যানিশদের নীতিও খুব একটা ভিন্ন ছিলনা। ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে গোটা স্পেনজুড়ে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লক্ষের মতো। তাদের উপর থেকে মুসলিম রাষ্ট্রের নিরপত্তার ছায়া সরে যাওয়ার পর ক্যাথোলিক চার্চ সকল মুসলিমকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপারটা গুরুত্বসহকারে নেয়।
প্রাথমিকভাবে ঘুষপ্রদানের মাধ্যমে মুসলিমদেরকে খ্রিস্টান করার চেষ্টা করা হয়। সকল ধর্মান্তরিত ব্যক্তিকে উপহার, টাকা-পয়সা এবং জমি দেয়া হতো। তবে বেশিরভাগই উপহার পাওয়ার পর পুনরায় ইসলাম ধর্মে ফিরে যেত। ফলে ঘুষপ্রদানের মাধ্যমে খ্রিস্টান করার এই প্রকল্প ব্যর্থ হয়।
১৫শ শতকের শেষদিকে এটা যখন পরিষ্কার হয়ে যায় যে স্পেনের মুসলিমরা সম্পদের চেয়ে তাদের বিশ্বাসের প্রতি বেশী অনুরাগী, তখন স্পেনের শাসকরা এক নতুন পন্থা অবলম্বন করে। ধর্মান্তরিকরণ প্রক্রিয়া “তরান্বিত করতে” ১৪৯৯ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথোলিক চার্চের একজন কার্ডিনাল ‘ফ্রান্সিস্কো জিমেনেয দে চিস্যারনজ’ কে দক্ষিণ স্পেনে পাঠানো হয়। চিস্যারনজের পদ্ধতি ছিল ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত মুসলিমদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাওয়া।
শুধুমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত বইসমূহ ছাড়া, তখনকার আরবীতে লিখিত সকল বইপত্র ও পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে ফেলা হয়। যেসব মুসলিম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায় তাদেরকে কোন কারণ ছাড়াই জেলে পাঠানো হয়। এরপর ধর্মান্তরিকরণের জন্য তাদের উপর চালানো হয় অমানসিক নির্যাতন, বাজেয়াপ্ত করা হয় তাদের সকল জায়গা-সম্পত্তি। চিস্যারনজ এর নীতি ছিল এরকমঃ
“যদি অবিশ্বাসীদেরকে (মুসলিমদেরকে) মুক্তির পথে (খ্রিস্টান ধর্মে) আকৃষ্ট করা না যায় তবে তাদেরকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে মুক্তির পথে আনতে হবে।”
তার এই জুলুম-নির্যাতন ও হয়রানি শীঘ্রই স্পেনের খ্রিস্টান রাজাদের জন্য এক অপ্রত্যাশিত ঝামেলার সৃষ্টি করে। স্পেনের মুসলিমরা এই নির্যাতন বন্ধ করতে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করে। বিশেষ করে গ্রানাদার মুসলিমরা সর্বসমক্ষে রাস্তায় রাস্তায় বিদ্রোহ করে এবং ক্যাথোলিক খ্রিস্টানদের অত্যাচারী শাসনের পতন ঘটিয়ে নতুন এক মুসলিম রাষ্ট্র সৃষ্টির হুমকি দেয়। তবে স্পেনের রাজা ও রাণীরা মধ্যস্থতা করে চিস্যারনজের পক্ষ নেয়। তারা গ্রানাদার বিদ্রোহীদেরকে দু’টি পথ থেকে যেকোন একটি পথ বেছে নিতে বলে — ধর্মান্তর অথবা মৃত্যুদণ্ড। গ্রানাদার প্রায় সকল মুসলিম বাইরে বাইরে ধর্মত্যাগে রাজী হলেও ভেতর ভেতর গোপনে ইসলামকেই নিজেদের প্রকৃত ধর্ম হিসেবে ধরে রাখে।
অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে গোটা গ্রানাদাজুড়ে মুসলিম শহরগুলোতে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠে। তারা দক্ষিণ স্পেনের ‘লা আলপুহারা’ নামক এক পাথুড়ে পর্বতমালায় আশ্রয় নেয় যার ফলে খ্রিস্টান কর্তৃপক্ষের জন্য তাদেরকে নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের সুস্পষ্ট কোন পরিকল্পনা ছিলনা কিংবা কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও ছিলনা। তারা শুধুমাত্র ইসলামী বিশ্বাসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খ্রিস্টান শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
যেহেতু গ্রানাদার জনসংখ্যার প্রায় সকলেই ছিল মুসলিম, তাই বিদ্রোহটা রক্ষণাত্মক রূপ ধারণ করে। খ্রিস্টান সৈন্যরা নিয়মিত মুসলিম শহরগুলোতে আক্রমণ করতো সেখানকার অধিবাসীদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে। মুসলিম বিদ্রোহীরা যেহেতু খ্রিস্টান সৈন্যদের মতো অস্ত্রসত্রে সজ্জিত ছিলনা কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলনা, তাই তারা সবসময় আক্রমণের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে পারতোনা। গ্রামবাসীদের গণহত্যা এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ ছিল খুবই নিয়মিত ঘটনা।
১৫০২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিদ্রোহ ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে যায় এবং সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যায়। রাণী ইসাবেলা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়– স্পেনের মাটিরে আর কোন মুসলিমের অস্তিত্ব সহ্য করা হবেনা। এর ফলে, সকল মুসলিমকে হয় সরকারীভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করতে হবে, নাহয় স্পেন ত্যাগ অথবা মৃত্যু থেকে যেকোন একটি বেছে নিতে হবে। অনেকেই উত্তর আফ্রিকায় পালিয়ে যায় অথবা লড়াই করে শাহাদাত বরণ করে। তবে বেশিরভাগই সরকারীভাবে খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করে, তবে ভেতরে ভেতরে তাদের প্রকৃত বিশ্বাস গোপন করে রাখে।
স্পেনের মুসলিম জনগোষ্ঠী আত্মগোপন করে ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে তাদেরকে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ড স্পেনীয় কর্তৃপক্ষের থেকে গোপন রাখতে হতো। এসকল “ধর্মান্তরিত” মুসলিমরা স্পেনীয়দের কাছে “মরিস্কো” হিসেবে পরিচিত ছিল এবং তাদেরকে খুব তীক্ষ্ণ নজরদারীতে রাখা হতো।
স্পেনীয় সরকার মরিস্কোদের ব্যাপারে কড়া নিয়মকানুন আরোপ করেছিল যেন তারা কিছুতেই গোপনে ইসলাম ধর্ম পালন করতে না পারে, যদিও অনেকেই তা করছিল। মরিস্কোদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে দরজা খোলা রাখতে হতো যাতে বাড়ির সামনে টহলরত সৈন্যরা যেকোন সময় ঘরে প্রবেশ করে নিশ্চিত করতে পারে মরিস্কোরা গোসল করছেনা, কেননা মুসলিমদেরকে শুক্রবার জুম’আ নামাজের আগে গোসল করতে হয়। কোন মুসলিমকে কুরআন পাঠরত অবস্থায় পাওয়া গেলে কিংবা অজু করতে দেখা গেলে সাথে সাথে হত্যা করা হতো। একারণে তাদেরকে নানা উপায়ে গোপনে ধর্ম পালনের সুযোগ খুঁজতে হতো এবং সর্বদাই তারা ধরা পড়ার ভয়ে ভীত থাকত।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখেও মরিস্কোরা তাদের ধর্ম আঁকড়ে ধরে রাখে যুগের পর যুগ। যদিও ইসলামের সামাজিক কর্মকাণ্ডসমূহ যেমন জামাতে নামাজ, যাকাত প্রদান এবং মক্কায় হজ্ব পালন নিষিদ্ধ ছিল, তারপরও তারা গোপনে তাদের ধর্ম পালন করে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
মরিস্কোরা ইসলাম ধর্মচর্চার ব্যাপারটি গোপন রাখার সর্বাত্মক চেষ্টার পরও খ্রিস্টান রাজারা ইসলামের ব্যাপারে তাদের আনুগত্যের ব্যাপারে সন্দেহ করতে থাকে। ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে, আল-আন্দালুসের মুসলিমরা আত্মগোপন করার ১০০ বছরেরও বেশী সময় পর স্পেনের রাজা ফিলিপ সকল মরিস্কোকে স্পেন থেকে উচ্ছেদ করার ফরমান জারি করে। তাদেরকে মাত্র ৩ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়, এর মধ্যেই সকল প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র গুছিয়ে উত্তর আফ্রিকা অথবা ওসমানী সাম্রাজ্যগামী জাহাজে আরোহণ করতে বলা হয়।
এসময় যাত্রাপথে খ্রিস্টানরা প্রতিনিয়ত মরিস্কোদের হয়রানি করতে থাকে, তাদের সম্পদ লুট করে নেয় এবং মুসলিম শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে যায় যাতে পরবর্তীতে তাদেরকে খ্রিস্টান হিসেবে বড় করা যায়। সৈন্য ও জনসাধারণ অনেক মরিস্কোকে খেলাচ্ছলে হত্যা পর্যন্ত করে। শুধু তাই নয়, যেসব মরিস্কো জাহাজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল, সেখানেও তারা আক্রমণের শিকার হয়। জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠানো হলেও অপমানজনকভাবে জাহাজে তাদের কাছ থেকে ভাড়া প্রত্যাশা করা হয়। এছাড়াও অনেক নাবিক মরিস্কোদের ধর্ষণ ও হত্যা করে এবং তাদের ধন সম্পদ কেড়ে নেয়।
তবে এই পরিস্থিতিতে মরিস্কোরা আবার প্রকাশ্যে তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ পায়। ১০০ বছরেরও বেশী সময় পর প্রথমবারের মতো মুসলিমরা প্রকাশ্যে নামাজ পড়ে। স্পেনের মুসলিমরা তাদের জন্মভূমি ছেড়ে যাবার প্রাক্কালে স্পেনের পাহাড় এবং সমতলভূমিজুড়ে আজানের ধ্বনি আরো একবার প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।
১৬১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সর্বশেষ মরিস্কো স্পেন থেকে বিতাড়িত হয়, আর আইবেরিয়া উপদ্বীপ থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ১০০ বছরের মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশী মুসলিম থেকে কমতে কমতে শূন্যে চলে আসাকে শুধুমাত্র গণহত্যা হিসেবেই অভিহিত করা যায়। পর্তুগীজ ডোমিনিকান পাদ্রী- ‘ডেমিয়ান ফনসেকা’ এই নির্বাসনকে “মনোরম হত্যাকাণ্ড” হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। স্পেনে এর প্রভাবও অত্যন্ত গুরুতর ছিল। শ্রমশক্তির বিরাট অংশ চলে যাওয়ায় অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কমে যায় আদায়কৃত করের পরিমাণ।
উত্তর আফ্রিকায় মুসলিম শাসকগণ শত-সহস্র শরণার্থীদের সহায়তা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা তেমন কিছু করতে পারেননি। উত্তর আফ্রিকার মরিস্কোরা শত বছর ধরে সেই সমাজের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাদের নিজেদের অনন্য আন্দালুসিয়ার পরিচয়টিও ধরে রেখেছেন।
আজও উত্তর আফ্রিকার প্রধান শহরগুলোর উপকণ্ঠে বসবাসরত মরিস্কোরা তাদের পরিচয় নিয়ে গর্ববোধ করে। এর মাধ্যমে তারা বাঁচিয়ে রেখেছে মুসলিম স্পেনের সোনালী অধ্যায়ের স্মৃতিগুলো। তারা আমাদেরকে আইবেরিয়া উপদ্বীপের বর্ণাঢ্য ইতিহাসগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। আরো মনে করিয়ে দেয় তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার করুণ ঘটনাবলী, যেগুলো সবই ছিল ইউরোপের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য এক গণহত্যার অংশ।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭১৭
আপনার মতামত জানানঃ