আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৫/১৬ মাস বাকি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে কেউ যাতে রাজপথে নেমে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা কিংবা অগ্নিসংযোগসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি তালিকা করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। যে তালিকা অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে ২০১৮ এর নির্বাচনকালীন সময়ের মতোই গ্রেপ্তার করা হবে বিএনপি নেতাদের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে তালিকা তৈরী করা হয়ছিল, সেই তালিকাটি গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে আমাদের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদনের সাথে সিলেট বিভাগের জেলাওয়ারী তালিকাটি এখানে সংযুক্ত করা হল। সংশ্লিষ্ট সুত্র বলছে এই তালিকা ধরেই এবারের তালিকা তৈরী করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরপুর জোনের একটি থানার একজন ওসি (তদন্ত) জানান, বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এরই মধ্যে তারা জোগাড় করেছেন। এদের কার বিরুদ্ধে কতটি মামলা রয়েছে, কোনো মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কি না এবং কে কোথায় অবস্থান করছেন- সে তথ্যও তাদের হাতে রয়েছে। ক্যাটাগরিওয়াইজ নেতাদের তিন ভাগে ভাগ করে সে তালিকা প্রতিটি থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে বণ্টন করে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের কোনো সক্রিয় নেতা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কারও ঘাড়ে ভর করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কি না তা খুঁজে বের করারও নির্দেশনা রয়েছে। বিগত সময়ে বোমাবাজি, নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত কোনো ক্যাডারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা ছাড়িয়ে নেওয়ার তদবির করলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই আবর্তিত হবে আগামী কয়েক মাসের রাজনীতি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পালা দিয়ে জোরদার হবে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে সরকার মূলত প্রশাসনকে দিয়ে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখতে চাইছে। কৌশলে নির্যাতনের খড়গ নামিয়ে আনতে চাইছে।
যা যা উল্লেখ থাকবে তালিকায়
রাজধানীতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকার প্রতিটি থানা ও পাড়া-মহল্লাভিত্তিক নেতা-কর্মীর নাম-ঠিকানা; বিভিন্ন কমিটিতে পদ, পদবি ও মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে তালিকা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই তালিকা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্র বলছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে কেউ যাতে নাশকতা চালাতে না পারেন, আবার নাশকতার কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্যই এই তালিকা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলের নেতারা মনে করছেন, বিরোধী দলকে দমনপীড়ন, নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় এবং মামলার আসামি করার জন্য নির্বাচনের আগে এই তালিকা করা হচ্ছে।
ডিএমপির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থানা, ওয়ার্ড ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং পাড়া-মহল্লা পর্যায় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা করা হচ্ছে। বড় দল হিসেবে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় বলা হয়, পাড়া-মহল্লাভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে তাঁদের ব্যাপারে আগাম তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি থানায় মহল্লাভিত্তিক কমিটির তালিকা সংগ্রহ করতে হবে। কমিটির সদস্যদের পদ, পদবি, নাম ও মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহে রাখতে হবে। কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে অনেক মামলা হয়। কোনো কোনো মামলায় মৃত ব্যক্তি এবং বিদেশে রয়েছেন এমন নেতা-কর্মীদেরও আসামি করা হয়েছিল। এ নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা ইস্যুতে গত ২২ আগস্ট থেকে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাদের এ কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতময় হয়ে উঠেছে মাঠের রাজনীতি। দলটির অভিযোগ, রাজধানীতে বাঁধাহীন কর্মসূচি পালন করতে পারলেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে তাদের পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কখনো পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হচ্ছে; আবার কখনো সংঘর্ষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
কোথাও কোথাও হয়েছে বড় ধরনের সংঘর্ষও। এর মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছেন বিএনপি’র তিন কর্মী। এসব ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। আর বেশির ভাগ মামলার আসামি করা হয়েছে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের। এভাবে পুরনো মামলার সঙ্গে নতুন মামলার জালে বিএনপি নেতাকর্মীরা আটকে যাচ্ছে বলে দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করেছেন।
দলটির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে সারা দেশে দলটির প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানেই নামছে সেখানেই পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা হামলা করছে। আবার তারাই মামলা দিচ্ছে, ঘরবাড়ি ছাড়া করছে।
গয়েশ্বর বলেন, ‘পুলিশ এসব করার সুযোগ পাচ্ছে কারণ তাদের অধিকার আছে। পুলিশ যখন যা বলছে তাই সত্য। পুলিশের সরকার, তারা যেভাবে পারবে সরকারকে টিকিয়ে রাখবে, এটাই বাস্তবতা।’
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি ও দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে নেতাকর্মীদের নতুন করে গ্রেপ্তার ও মামলার জালে আটকানো হচ্ছে। অনেক এলাকায় মামলার আগেই নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপিকে জড়ানোর কৌশল হিসেবে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। যাদের নামে মামলা নেই, তাদেরও আটক করে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের তালিকা করে তাদের বাসায় প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন
অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আতঙ্কে এবং পালিয়ে রয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলকে দমনপীড়ন, নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামি করা হচ্ছে। আমরা তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছি।’
নির্বাচনের আগে বাড়তে পারে গুমের ঘটনা
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা কমে গেছে মনে হলেও আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। নিষেধাজ্ঞা কিছুটা কমে গেলে এবং আগামী ’২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও ভয়াবহভাবে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বাড়তে পারে।
দেশে গুমগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। যারা গুমের শিকার হয়েছেন তাদের কয়েকজন ফিরে এলেও তারা ভয়ে কোনো কথা বলেন না। গুমের মাধ্যমে দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। গত নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন গুম হওয়ার ভয়ে অনিয়ম দেখেও তারা কোনো বাধা দিতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কমে গেলেও আগামী নির্বাচনের আগে আবারও গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর গুম কমেছে। এই পরিণাম আরও ভয়াবহ। কেননা সরকার জনগণের কথা চিন্তা করেনি। বরং সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যক্তিগত ক্ষতির আশঙ্কা থেকে গুমের ঘটনাকে কমিয়ে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ভূরাজনৈতিক কারণে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশে আবার গুমের মতো ঘটনা ঘটবে।
২০১৮-এর নির্বাচনে ছিল একই চিত্র
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের ৭/৮দিন আগে থেকে সরকার ঠিক এমন ভাবেই মিথ্যা, সাজানো, গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু করেছিল। ওই নির্বাচনের আগে বিএনপির সামনে ছিল মামলার পাহাড়। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতাই ছিল মামলার জালে বন্দি। প্রতিনিয়তই তাদের নামে মামলা হয়েছে। দলটির চেয়ারপারসন যেদিন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান সেদিনও দলটির নেতাকর্মীর নামে নতুন মামলা হয়েছিল।
মামলার কারণে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল দলের নেতাকর্মীরা। বাধ্য হয়ে তাদের আদালতে সময় দিতে হয়েছিল। পুলিশের ভয়ে এলাকায় থাকতে পারেনি। নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় গিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে এসেছে মামলা সংক্রান্ত ব্যস্ততাও আরও বেড়েছে। ফলে তারা নির্বাচনের প্রচারের দিকে খুব বেশি সময় দিতে পারেনি। অথচ সরকারি দলসহ অন্যান্য দলের নেতারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করেছে পুরোদমে।
যার ফলে বিএনপির সামনে নির্বাচনে পরাজয়ের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা-হামলা ও জেল-জুলুম থেকে রক্ষা করা। মূলত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে সারা দেশে পুলিশ যেসব নাশকতা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ভাঙচুরের মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার-হয়রানি করেছে, সেসবের অস্তিত্বই ছিল না।
নির্বাচনের আগে প্রথম আলোয় ‘এক ভয়ংকর সেপ্টেম্বর’ শিরোনামে ঢাকা শহরের নাশকতার মামলা নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়, ওই মাসে ঢাকায় নাশকতার মামলা হয়েছে ৫৭৮টি, যার মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার কথা বলা হয়েছে ৯০ বার। আর পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা বলা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬টি। অথচ রাজধানীর দেড় কোটি মানুষ কিছুই টের পেল না।
শুধু ঢাকা শহরে নয়, প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেই এ ধরনের হাজার হাজার মামলা হয়েছে। বিএনপির বহু নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারা দেশেই এ ধরনের গায়েবি মামলা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিএনপি চিঠি দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। চিঠিতে বলা হয়েছিল, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে একের পর এক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
নির্বাচনের পর বিএনপি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি নেয়নি। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করছে, নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারপরও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-১০-এ বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নানের বাড়িতে হামলার ঘটনা তিনি থানায় মামলা দিতে গেলে থানা তা নেয়নি। এটি কী ধরনের আইনের শাসন?
নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে যত নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সত্যি সত্যি ঘটলে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে লিবিয়া-ইরাক-আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার কথা।
আপনার মতামত জানানঃ