ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মতো ঘটনায় ইমামদের সংশ্লিষ্টতা এদেশে এখন ডালভাত হয়ে গেছে। ইমামদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এ ধরণের অপরাধ প্রবণতা। এবার রংপুরের মাহিগঞ্জে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে আসামি পলাতক।
ওই শিশুর মা শুক্রবার(০৬ মে) সকালে মাহিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মাহিগঞ্জের মাহফুজুর রহমান তার পূর্বপরিচিত শিশুটিকে চকলেট দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
‘ওইদিন মধ্যরাতেই শিশুটিকে তার বাবা থানায় নিয়ে আসেন এবং আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করিয়েছি। শনিবার তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।’
এসআই আরও বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ওই ব্যক্তি স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। আজ আমি ঘটনাস্থলে যাব।’
এছাড়া এমন অসংখ্য ঘটনা আছে যেখানে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে শিশুরা মসজিদের ইমামদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে; ঘটছে শিশু হত্যার মতো নৃশংস ঘটনাও। সাম্প্রতিক চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটনা, প্রশাসনের তৎপরতার মুখেও লাগাম টানতে পারছে না এসব ঘটনার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেকে মনে করেন এরা আদব কায়দা শিক্ষা দেন। নৈতিকতা শিক্ষা দেন। সে কারণে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে হোক বা নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেকে ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায়/মক্তবে পড়াতে দেন। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, যে নিরাপত্তার কথা ভেবে ছেলেমেয়েদের পড়াতে দেয়া হয় সেখানে আদৌ নিরাপদ নয়। দেখা যায় ছেলেরাও নিরাপদ নয় এসব তথাকথিত হুজুরদের কাছে। এটিও সমাজের বৈকল্যতা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬৫৪
আপনার মতামত জানানঃ