মানুষ মহাকাশের অনেক রহস্যের সমাধান করলেও গভীর সমুদ্রের অনেক অংশ এখনো মানুষের কাছে অজানা রয়ে গেছে৷
পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের অন্যতম প্রধান ভান্ডার সমুদ্র। এটি গ্রহের বাসযোগ্য স্থানের ৯০ শতাংশেরও বেশি গঠন করে এবং এতে প্রায় ২৫০,০০০ পরিচিত প্রজাতি রয়েছে, আরও অনেকগুলি আবিষ্কার করা বাকি রয়েছে। বিশ্বের সামুদ্রিক প্রজাতির অন্তত দুই তৃতীয়াংশ এখনও অজানা।
পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন শত শত ডুবুরি নতুন প্রজাতির প্রাণী, ডুবে যাওয়া নৌকা এবং অজানা সব রহস্যের সন্ধানে সমুদ্রের তলদেশে চষে বেড়ায়। সমুদ্র তার পেটের ভেতর কত রহস্য যে লুকিয়ে রেখেছে তা আমাদের ধারণারও বাইরে।
এবার গভীর সমুদ্রে জাল ফেলতেই ধরা পড়ল অদ্ভুত এক প্রাণী। অনেকটা ড্রাগনের মতো দেখতে সেই প্রাণীকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
নরওয়ের ট্রোমসোয় সমুদ্রে মাছ ধরছিলেন রোমান ফেডোরস্টোভ নামে এক মৎস্যজীবী। হঠাৎই জালের মধ্যে বড় বড় চোখ, ড্রাগনের মতো মুখ, অদ্ভুত এক প্রাণী দেখে ঘাবড়ে যান রোমান।
গায়ের রং গোলাপি, লম্বা লেজ, রয়েছে পাখনাও। এক ঝলকে দেখেই মনে হবে সমুদ্র থেকে ড্রাগন উঠে এসেছে।
আসলে সেটি গভীর সমুদ্রের এক বিরল প্রজাতির মাছ। এটির নাম ‘কিমায়রা’। এই মাছকে আবার ‘গোস্ট শার্ক’ও বলা হয়।
মাছটির ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেই শোরগোল পড়ে যায়। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘প্রথমে তো ভেবেছিলাম আবার ড্রাগন যুগ ফিরে আসছে। অদ্ভুতদর্শন এই মাছ সত্যিই চমকে দেওয়া মতো!’
আরও এক ইনস্টাগ্রাম গ্রাহক বলেছেন, ‘ছবিতে প্রাণীটিকে দেখে মনে হচ্ছে সদ্য ডিম ফুটে ড্রাগনের বাচ্চার জন্ম হল!’
এই ধরনের মাছ সাধারণত সমুদ্রের সাড়ে আট হাজার ফুট নীচে থাকে। কখনও কখনও সাড়ে ছ’শো ফুটের মধ্যেও দেখা যায়।
এই প্রজাতির মাছ অদ্ভুত দেখতে হয়। চোখগুলি বড় বড়, তুলতুলে দেহ, মাথাটা অনেকটা বড় হয়। যার ফলে এদের আকৃতি বিদঘুটে হয়।
এসডব্লিউ/এসএস/২৩৩১
আপনার মতামত জানানঃ