বেক্সিমকো লিমিটেডের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি ৩টি সরকারি সংস্থার কাছ থেকে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। সরকারের তিন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি বা বেক্সিমকো। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তিনটি চুক্তি সই হয়েছে।
আরেকটি চুক্তি খুব শিগগির হতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি বহুজাতিক নিয়ন্ত্রক কোম্পানি বেক্সিমকোর আইটি বিভাগ সরকারকে আইটি খাতে সহযোগিতা দেবে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে একই তথ্য দিয়েছে।
এতে বলা হয়, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, ডটগভ সল্যুশন্স এলএলসি ও ইউএসএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে বেক্সিমকো লিমিটেড ৪৭.৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে।
চুক্তির আওতায় যৌথভাবে একটি আধুনিক পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম বা ই-পিএমআইএস তৈরি করবে এই তিন কোম্পানি।
এ ছাড়া ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড ও বাংলাদেশের টেক ভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে ২৬১ কোটি টাকা মূল্যের অনলাইন খাদ্যভান্ডার ও বাজার নজরদারি সিস্টেম প্রস্তুতের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো।
বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। শিগগির উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই করা হবে।
গত মাসে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের দুটি প্রকল্পের ৪৮ কোটি টাকার দায়িত্বের চুক্তি করেছে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড। প্রথম প্রকল্পের অংশ হিসেবে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) একটি সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে একটি তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
এর আগে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এ সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩ হাজার কোটি টাকা তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো। এছাড়া বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার কাজেও এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।
বেক্সিমকোর এ সুকুকের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা, একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০টি সুকুক কিনতে হবে। এই সুকুকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। সুকুক থেকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড।২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বেক্সিমকো লিমিটেড।
১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বেক্সিমকোর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.৪৫ শতাংশ। কোম্পানিটির রোববার লেনদেন শেষে শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৯৬.৫০ টাকায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সরকার দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যে যাত্রা শুরু করেছে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখতে বেক্সিমকোর অঙ্গীকারকে সাম্প্রতিক এসব সাফল্য শক্তিশালী করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৩১
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ