Author: ডেস্ক রিপোর্ট

পৃথিবীতে প্রাণের বৈচিত্র্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের ভেতরে শুধু বৃহদাকার প্রাণীই নয়, নানা ধরনের অসংখ্য আণুবীক্ষণিক অনুজীবের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। ভাইরাস হল তেমনই এক বিশেষ প্রজাতির অনুজীব। এরা এক ধরনের অতি আণুবীক্ষণিক রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব, যারা কোন প্রাণীর শুধুমাত্র জীবিত কোষের ভেতর রেপ্লিকেশন করতে পারে। প্রকৃতিতে বিরাজমান প্রায় মিলিয়নের বেশি প্রজাতির ভাইরাসের ভেতর মাত্র ৯০০০ এর মত প্রজাতি সম্পর্কে আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি! পৃথিবীর প্রায় সকল ইকোসিস্টেমে এদের অস্তিত্ব রয়েছে। কোনো ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হবার সাথে সাথেই আক্রমণকারী ভাইরাসের মত অবিকল অসংখ্য কপি তৈরি করতে হোস্ট সেল বা পোষক কোষ বাধ্য হয়। ভাইরাস যখন কোন জীবিত…

Read More

নীল সমু্দ্রের দিন হয়তো শেষ হয়ে আসছে। দিন দিন চেনা রং হারিয়ে ফেলছে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। সমুদ্রের রং বদলে যাচ্ছে নীল থেকে সবুজে। যার কারণ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাও। দিগন্তবিস্তৃত নীল আকাশ আর গাঢ় নীল সমু্দ্রের হাতছানি। সাহিত্যের পাতায় এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা হামেশাই দেখা গিয়েছে। সমুদ্র নীল রঙেই যেন হয়ে ওঠে অপরূপা। কিন্তু নীল সমু্দ্রের দিন হয়তো শেষ হয়ে আসছে। দিন দিন চেনা রং হারিয়ে ফেলছে দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি। সমুদ্রের রং যাচ্ছে বদলে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, নীল থেকে দিন দিন সবুজ হয়ে উঠছে সমুদ্র। যার স্বপক্ষে যুক্তি হিসাবে খাড়া করা যায় পরিসংখ্যানও। পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই দশকে পৃথিবীর বুকে…

Read More

বাংলার নবাবি আমলের ইতিহাসের বেশ খানিকটা অংশজুড়ে রয়েছে ভালোবাসা, লোভ-লালসা, বিশ্বাসঘাতকতা আর যুদ্ধের ঝনঝনানি। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে অজস্র প্রাচীন কাহিনি। সেখানে ইতিহাসকে বারবার সামনে এনেছে ভালোবাসা আর ত্যাগের মহিমা। অন্যদিকে কলঙ্কিত আর রঞ্জিত করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। এমনই একজনের মর্মান্তিক পরিণতির কথাই জানাবো আজ। যিনি চিরকালই বাংলা ছাড়াও বিশ্বজুড়ে বিশ্বাসঘাতকের সেরা উদাহরণ। তিনি নিজেও এক বিশ্বাসঘাতকের পুত্র হিসেবে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন। অবলীলায় হত্যা করতেন তিনি। কথিত আছে, বাংলার স্বাধীন ও শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার পর এক বিরাট তালিকা তৈরি করেছিলেন মীর মিরন। সেখানে ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলার আত্মীয় স্বজনদের নাম। তার ইচ্ছা ছিল সিরাজউদ্দৌলার বংশের কাউকে তিনি বাঁচিয়ে রাখবেন না। ইতিহাসখ্যাত…

Read More

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাবার ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটছে লাখ লাখ মানুষের। এক নারী জানিয়েছেন, তার ঘরে একটি পাউরুটির দুটি টুকরো ছাড়া আর কোনো খাবার অবশিষ্ট নেই। যে দুই-একটি খাবারের দোকান খোলা আছে সেগুলোতেও মানুষের দীর্ঘ সারি। সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলছে, ক্ষুধাকে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। পুরো দুনিয়ার চোখের সামনে লাখ লাখ মানুষকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এর কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। অক্সফামের বিবৃতিতে গাজায় খাবার, পানি, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে…

Read More

শক্তির যেকোনো রূপকে অন্য যেকোনো রূপে রূপান্তরিত করা যায়, মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে বলা হয় শক্তির সংরক্ষণশীলতানীতি বা শক্তির নিত্যতাসূত্র। শক্তির সংরক্ষণশীলতানীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়- শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি শুধু এক রূপ থেকে অপর এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোনো ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোনো শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোনো শক্তি ধ্বংসও হয় না। এখন আপাতদৃষ্টিতে মনে…

Read More

দেশ-বিদেশের সন্তানহীন দম্পতিদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ভারতে গর্ভ ভাড়া দেয়ার ব্যবসা ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে৷ ভারতে গর্ভ ভাড়া সহজলভ্য ও খরচ কম হওয়ায় গর্ভ ভাড়া বা সারোগেসি বাণিজ্যের বাজার দাঁড়িয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার মতো৷ সারোগেসি আসলে একটি সহায়ক প্রজনন-ভিত্তিক পদ্ধতি। যেখানে কাঙ্খিত বাবা-মা অন্য নারীর গর্ভ ভাড়া করেন। ওই গর্ভধারিণী মাকে বলা হয় সারোগেট। ওই নারীরাও অর্থের বিনিময়ে অন্যের শিশু গর্ভে ধারণ করেন। সারোগেসির অর্থ হলো অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করা। গর্ভকালীন সময়ে ওই দম্পতি সারোগেট মায়ের গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ যত্ন নেয় ও সব ধরনের খরচের দায়িত্ব নেয়। যে সব দম্পতি সহজে গর্ভধারণ করতে পারেন না কিংবা কেউ যদি…

Read More

সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি মৌসুমেই বিভিন্ন সবজির উৎপাদন খরচের হিসাব রাখে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী এক কেজি বেগুন উৎপাদন খরচ ১০ টাকার কিছু বেশি। অথচ বিভিন্ন হাত ঘুরে রাজধানীর খুচরা বাজারে সেই সবজি ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ১০ গুণেরও বেশি দামে। আকার ও মানভেদে লম্বা ও গোল বেগুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা সামনে আনেন নানা অজুহাত। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে উৎপাদনে ৯ টাকা খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ২২ পয়সা। রাজধানীর বাজারে এ সবজি এখন ৪০-৫০…

Read More

হামাস-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই অঞ্চলে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঠানো ‍যুদ্ধ জাহাজের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ জিবোও রয়েছে। এর আগে গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) চীনা সেনাবাহিনীর এসব যুদ্ধ জাহাজ অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে মাস্কাট উপকূল ছেড়ে যায়। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব যুদ্ধ জাহাজ গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) পাঁচ দিনের সফরে কুয়েতের শুওয়াইখ বন্দরে নোঙর করেছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধ জাহাজ কুয়েতে অবস্থান করছে। ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েলের সহায়তায় এরই মধ্যে সেখানে দুটি অত্যাধুনিক…

Read More

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মূল্যমান সবচেয়ে বেশি কমেছে এমন তৃতীয় মুদ্রা হলো বাংলাদেশি টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় গতকাল পর্যন্ত টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে মূল্যমান পতনের বিচারে একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্বলতম মুদ্রা ছিল শ্রীলঙ্কান রুপি। আলোচ্য সময়ে ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে অন্যান্য দেশ ঘুরে দাঁড়ালেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। অবনমনের পথেই রয়েছে টাকা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শুরুর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পাকিস্তানি রুপির ডলারের বিপরীতে ৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ১ ডলারের বিপরীতে পরিশোধ করতে হতো ৩০৭ পাকিস্তানি রুপি। সেই জায়গা থেকে…

Read More

বিস্কুটকে মনে করা হতো ইংরেজিকরণের প্রতীক। আর বর্ণপ্রথা বিদ্যমান থাকা হিন্দু সমাজে বিস্কুটকে ‘অপবিত্র’ খাদ্য হিসেবে মনে করা হতো। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান করলেন লালা রাধামোহন। ১৮৯৮ সালে দিল্লিতে ‘হিন্দু বিস্কুট কোম্পানি’ চালু করেন রাধামোহন । কোম্পানির এক বিজ্ঞাপনে ঘোষণা করা হয়েছিল, উৎপাদন থেকে প্যাকেজিং; সবকিছুই হয়েছে শুধুমাত্র উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের হাতের স্পর্শে। মিষ্টি, ঘন চা; হোক তা আদা ও এলাচে দেওয়া কিংবা দুধ মেশানো, তাতে বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়ার অনুভূতিই আলাদা। ùমিষ্টি, সল্টি, ক্রিমি কিংবা টোস্ট; যেমন বিস্কুটই হোক না কেনো চা-এর সঙ্গে তা গ্রোগ্রাসে গেলা যায়। কিন্তু শতবর্ষও আগেও বিষয়টি একই রকম ছিল না। তখন অনেক ভারতীয়র কাছে বিশেষ…

Read More