বিশেষ প্রতিবেদক : সাধারণত অস্থিতিশীল আফ্রিকান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক ও লোকাল সেনাবাহিনী এ ধরনের লাইট মেশিনারি পোস্ট করে। সেখানেও পুলিশ এ দায়িত্বে থাকে না। কোন স্বাভাবিক স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে মেশিনগান স্ট্যান্ড তৈরি করতে হয় না।
সাম্প্রতিক সময়ে হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জায়গায় থানাসহ সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কিছু দলের বিরোধিতার জের ধরে সহিংসতার সময় সরকারি নানা স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করা নিয়েও নানা জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং এর মধ্যে ফরিদপুরের সালথায় সরকারি অফিসে হামলা হয়েছে। মূলত এসব নানা ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার খবর স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে আসে।
কিন্তু এই অবস্থা সামাল দিয়ে অনেকটা মশা মারতে কামান দাগার মতোই পুলিশের এলএমজি পোস্ট। পাশাপাশি সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভুল বার্তা দিচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষকে এবং বহির্বিশ্বে।
সেনাবাহিনীর একক অধিকার অস্বীকার
পুলিশের এই এলএমজি পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর ফিল্ড এস্কালেশন র্যাংক’কে পুলিশের সমানে নামিয়ে দেয়া হল। ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় সেনাবাহিনীর মনোপলি কিংবা একক অধিকার অস্বীকার করা হল, অফিসিয়ালি।
প্রসঙ্গত, সশস্ত্রবাহিনী ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে ২০২০-২১ প্রস্তাবিত অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ হাজার ৪২৭ কোটি টাকার পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ৩২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
সেনাবাহিনীর অস্ত্র আমদানি বাজেটে পুলিশ ঢুকে পড়ে দেশের আন্তঃবাহিনী ক্যাওস এন্ড কনফ্লিক্টের দীর্ঘস্থায়ী গর্ত খোঁড়া হল।
বহির্বিশ্বে ভুল ধারণা তৈরি
এই মুহুর্তে দেশে জন কেরি এবং ভারতীয় সেনা প্রধান সফরে আছে। যার ফলে মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট বিদেশিদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা। দেশে হেফাজতে ইসলামের ভায়লেন্ট ইসলামিস্ট ফোর্স হিসাবে উত্থান থামাতে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের বিকল্প ছিল না।
এতে করে আন্তর্জাতিক নেগোসিয়েশনে, ভূ-রাজনৈতিক আলোচনায় সরকারের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে যাবে। ভারত, চীন, নতুন করে আমেরিকাও এসব পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে নতুন স্বার্থ্য হাসিলের সুযোগ নিতে পারে।
উল্লেখ্য যে, সাধারণত অস্থিতিশীল আফ্রিকান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক ও লোকাল সেনাবাহিনী এ ধরনের লাইট মেশিনারি পোস্ট করে, পুলিশ এ দায়িত্বে না। কোন স্বাভাবিক স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে মেশিনগান স্ট্যান্ড তৈরি করতে হয় না।
হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে গণতন্ত্রের বিদায়
সরকার এমন একটি অবস্থা তৈরি করতে চাইছে যেখানে সরকার একটা গ্র্যান্ড অপজিশন এলায়েন্সের কিংবা একটা নতুন ভয়ালোন্ট ফোর্সের ভয় করছে। এ ভয়টা মানুষের সামনে আনতেই দেশের অভ্যন্তরে এই এলএমজি পোস্ট। সরকার দেশের ডেমোক্রেটিক প্রসেস বন্ধ করে সে বিরোধী ফোর্সকে দমাতে চাইছে।
“পুলিশের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সাধারণ জনগণের জানমাল হেফাজত করতে এবং যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতেই থানাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”
সরকার নিজেই নিজের নতুন বিরোধী ফোর্স তৈরি করল। সে এখন দেখাতে চায় একটা ভায়োলেন্ট ফোর্স তৈরি হয়েছে, যার নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের সাধারণ অস্ত্র দিয়ে সম্ভব না। এর মধ্য দিয়ে পুলিশ-গোয়েন্দা ফোর্সের ফুট সোলজারদের উপর নতুন মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে।
যদিও আমরা এমন কোন ডমিনেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব দেখি না, যা দেখি তা হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক প্রসেস বন্ধ করে একটা নন পলিটিক্যাল ফোর্সকে গায়ে পড়ে পলিটিক্যাল ফোর্স হিসেবে তৈরির চেষ্টা।
অর্থনৈতিক ক্ষতি
রাজনীতিতে ভায়োলেন্ট ফোর্সের অস্তিত্ব নেইন অথচ সরকার এমন একটি কাল্পনিক অবস্থা প্রতিহত করতে দেশের ভিতর এলএমজি পোস্ট বসাচ্ছে। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই সামনে আসবে।
ত্বরান্বিত হবে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি। কারণ এই ধরনের ডিপ্লয়মেন্ট কন্ডিশান দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা বিকাশ, ব্যবসা বাণিজ্য সহজীকরণ মিলিয়ে সার্বিক অর্থনীতির জন্য নেগেটিভ বার্তা দেয়। এরকম পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গুমোট ভাব আসতে পারে।
মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট কেন?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেটের জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল বুধবার সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জেলার সব থানায় বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এলএমজি চৌকি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া থানাগুলোতে পুলিশ লাইনসের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সরবরাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগর পুলিশ সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের হরতালসহ নানা ইস্যুতে পুলিশি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটছে। ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর রাতে সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা তথ্যে এ রকম সহিংসতা সিলেটে আরও ঘটার শঙ্কা থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলাম দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের স্থাপনায় হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের স্থাপনাগুলোর নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে অত্যাধুনিক ও ভারী অস্ত্র দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা পোস্ট বসানো হয়েছে। এগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর মডেল থানার ২নং পুলিশ ফাঁড়ি ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবনেও আগুন দেয়। হামলা চালানো হয় সরাইল অরুয়াইল ও আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা পুলিশ ফাঁড়িতে। তিন দিনের ওই তাণ্ডবের ঘটনায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সহিংস ঘটনা হয়েছে। এসব কারণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে থানাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। পুলিশের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সাধারণ জনগণের জানমাল হেফাজত করতে এবং যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতেই থানাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সিলেটে মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ও জেলার সব থানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের ১২টি থানা ও এসএমপির ছয়টি থানায় বিশেষ নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তাচৌকি (মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট)। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এসএমপি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি এবং তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশের স্থাপনাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে এলএমজি পোস্ট ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা। এসব চৌকিতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার গোলঘরে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চৌকি। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য এলএমজি তাক করে বসে আছেন। এই থানায় পুলিশের অতিরিক্ত ৫০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে কিছু থানার ছাদে ও সামনের ফাঁকা স্থানে এ ধরনের চৌকি দেখা গেছে।
এসএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় দেশব্যাপী বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মহানগর পুলিশের আওতাধীন সব থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোতে এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লৎফুর রহমান বিশেষ এই নিরাপত্তাব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেলা পুলিশের অধীন সব থানায় একটি করে নিরাপত্তাচৌকি প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেখানে পালাক্রমে সার্বক্ষণিক একজন করে পুলিশ কর্তব্যরত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেও পুলিশের স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ নিরাপত্তা পোস্ট বা এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ২৭ টি এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ জেলার সকল থানা ভবন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পের নিরাপত্তায় এসব এলএমজি পোস্ট বসানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানা ও আটটি পুলিশ ফাঁড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসেবে হালকা মেশিনগান দিয়ে (এলএমজি) নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের জনবলও। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সবাইকে তল্লাশির মধ্য দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে থানায়।
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, জেলার সব থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেক পোস্টে তল্লাশির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কেউ না মানলে তার বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে জেলার সব থানা, পলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে মেশিনগান বসিয়ে বালু বা সিমেন্টের বস্তা দিয়ে চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। কিছু থানার ছাদে ও সামনের ফাঁকা স্থানে এ ধরনের চৌকি বসানো হয়েছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৪৫৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ