দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ১৯টি ব্যক্তিগত সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিককে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে তাদের ভূমিকার জন্য প্রায় ৪০০টি সংস্থা এবং ব্যক্তির পাশাপাশি তারাও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে। এটিই প্রথম নয় যে, ভারতীয় সংস্থাগুলি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তবে সর্বশেষ পদক্ষেপটি ছিল তৃতীয়-কোনো দেশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সমন্বিত ধাক্কা। মার্কিন এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন আমেরিকার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চক্রান্তে ভারতকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ব্যর্থ হওয়া কথিত চক্রান্তে ভারতের তদন্তের ফলে ‘অর্থপূর্ণ জবাবদিহিতা’ না হওয়া পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হবে না।
বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা বাণিজ্যিক লেনদেনে নানা জিনিসপত্র পাঠিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ আমেরিকার। তার জেরেই এই প্রথম ভারতীয় সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো আমেরিকা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সাথে যুক্ত নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করার সময় স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে: যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা জোগানোয় ৪০০ সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ভারত, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশের সংস্থাও এই তালিকায় রয়েছে।
যে চারটি ভারতীয় সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অ্যাসেন্ট অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, টিএসএমডি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড, মাস্ক ট্রান্স এবং ফুট্রেভোর নাম। আমেরিকা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন রুশ সংস্থাকে জাহাজে করে ৭০০-র বেশিবার জিনিসপত্র পাঠিয়েছে অ্যাসেন্ট অ্যাভিয়েশন, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশও। মাস্ক ট্রান্স নামের আরও একটি ভারতীয় সংস্থার নাম রয়েছে তালিকায়। প্রযুক্তিগতভাবে রাশিয়াকে সাহায্যের অভিযোগ উঠেছে টিএসএমডি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের উপর। তারা রাশিয়াকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ আমেরিকার। অন্যদিকে, ফুট্রেভো নামের সংস্থাটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে আমেরিকার দাবি। যে বা যারা এই কাজে তাদের সাহায্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন।
আপনার মতামত জানানঃ