বিজেপির ডাকা ধর্মঘট ঘিরে জায়গায় জায়গায় উত্তেজনা, পুলিশি ধরপাকড় আর একইদিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর ‘বার্তাকে’ কেন্দ্র করে বুধবারও উত্তপ্ত রইল পশ্চিমবঙ্গ।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ অভিযোগে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।
রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ধর্মঘটের কোনও প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য সচেষ্ট থাকবে প্রশাসন। বুধবার পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।
এই ধর্মঘটকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর সামনে আসে। ধর্মঘটের বিরোধী তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসাও বাঁধে। রেল ও সড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। আটক করা হয় একাধিক বিজেপি নেতাকে।
এদিনই আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে একাধিক ‘বার্তা’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। প্রশ্ন তুললেন ধর্ষণের মতো ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী যেমন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, বিরোধীদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তেমনই কর্মবিরতি থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাদের পেশাগত দায়িত্ব।
মনে করিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আগেই তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। অন্যান্য রাজ্য কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও তিনি নেননি।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্যে অরাজকতা ছড়াতে চাইছে এই অভিযোগ তুলতে গিয়ে আরও একবার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন বাংলাদেশের। মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, “কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি কারণ ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র, ভারতবর্ষ আলাদা রাষ্ট্র।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, বিজেপি এই রাজ্যে ‘অশান্তি’ সৃষ্টি করতে চাইলে তার প্রভাব অন্য রাজ্যেও পড়বে।
এদিকে অভিষেক ব্যানার্জী বুধবারের ধর্মঘট প্রসঙ্গে বলেছেন, “আজ ওরা (বিজেপি) বিচারের দাবিতে বনধ ডাকেনি, বরং কাল যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে গ্রেফতার হয়েছে, তাদের ছাড়ানোর লক্ষ্যে বনধ ডেকেছে। প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, বুধবার যে ধর্মঘট ‘সফল হয়নি’ তা বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদেরও কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল ছিল বুধবার।
মুখ্যমন্ত্রীর বুধবারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, নিহত চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার এবং কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ তাদের সমস্ত দাবি দাওয়া মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।
১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা, তার সংলগ্ন অঞ্চল এবং জেলায় জেলায় পথে নেমেছিলেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। ধর্মঘট ‘সফল’ করতে তাদের হাতজোড় করে অনুরোধ করতে দেখা যায় পথ চলতি মানুষ, গাড়ির চালক এবং ব্যবসায়ীদের।
ধর্মঘটের সমর্থনে জায়গায় জায়গায় জমায়েত দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। দেখা যায় রেল এবং সড়ক অবরোধ করতেও। সকাল থেকেই শিয়ালদহের উত্তর ও দক্ষিণ শাখা, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানসহ একাধিক জেলার বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। তাদের তুলে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে।
ধর্মঘট না করার পাল্টা আরজি নিয়ে পথে নামেন তৃণমূল নেতা এবং কর্মীরা। একে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয় বলে অভিযযোগ।
এদিকে, সকালে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল হাত জোড় করে পথ চলতি মানুষকে অনুরোধ করেন। পরে তাকে গড়িয়াহাট চত্বরেও দেখা যায়। পুলিশ বাহিনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল এই চত্বর।
পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, , “আজ এত পুলিশ…আপনারা কোথায় ছিলেন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার দিন?”
গড়িয়াহাট এলাকায় বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকেও একই ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। নারী পুলিশের একটি দল তাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে গেলে তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, “দেখেছেন একজন নারীকে আটকাতে আজ ছয়জন পুলিশ!” কিছুক্ষণ পর তাকেও আটক করে পুলিশ। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকেও আটক করে পুলিশ।
পরে রাস্তায় নামতে দেখা যায় তৃণমূলের কুণাল ঘোষ এবং অতীন ঘোষ। তাদের দাবি, রাজ্যে এই ধর্মঘট ইতিমধ্যে ‘বিফল’। কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা কাউকে কিছু বলছি না। বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন ধর্মঘট হচ্ছে না। জনজীবন অন্যান্য দিনের মতোই।”
অশান্তির অভিযোগ
ধর্মঘট চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসে। ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মীর উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় আহত কর্মীকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল পরে তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন তার দলের কয়েকজন কর্মী। আসার পথে ওই গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।
অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পুরো ঘটনাটাই পুলিশের সামনে হয়েছে। ছয় রাউন্ড গুলি চলেছে। এখনও রক্ত লেগে আছে গাড়িতে।”
এই ঘটনার পর দফায় দফায় তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে ব্যারাকপুরে। নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।
এর পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমানসহ একাধিক জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসে এই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস
বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিও ছিল কলকাতার মেয়ো রোডে। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনটা ডেডিকেট করতে চাই সমাজে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের। বিশেষ করে আরজি করে আমার প্রিয় বোনটি যিনি নির্যাতিত হয়েছেন। এই কদিনে মহারাষ্ট্রে শিশুদের উপর অত্যাচার হয়েছে। রাজস্থান-বিহার-মণিপুর-আসামে অত্যাচার হয়েছে। এই দিনটা সকল নির্যাতিত ও তাদের পরিবারকে উৎসর্গ করছি।”
তার অভিযোগ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ন্যায় বিচার চায়না বিজেপি। তারা ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে’।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, “আসল আন্দোলনের মুখ ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আজকে জেনেশুনে বন্ধ ডেকেছে। ওদের বডি চাই। আমরা বিচার চাই, দোষী ব্যক্তির শাস্তি চাই।”
মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বলব পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। নিজে রক্তাক্ত হয়েছে কিন্তু বিজেপির হাতে কোনও বডি তুলে দেয়নি।”
তৃণমূলের সুপ্রিমো এবং অভিষেক ব্যানার্জী দু’জনেই অবশ্য তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, “মিছিলে যারা ছিল ওরা ছাত্র? নাকি অভিভাবক।”
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি
প্রতিবাদের আড়ালে বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। গত ১৪ই আগস্টও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে আনতে দেখা গিয়েছিল তাকে। সেদিনই ‘রাত দখলের’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটো ভিন্ন রাষ্ট্র। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “মোদী বাবু আপনার দলকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান তাহলে আসামও থেমে থাকবে না, উত্তর-পূর্বাঞ্চলও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ার আমরা টলোমলো করে দেব।”
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় তিনি দোষীর ফাঁসির পক্ষে। ফাস্ট ট্র্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়ার আইন আনার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে কেন্দ্র কিছু বলেনি।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, “আগামী সপ্তাহে স্পিকারকে বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকব। ১০ দিনের মধ্যে ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’ এই বিল এনে পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।”
অন্যদিকে, অভিষেক ব্যানার্জী যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার এই আইন আনতে চায় না। তিনি বলেন, “যাঁরা নবান্ন অভিযান করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছেন, তাঁরা ক্ষমতা থাকলে দেশে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার জন্য নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে দাবি জানান। এদের ক্ষমতা নেই এই আইন আনার। কারণ যদি এই আইন আসে, তা হলে সবার আগে জেলে যাবেন বিজেপির লোকেরা।”
বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যানও শুনিয়েছেন তিনি। ধর্ষণের মতো অপরাধে কড়া আইন আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্র সরকার যদি এই বিল না আনে, তাহলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই আইন মুখ করব দিল্লির সাংসদ। প্রত্যেক সাংসদের অধিকার আছে, প্রাইভেট মেম্বার বিল মুভ করিয়ে সেটা বিল হিসাবে আইনসভায় পাশ করিয়ে আইন তৈরি করার।”
নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি কথা দিলাম, এই আন্দোলন দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাব। শুরু তুমি করেছো, শেষ আমি করব। যেভাবে একশো দিনের টাকার দাবিতে আন্দোলন করেছি।”
কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের যা বললেন
তৃণমূলের অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিষয়েও কথা বলেছেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা যখন দেশ জুড়ে আন্দোলন করছিলেন, আমরা কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিইনি। কারণ আমি মনে করেছিলাম ওঁদের আন্দোলনটা সঙ্গত। ওরা ওদের বন্ধুর বিচার চাইছে। কিন্তু দিল্লিতে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিয়েছিল।’’
তিনি মনে করিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্ট কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে বলেছে। তিনি বলেন, “অনেক গরীব লোক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছে। তারা কোথায় যাবে? অনেক পরিষেবা আপনারা (জুনিয়র ডাক্তার) দেন। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা আন্দোলন করেছেন কিন্তু আমরা কোনও ব্যবস্থা নিইনি। কোনও ব্যবস্থা নেব না। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। আমি কোনও পদক্ষেপ নিতে চাই না।”
“আমি যদি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করি, তার জীবন শেষ। পাসপোর্ট, ভিসা পাবেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই কর্মবিরতি এখনই থামবে না।
তাদের কথা, “বিচার না পাওয়া পর্যন্ত, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এফআইআর করতে হলে দোষীদের বিরুদ্ধে করুন।”
এদিকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
আপনার মতামত জানানঃ