এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী বলে উল্লেখ করে জোড়া কঙ্কাল সামনে এনেছেন মেক্সিকোর এক সাংবাদিক। এসব কঙ্কালের পরীক্ষা চালিয়েছেন মেক্সিকোর গবেষকরা।
জাইম মাউসন নামের মেক্সিকান ওই সাংবাদিকের ইউটিউব চ্যানেলে এ পরীক্ষাটি লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছে। গবেষকরা জানান, কৃত্রিমভাবে এই কঙ্কাল তৈরির কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দুটি কঙ্কালের ওপর বেশ কয়েকবার পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শেষ পর্যন্ত মেক্সিকোর নৌবাহিনীর হেলথ সায়েন্সেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসে জালসে বেনিতেজ ঘোষণা দেন যে, কঙ্কালগুলো মানব তৈরি কোন বস্তু দিয়ে তৈরি হয়নি। আর এগুলো একক কঙ্কাল। কঙ্কালগুলোর হাতে তিনটি করে আঙুল আছে। এদের মধ্যে একটি নারী, যার ভেতর ডিমও আছে।
বেনিতেজ আরও জানান, এই কঙ্কালগুলো একসময় জীবিত ছিল। আর এদের বয়স প্রায় এক হাজার বছর।
মাউসন জানান, এই কঙ্কাল পৃথিবীর কোনো প্রাণীর নয়। এগুলো বিশ্বের অন্য কোন প্রজাতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এগুলো নিয়ে যে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান গবেষণা করতে পারে।
এই কঙ্কালগুলো ২০১৭ সালে পেরুর প্রাচীন নাজকা লাইনের কাছে পান সাংবাদিক মাউসন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, পৃথিবীর কোনো প্রজাতির সঙ্গে এই দুই মৃতদেহের কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিকে, মহাকাশে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে ৩৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এক বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পর ১৪ সেপ্টেম্বর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত খুব একটা সন্তোষজনক কিছু মিলেনি প্রতিবেদনে। এলিয়েনের উপস্থিতির কোন প্রমাণ পায়নি নাসা; আবার সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছে না সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও)। বাংলায় যেটাকে “অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু” বলা যেতে পারে। মহাকাশে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন যেসব বস্তুর নড়াচড়া চোখে পড়ে বলে দাবি করা হয়, সেগুলোকে ইউএফও হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।এই ইউএফও নিয়ে মানুষের আগ্রহ বহুদিন ধরে। কেউ কেউ চমক লাগাতে বলে থাকেন এগুলো আসলে এলিয়েনদের বাহন।
কোনো প্রমাণ না থাকলেও দুনিয়াজুড়ে এই ইউএফও’র অস্তিত্ব বিশ্বাস করার লোকেরও অভাব নেই। প্রচুর ভিডিও গেমস আর চলচ্চিত্রে এই ইউএফওর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এই ইউএফও’কে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা বলে থাকে ইউএপি বা “আনআইডেন্টিফাইড অ্যানাম্যালাস ফেনোমেনা”। বাংলায় বলা যেতে পারে “অশনাক্ত অস্বাভাবিক ঘটনা”।
এখন এই ইউএফও বা ইউএপি যেটাই বলি না কেন, তার ব্যাখ্যা খুঁজতে গত বছর এক আলাদা গবেষক দল নিয়োগ করে নাসা।
১৬ সদস্যের এই দল গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে গবেষণা। যাদের উদ্দেশ্য ছিল এই বিষয়টি নিয়ে যেভাবে নানা চাঞ্চল্যকর আলোচনা হয়ে থাকে, অর্থাৎ আসলেই পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি-না সেসব বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানা। এ গবেষণায় কী পেলেন তারা সেটাই তুলে ধরা হয় নাসার এই ইউএপি স্টাডি রিপোর্টে।
এই রিপোর্টের একেবারে শেষ পাতায় বলা হয়েছে, এ রকম উপসংহারে আসার কোনো কারণ নেই যে শত শত যেসব ইউএপি নিয়ে নাসা তদন্ত করেছে সেগুলো দেখা যাওয়ার পেছনে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর হাত আছে। তবে যাই হোক… এসব বস্তু আমাদের সৌরজগতের ভেতর দিয়েই ভ্রমণ করেছে।
যদিও রিপোর্টে বলা হয়নি যে বহির্জাগতিক কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব আছে, কিন্তু নাসা আবার এই ব্যাপারটা অস্বীকারও করেনি যে “সম্ভবত পৃথিবীর অভ্যন্তরে অজানা কোনো এলিয়েন প্রযুক্তি হয়তো কাজ করে চলেছে।”
তবে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন স্বীকার করেন বিলিয়ন বিলিয়ন গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে পৃথিবীর মতো আরেকটা গ্রহ থাকতে পারে। তিনি বলেন, “আপনি যদি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন যে এই বিশাল সৌরজগতে অন্য প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি-না আমি বলবো হ্যাঁ আছে।”
আপনার মতামত জানানঃ