নাটোরে মিছিল বের করার ফাঁকেই বিএনপির পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে শান্তি সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার সকালে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
পাশাপাশি নাটোরের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া ও গুরুদাসপুরে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত এ কর্মসূচিতে ধাওয়া দিয়ে ১২ নেতা–কর্মীকে আহত করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এছাড়া, বিএনপির পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে শান্তি সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নাশকতা প্রতিরোধে নাটোর শহরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এসব সমাবেশ থেকে বিএনপিকে রাজপথে নামতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
অপরদিকে, বেলা ১২টায় শহরের স্টেশন এলাকায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রিমনের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা।
আজ সকাল আটটার দিকে ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দল দলে বটতলা মোড়ে সমবেত হচ্ছেন। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় নেতারা পদযাত্রা শুরু আগে বক্তব্য দিতে শুরু করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী সেখানে বক্তব্য দেন।
বক্তব্য শেষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিএনপির নেতা–কর্মীদের ছাতনী উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করে আবার বটতলা মঞ্চে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছয় শতাধিক নেতা–কর্মীর অংশগ্রহণে বিএনপি ব্যানার নিয়ে পদযাত্রা শুরু করে।
তবে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ছাতনী উচ্চবিদ্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই পেছনের রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে নেন। এর পর সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ শুরু করেন।
ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল মন্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এমরান সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বিএনপি–জামায়াতের মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্বাস না করার আহ্বান জানান। তাঁরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠনের অঙ্গীকার করেন।
বক্তব্য শেষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছাতনী উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করে আবার বটতলা মঞ্চে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে বিএনপি ব্যানার নিয়ে পদযাত্রা শুরু করে।
তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাতনী উচ্চবিদ্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই পেছনের রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে নেন। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ শুরু করেন।
ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এমরান সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্বাস না করার আহ্বান জানান। তাঁরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠনের অঙ্গীকার করেন।
দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ের অন্তত সাতজন দোকানদার বলেন, আওয়ামী লীগ মঞ্চ দখল করে নেওয়ার খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শেষ না করেই মঞ্চের দিকে ফিরে আসতে শুরু করেন।
এ সময় সংঘর্ষের আশঙ্কায় আশপাশের লোকজন বটতলা এলাকা থেকে সরে যান। তবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছাতনী-নাটোর সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সমাবেশ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে মির্জাপুরের দিকে চলে যান। তবে পুরো ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
ছাতনী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান বলেন, আজ সকালে আওয়ামী লীগ ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে শান্তি সমাবেশ শুরু করেছিল। তাই সেখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বটতলা মোড়ে বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্ধারিত স্থান থেকে উঠে এসে তাঁদের মঞ্চ দখল করে সমাবেশ করে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাউকে বাধা দেননি।
তবে বিএনপির পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হাবুর মোড়, পণ্ডিতগ্রাম ও বারঘরিয়া মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির লোকজনকে সড়কে উঠতে দেননি। পরে তাঁরা বিকল্প রাস্তা দিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালন করবে না বলে গতকাল রাতে কথা দিয়েছিল। তাই আমরা বটতলায় কর্মসূচি দিইনি। কিন্তু তারা যখন জেলার নেতাদের এনে কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেছে, তখন আমরা বটতলায় না এসে পারিনি। তবে বিএনপির কাউকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হয়নি।’
এসডব্লিউএসএস/১৬৩৫
আপনার মতামত জানানঃ