স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
——————–
পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা আন্তরিক হলেও থানায় উলটো চিত্র
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দেশে পুলিশের যেমন সুনাম আছে, তেমনি দুর্নামও আছে। সুনামের ধারা ধরে রাখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। তবে থানার চিত্র উলটো। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুনামের চেয়ে দুর্নামই বেশি। থানায় জিডি করতে গেলেই টাকা লাগে। মামলার বাদী-বিবাদী উভয়ের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়। টাকা ছাড়া থানায় তো সেবা মেলেই না, উপরন্তু পুলিশের দ্বারা প্রায়শই হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তবে পুলিশের অনেক কার্যক্রম প্রশংসাও কুড়াচ্ছে। বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা সারা দেশে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এই দুর্যোগকালে বাংলাদেশ পুলিশ মানবিকতার যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর এবং অনুপ্রেরণাদায়ীও। ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে থানার পুলিশের কিছু আচরণ সার্বিক অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। যদিও থানার ওসি পদে পোস্টিং নিতে থানাভেদে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা লাগে। এসআইসহ অন্যদের থানায় পোস্টিং নিতে ঘুষ দিতে হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানার পুলিশের মূল টার্গেট থাকে টাকার দিকে। আর ওসি ঘুষের টাকা দেন একশ্রেণির অতিরিক্ত এসপি ও এসপিকে। আর এ ঘুষের টাকার ভাগ দিয়ে থাকেন একশ্রেণির অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজিকে। এ কারণে থানার পুলিশের আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও পাসপোর্টের আবেদনের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে। গত জুলাইয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১৮ জন এসআইকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য অনিয়মের কারণে পুলিশের মধ্যে যত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, অন্য কোথাও তা হয় না। গত ৯ বছরে ১ লাখ ২০ হাজার ১৯১টি ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই হিসাবে বছরে গড়ে ১৩ হাজার ৩৫৪টি ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
করোনায় মারা গেছেন ৮০ পুলিশ সদস্য: কমেছে আক্রান্তের হার
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ৮০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুরুতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে পুলিশ সদস্যরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ও করোনায় মারা গেছেন, সে হার এখন অনেক কম। ৫ ডিসেম্বর ২০২০, শুনিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১০৩ জন পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ সদর দফতর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, করোনা মহামারির সময়ে শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি করোনায় দেশের মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হন। পুলিশের কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও মারা গেছেন। এসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৮০ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৮৯ জন। এর মধ্যে র্যাব সদস্য আছেন ২ হাজার ৪৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ১০৩ জন। সুস্থ হয়ে তারা ইতোমধ্যে কাজেও ফিরেছেন।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী : পরিবার একঘরে, পুলিশ দর্শক!
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরণের পর প্রায় দেড় মাস ধরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সাত সদস্যের পরিবার গ্রামের মাতব্বরদের সিদ্ধান্তে প্রায় চার মাস ধরে একঘরে হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রভাবশালী আসামিদের যোগসাজশে মাতব্বররা হতদরিদ্র পরিবারটিকে একঘরে (সমাজচ্যুত) করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, এই মাতব্বররা মামলাটি আপস-মীমাংসার নামে বাদীর কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার কিংবা মেয়েটিকে উদ্ধারে তার পরিবারকে কোনো সহযোগিতা করেনি থানা পুলিশ। এ অবস্থায় ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় ১৬ জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। ওই মামলায় মাসুদ রানা, ফজলুল হকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য ফজলুল হকসহ এই মামলার এহাজারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাদীকে সহযোগিতা করতে কোনো ভূমিকা রাখেননি মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আহসানুল হক। মামলার বাদী ওই ছাত্রীর মা বলেন,
মেয়েকে উদ্ধারের পর থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মামলা তুলে নিয়ে মীমাংসা করতে চাপ দেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজেও স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছি। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আহসানুল হককে থানা থেকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ-দুর্বৃত্ত মিলেমিশে ছিনতাই, প্রতারণা, চক্রের নেতৃত্বে দুই এএসআই
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
আবদুল আউয়াল মাদ্রাসায় পড়ান। কিছুদিন আগের এক সকালে রাজধানীর বনশ্রীর সড়কে এক ‘রিকশাচালক’ তাকে থামান। নাম-পরিচয় দিয়ে ১০০ সৌদি রিয়ালের নোট কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে জানান। সেটি ভাঙিয়ে দেওয়ার জন্য অনুনয় করেন। একপর্যায়ে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে তিনি সেটি ভাঙিয়ে দেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওই ‘রিকশাচালক’ তার ফোন নম্বর নিয়ে চলে যান।
ওইদিন সন্ধ্যায় তার কাছে সেই ‘রিকশাচালকে’র ফোন আসে। জানান, তার কাছে আরও রিয়াল আছে, সেগুলো অর্ধেক দামে বিক্রি করা হবে। নানা অনুনয় ও প্রলোভনে আউয়ালকে রাজিও করান তিনি। পরদিন বাড্ডার একটি ব্যাংকের শাখা থেকে পাঁচ লাখ টাকা তুলে রিয়াল কেনেন এই মাদ্রাসা শিক্ষক। পরে রামপুরায় অন্য তিন ব্যক্তি তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ‘রিয়ালে’র একটি পোটলা ধরিয়ে দেয় আউয়ালকে। এরপর তারা বলে, ‘দ্রুত চলে যান, সামনে পুলিশ।’ তারা চলে যাওয়ার পর পরই একটি প্রাইভেটকার থেকে তিনজন বেরিয়ে ডিবি পরিচয়ে আউয়ালকে গাড়িতে ওঠায়। তাদের মধ্যে দু’জন পুলিশের এএসআই। ভুয়া রিয়াল আছে অভিযোগে আউয়ালের হাতে হাতকড়া পরানো হয়। মুক্তি পেতে ১০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। পরে পল্লবীতে নিয়ে একটি ব্যাংক থেকে আউয়ালের কাছে থাকা চেক দিয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়ে তাকে বনানী এলাকায় নামিয়ে দেয়।
শুধু আউয়াল নন, সম্প্রতি রাজধানীতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটেছে। অভিনব এই ছিনতাই ও প্রতারণা করছে একটি চক্র। আর সে চক্রটি চালাচ্ছেন পুলিশেরই দুই সদস্য। সহযোগীদের নিয়ে ডিবি পরিচয়ে তারা রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকায় বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারণা এবং ছিনতাই করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার এই চক্রের ১০ সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের নাম উঠে আসে। এরপর মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল আউয়ালকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত শুক্রবার রামপুরা থানায় মামলা হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুম ও সহিদ। মাসুম নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানায় কর্মরত। আর এএসআই সহিদ গেন্ডরিয়ায় মিল ব্যারাকে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত।
২১ আগস্ট হামলা
আপিল বিভাগেও জামিন পাননি দণ্ডিত সাবেক ২ পুলিশ কর্মকর্তা
আমাদের সময়
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞ মামলায় দণ্ডিত পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে জামিন দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। জামিন চেয়ে করা পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান খানের আবেদন আজ রোববার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগও তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এর আগে বিচারিক আদালত পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তা সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানকে দুটি ধারায় চার বছর কারাদণ্ড দেন। এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগেআপিল করেছিলেন তারা। পাশাপাশি তারা জামিন চেয়েও আবেদন করেন, যা গত ৯ মার্চ খারিজ করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে তারা জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিলুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। জামিলুর রহমান বলেন, ‘সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী আহত হন।
সাত সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
সিলেটের স্থানীয় দৈনিক একাত্তরের কথা পত্রিকার সম্পাদকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে শাহপরাণ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক ছালেহ আহমদ সেলিম। আসামিদের বিরুদ্ধে অনলাইন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ফেসবুকে মিথ্যা, মানহানিকর এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর সংবাদ ও তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর ২০২০, শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী। মামলার এজাহারে যে ১৮ জনের নাম রয়েছে তার মধ্যে ৭ জন সাংবাদিক। এদের ছয় জন হলেন—দৈনিক একাত্তরের কথা’র সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, প্রকাশক নজরুল ইসলাম বাবুল, রিপোর্টার সাঈদ চৌধুরী টিপু, প্রধান ফটোসাংবাদিক সৈয়দ আহমদ সুজন, রিপোর্টার জিকরুল ইসলাম ও মুহিত হোসেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন—আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অনলাইন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ফেসবুকে মিথ্যা, মানহানিকর এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর সংবাদ ও তথ্য প্রকাশ করার অপরাধ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, ‘একাত্তরের কথা’ পত্রিকায় গত ২৮ নভেম্বর ‘ভয়ে চুপ উপশহর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন অনলাইনেও প্রচারিত হয়। সম্পাদক-প্রকাশকসহ ছয় জন প্রতিবেদনটি অনলাইনে প্রচার করেছেন এবং বাকি আসামিরা ফেসবুকে প্রচার করেছেন। এতে এলাকায় অস্থিরতা ও চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সংবাদ প্রচার ও ফেসবুকে শেয়ার করে ভাইরালের মাধ্যমে বাদীর সামাজিক মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে।
40 journalists, media staff die of COVID-19, symptoms in Bangladesh
New Age
Category: media
At least 40 media workers, including journalists, have died of COVID-19 and with its symptoms across the country since April.
On Saturday, the Sirajganj correspondent of private television channel RTV, Sukanta Sen, died of COVID-19 at Dhaka Medical College Hospital at about 5:45am at the age of 45.
Sirajganaj Press Club general secretary Ferdous Robin said that Sukanta had been undergoing treatment at the hospital since November 26.
Including Sukanta, a total of 28 media workers, including journalists, died of COVID and 12 died with symptoms since the spread of the disease in March.
Earlier on November 24, the daily Sangbad’s acting editor and freedom fighter Khandaker Muniruzzaman died while undergoing treatment for COVID-19 at a hospital in Dhaka.
According to the media houses and journalists’ organisations, 1,068 journalists and media workers contracted COVID-19 until Friday.
Of them, 760 were from Dhaka and 308 from other districts.
All the media workers were from 122 newspapers, 32 television channels, 38 internet news portals, five radios and two news agencies.
Bangladesh logged an additional 35 deaths and 1,888 infections in past 24 hours on Saturday, counting the death toll to 6,807 and infections to 4,75,991.
Among the dead, 23 were male and 12 female patients.
A Directorate General of Health Services release came up with the latest COVID-19 data.
আপনার মতামত জানানঃ