রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ধীমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রতনপ্রিয় চাকমা ধীমান জেএসএস এমএন লারমা দলের নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার দেহরক্ষী ছিলেন। ছুটি পেয়ে তিনি বাঘাইছড়ি নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাতে যান। ৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার ভোররাতে অস্ত্রশস্ত্রসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়ি এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
বছরখানেক আগে ধীমান চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) থেকে পদত্যাগ করে জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) দলে যোগদান করেন। এ কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ভোররাতে রূপকারী ইউনিয়নের পাকুজ্জ্যাছড়ি নামক এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের একদল সন্ত্রাসী ধীমান চাকমাকে তার বাসা থেকে ডেকে বাইরে আনে। এরপর তার ওপর গুলি করে পালিয়ে যায়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য ত্রিদীপ চাকমা বলেন, আমাদের দলে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নেই। এটি তাদের দলীয় কোন্দলের কারণেও ঘটতে পারে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহত ব্যক্তি জেএসএস (এম এন লারমা) দলের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গের জন্য খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
ফাআ/নসদ/০৯৩০
আপনার মতামত জানানঃ