নিজেকে অনেকের থেকে আলাদা দেখানোর জন্য কেউ গায়ে, মুখে ট্যাটু করান। কেউ বা অস্ত্রোপচার করিয়ে শারীরিক রূপ পরিবর্তন করতে ভালবাসেন। কিন্তু নিজেকে ব্ল্যাক এলিয়েন-এর মতো দেখানোর জন্য এক ব্যক্তি যা করলেন তা শুনে শিউরে উঠবেন।
অ্যান্থনি লোফ্রেডো। ফ্রান্সের নাগরিক। ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো নিজের রূপ তৈরি করতে নাক, উপরের ঠোঁট, জিভে অস্ত্রোপচার করান। সারা শরীর এবং চোখের মণিতেও ট্যাটু করান লোফ্রেডো। কিন্তু এত কিছু করেও তার মন ভরেনি। নিজেকে হুবহু ভিনগ্রহীর মতো সাজাতে আরও বড় পদক্ষেপ করেন তিনি।
দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেহের উপরি ভাগ অস্ত্রোপচার করে পরিবর্তন করতে পেরেছেন ঠিকই, কিন্তু এ বার ভিনগ্রহের প্রাণীদের মতো হাত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন লোফ্রেডো। এ বার তিনি দু’হাতে দুটো করে আঙুল কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে তার হাত অনেকটা পশুর থাবার মতো দেখতে হয়। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। আপাতত একটি হাতের আঙুল বাদ দিয়েছেন তিনি।
ব্ল্যাক এলিয়েন প্রজেক্ট নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও আছে লোফ্রেডোর। সেখানে তার অস্ত্রোপাচার করা হাতের ছবিও দিয়েছেন। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এ বার অন্তরাত্মার শান্তি হল।’ এর আগে অস্ত্রোপচার করিয়ে দুটো কান বাদ দিয়েছেন তিনি। জিভ মাঝখান থেকে চিরেছেন।
নিজেকে আয়নায় দেখতে ভয় পান না তিনি? জানালেন, নিজেকে যে ভয়ঙ্কর দেখানোর বিষয়টাই বরং বেশি উপভোগ করেন তিনি। এমনকি বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী পেতেও বেগ পেতে হয় না তাকে। তার এখনকার রূপেই তার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন তরুণীরা।
প্রশ্ন হতেই পারে, আর কতদূর যাবেন ৩২ বছর বয়সী অ্যান্থনি লোফ্রেডো? শরীরের আর কতটা বদল দেখে ক্ষান্ত দেবেন তিনি? জবাবে বললেন গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য। একটা সময় নিজের চামড়াই তিনি তুলে ফেলতে চান, আর সেটি প্রতিস্থাপন করতে চান ধাতব মোড়ক দিয়ে!
গত বছরে অস্ত্রোপচার করে নাকেরও পরিবর্তন করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে এক ফরাসি পত্রিকায় লোফ্রেডো বলেছিলেন, “শৈশব থেকেই নিজের দেহের আকৃতি পরিবর্তন নিয়ে আগ্রহী ছিলাম।” সেই আগ্রহই পরবর্তীকালে যেন নেশায় পরিণত হয়। তাই একের পর এক অস্ত্রোপচার করিয়ে দেহের পরিবর্তন করাতে কুণ্ঠিত হননি লোফ্রেডো।
স্বপ্নের পিছে অ্যান্থনির এই ছুটে চলা তাকে অধিকাংশের চোখে বানিয়েছে ‘কদাকার’। ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজ ‘দ্য ব্ল্যাক এলিয়েন প্রজেক্ট’-এ এইসব নিয়ে কম কটূকথা শুনতে হয় না তাকে।
তবে সেখানে তার পক্ষে যারা ঢাল হয়ে দাঁড়ান, অ্যান্থনির চেহারা তাদের ভালো লাগুক বা না লাগুক, তারা ঈর্ষা করেন অ্যান্থনিকে। কেন? কারণ যত যা-ই হোক, নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টায় অন্তত সফল তো হচ্ছেন তিনি!
এসডব্লিউ/এসএস/১৮১৩
আপনার মতামত জানানঃ