রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই জুম্মকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় চিৎমরম ইউনিয়নের বাসিন্দা অংসুইপ্রু মারমা (৫০)-কে মামলার আসামী সাজিয়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অংসুইপ্রু মারমা মইদং পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম থোয়াইচা মারমা।
চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, গতকাল ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার চিৎমরমের ছোট মইদং পাড়ার বাসিন্দা অংসইপ্রু মারমাকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।
অংসুইপ্রু মারমার স্ত্রী জানান, ‘চিৎমরম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতির নির্দেশে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার স্বামী কাউকে হত্যা করেনি এবং নির্দোষ।’ তিনি তার স্বামীর মুক্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে, গতকাল ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার গভীর রাতে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা থেকে কংজ মারমা (২৪), পিতা মংহ্লা মারমা নামে এক নিরীহ জুম্মকে আটক করে সেনাবাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বাটনাতলী ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ওয়ালিউল্লাহর নেতৃত্বে একদল সেনাসদস্য মানিকছড়ি-রামগড় উপজেলা সীমান্তবর্তী গ্রাম সিন্দুপাড়ায় হানা দেয়। এ সময় সেনাসদস্যরা নিজবাড়ি থেকে কংজ মারমাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
আটক কংজ মারমাকে শারীরিক নির্যাতনের পর আজ (১৭ অক্টোবর) শনিবার সকালে অস্ত্র (এলজি) গুঁজে দিয়ে ইউপিডিএফ কর্মী সাজিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, আটক ব্যক্তি একজন সাধারণ গ্রামবাসী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা গভীর রাতে বাড়ি থেকে তাকে ঘুম থেকে তুলে আটক করে নিয়ে যায়। সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
আপনার মতামত জানানঃ