
কক্সবাজারে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী এক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে বিজিবির দায়েরকৃত ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২২নভেম্বর ২০২০ আজ রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ এর বিচারক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক। খবর ইউএনবি।
আদালতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
পরে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বাঙ্গাদেশ লিগাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নামে ওই এনজিওর এক কর্মী বিজিবির মতো একটি বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি উঠে এসেছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ দমদমিয়া চেকপোস্টে অটোরিকশা যাত্রী ব্লাস্ট এনজিওকর্মী ফারজানা আক্তারকে তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ওই এনজিওকর্মী।
এরপর ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফারজানা আক্তারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে বিজিবির নায়েব সুবেদার বাদি মোহাম্মদ আলি মোল্লা।
মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম। রবিবার মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক আলাপই বেশি দেখা গেছে। সুদীপ্ত সাহা লিখেছেন, ‘পুলিশের তদন্তে বিজিবির কোনো দোষ পাওয়া যাবে না, আগেই বলেছিলাম। এরকম ঘটনায় সরকারের উচিত ছিল নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কোন সংস্থাকে তদন্তের ভার দেয়া।’
আপনার মতামত জানানঃ