নদীর বাঁধ ভেঙে পানিতে উপকূল এলাকাসহ গ্রাম প্লাবিত হবার ঘটনা ঘটছে অহরহ। সারা বছর কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে থাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে নদী তীরবর্তী মানুষ। ভেঙে পড়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান ব্যবস্থা। পাশাপাশি বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির কারণে বছর না ঘুরতেই ভেঙে পড়ছে বাঁধ।
এক বছর আগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সে বাঁধে ডেবে গেছে, ফাটলও দেখা দিয়েছে।
বর্ষার শুরুতেই বাঁধের এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
সূত্র মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্মিত চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বাঁধটি সম্পন্ন হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় কয়েকটি অংশ হুমকির মুখে পড়েছে।
১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আলাদাভাবে সাত গ্রুপের তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বাঁধের কাজ সম্পন্ন করেছে। এ কাজে প্রথম পর্যায়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডার্ম্পি এবং পরবর্তীতে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
জানা যায়, বাজার সংলগ্ন পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানির চাপে ডেবে গেছে, কোথাও কোথাও বাঁধে ফাটল ধরেছে।
এ প্রসঙ্গে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বলেন, উপজেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাজার এটি। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার বাজার রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে।
কিন্তু বাঁধটি নির্মাণের এক বছরে যেতে না যেতেই বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ল। যা দুঃখজনক ও বিপজ্জনক। কেবল বর্ষার শুরু। এখনই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে ভরা বর্ষার সময় বড় ধরনের বিপদ আসতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, বাঁধের কোথাও কিছু হলে তা ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই নিজ দায়িত্বে ঠিক করে দিতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ডেকে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৬৩৫
আপনার মতামত জানানঃ