কর্ণফুলী থানার ভেল্লাপাড়া এলাকা থেকে ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ। গ্রেফতার মো. মাসুদ রানা কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এসআই (প্রসিকিউশন) আবছার উদ্দিন রুবেল বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির রিমান্ডের আবেদন করেনি। এজন্য আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মামলার এজাহারের বরাতে (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘পটিয়া ক্রসিংয়ের ভেল্লাপাড়া সেতু পয়েন্টে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালায় র র্যাব-৭-এর একটি দল। সে সময় তারা গাড়ির সিটের নিচ থেকে ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবা জব্দ করে। গ্রেপ্তার করে এসআইকে। পরে রাতে র্যাব গাড়ি, ইয়াবাসহ অভিযুক্ত এসআইকে পুলিশে সোপর্দ করে।
কক্সবাজার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম বলেন, ‘অভিযুক্ত এসআই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। তিনি একটি মামলার তদন্তের নাম করে রোববার অফিস থেকে বের হন। আমরা অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার হার আশংকাজনক। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বিভিন্ন অপকর্মের। এবিষয়ে পুলিশের কর্তৃপক্ষসহ দেশের সরকাকেও নজর বাড়াতে হবে। কেননা, আইন রক্ষাকারী কর্তৃক একেরপর এক আইন বিরোধী কর্মকাণ্ডে দেশের আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা জন্মাবে। ফলশ্রুতিতে দেশে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ চালানোর আগে পুলিশের ওপর চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, আগে পুলিশকে অপরাধমুক্তের চরিত্র অর্জন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের নিকট পুলিশের যে ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, এতে পুলিশ আর সন্তাসীদের মধ্যকার তফাৎ ঘুচে যায়।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২০০১
আপনার মতামত জানানঃ