আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হীরা পাওয়া গেছে। হীরাটির আকার ১ হাজার ৯৮ ক্যারেট, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। দেশটির খনিজ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দেবসোয়ানার একটি খনি থেকে এই হীরাটি উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার এ বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১ জুন বড় আকারের এই অমসৃণ হীরার সন্ধান মিলেছে। ইতিমধ্যে রাজধানী গ্যাবোরোনে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোকগোয়েতসি মাসিসিকে এই হীরা দেখানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রানিত্তে আর্মস্ট্রং বলেন, বিশ্বে সন্ধান পাওয়া হীরাগুলোর মধ্যে এটিকে আকারের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি অসাধারণ ও দুর্লভ। প্রতিষ্ঠানটির কোনো খনি থেকে সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা এটি।
১০০ বছরের বেশি সময় আগে ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরা উত্তোলন করা হয়েছিল। ‘কুল্লিনান’ নামের ওই হীরা ৩ হাজার ১০৬ ক্যারেটের ছিল। আর ২০১৫ সালে বতসোয়ানার উত্তর–পূর্বাঞ্চলের কারোয়ে থেকে ১ হাজার ১০৯ ক্যারেটের একটি হীরার সন্ধান মিলেছিল। টেনিস বলের সমান ওই হীরার নাম লেসেদি লা রোনা। বিশ্বে এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার স্বীকৃতি পেয়েছে এটি। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হীরা উত্তোলন করা হয় বতসোয়ানার খনিগুলো থেকে।
এর আগে মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় পাহাড়ের মাটিতে সোনা মেলার খবর পাওয়া গিয়েছিলো। বিষয়টি জানাজানির পর গ্রামবাসী মাটি খুঁড়ে সোনা বের করার চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে সোনা খোঁজার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন সাংবাদিক আহমেদ আলগোবারি। ২ মার্চ পোস্ট করা সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশের লুহিহি এলাকায় অবস্থিত একটি পাহাড়ে সোনা সন্ধানের খবর মেলে। ওই পাহাড়ের পাথুরে মাটিতে নাকি প্রায় ৬০ থেকে ৯০ শতাংশই আকরিকই সোনা।
জানুয়ারিতে মাটি কেটে সোনা পান বেশ কিছু ব্যক্তি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার গ্রামবাসী কোদাল, শাবল নিয়ে পাহাড়ে ভিড় করেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিলো, শাবল-বেলচা দিয়ে লুহিহির পাহাড়ের পাথুরে মাটি খুঁড়ে সোনা খুঁজছেন গ্রামবাসী। অনেকেই খালি হাতে পাহাড়ের মাটি সংগ্রহ করছেন। এর পর সেই মাটি তুলে নিয়ে গিয়ে তাতে সোনা খুঁজছেন।
সাংবাদিক আহমেদ জানিয়েছিলেন, পাথুরে মাটি থেকে সোনার উপাদান আলাদা করতে একটি পাত্রের পানিতে তা ধুয়ে নিচ্ছেন গ্রামবাসী। এ ভাবেই হাতের মুঠোয় উঠে আসছে সোনা! তবে সোনার খোঁজে সবাই এতটাই মাতোয়ারা যে লুহিহির ওই গ্রাম ঘিরে পা রাখাই দায় হয়ে উঠেছিল। ফলে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেগতিক দেখে গত সোমবার থেকে ওই এলাকায় খননকাজ নিষিদ্ধ করেছিলো স্থানীয় প্রশাসন।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৯১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ