অনুপ্রবেশের অভিযোগে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ উত্তর মেসিডোনিয়াতে ২০ বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির বিভিন্ন গণামধ্যম।
শনিবার এক বিবৃতিতে নর্থ মেসিডোনিয়া পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরের শহর কুমানোভোতে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবেই যানটিতে তল্লাশি চালান তারা৷ ট্রাকের ভিতরে গাদাগাদি করে থাকা ২০ জনের খোঁজ পান তারা, যাদের সবাই বাংলাদেশি৷ আটককৃতদের মধ্যে নয়জন অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ পুলিশ গাড়ির ৪৪ বছর বয়সী মেসিডোনিয়ান চালককে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা অভিবাসীরা গ্রিস থেকে নর্থ মেসিডোনিয়ায় এসেছেন৷ তাদেরকে আবার গ্রিসে ফেরত পাঠানোর জন্য গেভগেলিয়া আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে৷ পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্করা একা নাকি অভিভাবকদের সঙ্গে এসেছেন সে বিষয়ে আলাদাভাবে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে৷
এর আগে গত শুক্রবার উত্তর মেসিডোনিয়া ও স্লোভেনিয়ার পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার সীমান্তবর্তী হাইওয়ে থেকে আরও ৫৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৪৩ জন পাকিস্তানের নাগরিক।
এ ছাড়াও, আটক হওয়া এই ৫৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন ইরিত্রিয়ার ও তিন জন মালির নাগরিক। পাশাপাশি মানবপাচারের অভিযোগে সার্বিয়ার দুই নাগরিককে আটক করেছে উত্তর মেসিডোনিয়ার পুলিশ।
আটককৃতদের মেসিডোনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেভজেলিয়া শহরে রাখা হয়েছে। মেসিডোনিয়ার পুলিশ গণমাধ্যমকে বলেছে, আটককৃতদের সবাই বলকান উপদ্বীপের সবচেয়ে দক্ষিণের দেশ গ্রিস থেকে উত্তর মেসিডোনিয়াতে প্রবেশ করেছিলেন। খুব শিগগির তাদেরকে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হবে বলে দেশটির পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অবৈধভাবে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালসহ সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে অনুপ্রবেশের জন্য বর্তমানে বলকানের এ রুটটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী তুরস্ক ও গ্রিস থেকে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে অনুপ্রবেশের জন্যে উত্তর সিডোনিয়া, সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনাকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সীমান্ত বন্ধ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও বলকান অঞ্চলে এখনও মানব পাচার গ্যাংগুলো সক্রিয়৷ গ্রিস থেকে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশীরা নর্থ মেসিডোনিয়াকে তাদের ট্রানজিট পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে৷ গত আট বছরে কয়েক লাখ অভিবাসী এই পথে পাড়ি জমিয়েছেন৷
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ//২০৪২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ