সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এক দর নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে ৫ মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
দেশের সব প্রান্তে এ গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে এর বেশি দাম নিতে পারবেন না সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। রোববার (৬ জুন) বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফ উদ্বোধন করা হয়।
বিটিআরসি জানিয়েছে, এখন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে এটিসহ তিনটি ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের বেশি কেউ নিতে পারবে না। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই রেটে শুধু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিক্রি হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক বর্তমানে দেশে প্রায় এক কোটি। এই সংখ্যক গ্রাহক দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর ১৭ শতাংশ। কিন্তু এই গ্রাহকরা দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করে। সংবাদ সম্মেলনে ‘এক দেশ এক রেট’ কার্যক্রমের ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের এক দেশ এক রেট বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচাক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাড়ি বাড়ি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যন্ত এলাকার বাড়িও বাদ যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, এখানে অনেক দাবি উঠেছে। আমরা প্রতিটা দাবি বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে আরও ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়ে আপনাদের সামনে আসবো।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, দেশের বড় বড় কয়েকটা আইএসপি গত বছর দুয়েক ধরে সারা দেশে এক দেশ এক রেটে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। এখন সবাই এই সেবা দেবে। তিনি জানান, জুলাই থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তিনি বিটিআরসির প্রতি আহ্বান জানান, ইন্টারনেটের মতো এনটিটিএন সার্ভিসেরও দাম বেঁধে দেওয়ার। তাহলে ব্যান্ডউইথ পরিবহন খরচ কমবে। আরও কম দামে ইন্টারনেট সেবা বিক্রি করা যাবে।
আইআইজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের ঢাকার দামে ইন্টারনেট সেবা পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানান। এতে করে দেশে বিরাজমান ডিজিটাল বৈষম্য কমবে বলে মনে করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার নির্ধারিত কোনো ট্যারিফ না থাকায় শহর ও গ্রামের সেবার মান ও মূল্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে।”
এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক কম থাকায় অনেক আইএসপি ইউনিয়ন পর্যায়ে যেতে আগ্রহী হয় না অথবা গেলেও অধিক মূল্য নেয়। নতুন ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফের মাধ্যমে সব ইউনিয়নের জন্য ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করায় প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১১৫৬
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ