হেলিকপ্টার হুজুর হিসাবে খ্যাত জৈনপুরী পীর মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। রাজধানীর পল্টন থানায় কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ সামাদ মামলাটি (নম্বর ১৮) করেছেন।
বুধবার (১২ মে) দলটির দফতর সম্পাদক রাসেল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান তিনি। পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন সময় টক-শোতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সেই অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এম এ সামাদ বলেন, ‘এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী প্রকাশ্য সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলছেন, আল কায়দা বিশ্বের একমাত্র দল যারা ইসলাম রক্ষার জন্য কাজ করছে। মূলত বাংলাদেশে তিনি আল কায়দার কার্যক্রম চালাচ্ছেন প্রকাশ্যে। তাছাড়া অভিজিত হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দাবি করে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন এবং এটাও বলেছেন অভিজিতকে যারা হত্যা করেছে তারা মুজাহিদ। এটা দেশের সংবিধান ও আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। এতে মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে উৎসাহিত হবে এবং আমি ও দেশবাসী আতংকিত রক্তের বন্যা বইয়ে দিবেন এতে আমার নিজের জীবন নিয়েও আমি শংকিত।’
সামাদ আরও বলেন, ‘তাই তার জনগণকে হত্যার হুমকি ও আল কায়দার কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য-প্রমাণ ও ভিডিও ক্লিপসহ জমা দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে কক্সবাজারের মহেশখালীর ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। গত ৫ মে বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন মহেশখালী কলেজের শিক্ষক আবু ছরওয়ার রানা। আদালত মহেশখালী থানা-পুলিশকে বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার মহেশখালী প্রতিনিধি সিরাজুল মোস্তফা, দৈনিক ইনানীর প্রতিনিধি আবু নাছের মো. হাসান, আমাদের কক্সবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আবু তাহের, সৈকত পত্রিকার প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল, মেহেদী পত্রিকার প্রতিনিধি রিফাত ও সাগরদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি আজিজ সিকদার।
মামলার বাদী মহেশখালী কলেজের শিক্ষক আবু ছরওয়ার রানা দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় মামলা করেছেন তিনি। তবে সাংবাদিকেরা দাবি করছেন, তারা সঠিক প্রতিবেদন করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন তারা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাই ১০ মে সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ট্রাইব্যুনাল থানা-পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কাগজপত্র এখনো থানায় এসে পৌঁছায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ