নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়াসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনার অভিযোগে আটক জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দুলাল আহমেদ, রূপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আমিনুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা মোস্তাফিজুর রহমানের প্ররোচনায় রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে শলাপরামর্শ করছিলেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিপু ভূঁইয়ার বাগানবাড়িতে অভিযান চালিয়ে শহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় একটি ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর জব্দ করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, দিপু ভূঁইয়ার বাড়িতে যে বৈঠক চলছিল, সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা চলছিল। সেখানে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমার বাড়িতে জেলা যুবদলের সভা ছিল। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান যুক্ত হয়েছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলাকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হাস্যকর।’
সংবাদাতা প্রেরিত
আপনার মতামত জানানঃ