এবার স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারে পৃথিবী, কারণ একসময় আঘাতের ভয় পাওয়া গ্রহাণু থেকে পৃথিবী অন্তত আগামী ১০০ বছর নিরাপদ। ২০০৪ সালে আবিষ্কার হওয়ার পরে নাসার ধারণা ছিলো এটাই পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণু। সেই বিপদের আশঙ্কা করা হয়েছিল ২০২৯ ও ২০৩৬ সালে। যদিও পরে তা বাতিল করা হয়। তারপরও হালকা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েই গিয়েছিল ২০৬৮ সালের। তবে নতুন বিশ্লেষণের উপর ভর করে সেই ঝুঁকিও বাতিল করে দিয়েছে নাসা।
নাসার পৃথিবীর পাশের উপাদানসমূহ নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী ডেভাইড ফারনোশিয়া শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ২০৬৮ সালের প্রভাবটি আর সম্ভাবনার রাজত্বেও নেই। আমাদের গণনা বলছে এই ধরনের আর কোনো ঝুঁকি আগামী ১০০ বছরের মধ্যে নেই।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে, আগামী অন্তত ১০০ বছর পর্যন্ত গ্রহাণু থেকে পৃথিবী নিরাপদ। এ ধরনের কোনো হুমকি নেই। ২০৬৮ সালে যেটি হওয়ার কথা ছিল, তাও আশঙ্কার মধ্যে নেই। এ খবরে আর্থ লিংসরা অর্থাৎ পৃথিবীবাসী অন্তত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে।
নাসায় পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু নিয়ে অধ্যয়নরত বিজ্ঞানী ডেভিড ফার্নোচিয়া শুক্রবার একটি বিবৃতিতে বলেন, ২০৬৮ সালের মধ্যে পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতের হুমকি, আর কোনো আশঙ্কার মধ্যে নেই। এমনকি আমাদের গণনাগুলো বলছে, আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও এ ধরনের কোনো হুমকি নেই।
‘অ্যাপোফিস পৃথিবীর খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাবে, এমনকি বড় ধরনের আঘাত হানবে’ এ ধরনের আশঙ্কা দেখা দিলে গ্রহাণুটি নিয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণ করা হয়। জানার বিষয় হচ্ছে, অ্যাপোফিস গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে মিশরের প্রাচীন ‘গড অব কেওস এবং ডার্কনেসের’ নামে।
এদিকে গত ২১ মার্চ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায় বিশাল আকৃতির গ্রহাণু ‘২০০১ এফও ৩২ ’। নাসার গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ৫ দশমিক ২৫ গুণ দূর দিয়ে যায় গ্রহাণুটি।
২০০১ এফও ৩২ নামের গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১ লাখ ২৪ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে অতিক্রম করে। পৃথিবীতে আঘাত হানা অধিকাংশ উল্কাপিণ্ডের চেয়ে এটি বেশি গতিতে পৃথিবীকে অতিক্রম করে।
নাসার জেপিএলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটি ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। গবেষকেরা দুই দশক ধরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। তবে গ্রহাণুটি বিশাল আকারের কারণে সবার নজর কেড়েছে। এটির ব্যাস প্রায় এক মাইল।
গবেষকেরা ওই গ্রহাণুপৃষ্ঠ থেকে বের হওয়া আলোর প্রতিফলন বিশ্লেষণ করে এর গঠন সম্পর্কে ধারণা বের করার আশা করছেন। নাসার গবেষকেরা বলছেন, ‘সূর্যরশ্মি যখন গ্রহাণুপৃষ্ঠে পড়ে, তখন ওই গ্রহাণুর খনিজ কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে এবং কিছুর প্রতিফলন ঘটায়। ওই প্রতিফলিত আলোকরশ্মি বিশ্লেষণ করে ওই খনিজের রাসায়নিক গঠন নির্ণয় করতে পারেন।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৫৩৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ