স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার, ২১ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
পুলিশ সম্পর্কে আল জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শিরোনামে গত ২ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান ও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরএম ফয়জুর রহমানের সই করা বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ওসিদের পদায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই ব্যক্তি আদৌ এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন নাকি কাট, কপি ও পেস্ট করে এ বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের কারণে বর্তমান প্রজন্মের পুলিশিং এবং পুলিশের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে তার কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। উপরন্তু, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান প্রজন্মের অফিসারদের সঙ্গে তার কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সাক্ষাৎকারে পুলিশ সম্পর্কে তার প্রদত্ত বক্তব্য কল্পনানির্ভর মর্মে প্রতীয়মান হয়।
ঘুষ নিয়ে আসামির সঙ্গে দরদামে ব্যস্ত এসআই, হঠাৎ হাজির কমিশনার
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে ব্যবহার করেন চোরাই প্রাইভেটকার। সর্বক্ষণ চলেন মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী দিয়ে ব্যবসা করান। তাদের ব্যবহার করে খুচরা ব্যবসায়ীদের ধরে এনে টাকা আদায় করেন। ঠিক যেন বড় মাছ দিয়ে ছোট মাছ ধরা। এসবই এতদিন ছিল আরএমপির তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানার রোজনামচা। এসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অপরাধের পাহাড় জমলেও এতদিন অধরাই থেকেছেন। গত মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ কমিশনার অভিযোগ পেয়ে আকস্মিকভাবে নিজেই হাজির হন ফাঁড়িতে। ঠিক ওই সময় এসআই মাসুদ রানা এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দরদামে ব্যস্ত ছিলেন। হাতেনাতে ধরে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন। মাসুদ রানা ফাঁড়ির চার্জ হারিয়ে এখন পুলিশ লাইনে।
আরএমপির তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়িটি নগরীর অভিজাত এলাকা পদ্মা আবাসিকে অবস্থিত। গত দু’বছর ধরে ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন মাসুদ রানা। এতদিন ফাঁড়িটি ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের মহব্বতখানা।
বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী নিয়েই কাটত মাসুদ রানার দিনরাত। অভিজাত এলাকা হওয়ায় পদ্মা আবাসিক মাদক কারবারের বড় মোকাম। এলাকায় মাদক বিক্রি ওপেন সিক্রেট। এসআই মাসুদ রানার নিয়োজিত মাদক সম্রাটরাই নিয়ন্ত্রণ করেন কারবার। দিনশেষে নোটের বান্ডিল এসে ঢুকত মাসুদ রানার পকেটে।
রিমান্ড শেষে কারাগারে এসআই হাসান
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যার ঘটনায় ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই হাসানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে জানান, হাসান রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়নি। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুই এসআই, এক এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগপত্র দেয়া হবে বলেও জানান পিবিআই পুলিশ সুপার।
সাত দিনের আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ : গণমাধ্যম
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও রিপোর্টার কাজী ফরিদকে হত্যার হুমকিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সার্ক ফোয়ারার মোড়ে সাধারণ সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, হুমকিদাতাদের যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসা হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। মানবন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘আজকে আমাদের সহকর্মী সাইফুল ইসলাম ও কাজী ফরিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা এই মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে সাংবাদিকতা করতে আসিনি। এ ধরনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে, হুমকি-ধামকি দিয়ে আসলে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ হয়তো তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু স্বাধীন সংবাদপত্র এবং সংবাদ বিকাশের পথ রুদ্ধ করা কঠিন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রাদায়িক, অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সাংবাদিক সমাজ বরাবরই লড়াকু ভূমিকা পালন করেছেন। কোনও ধরনের রক্তচক্ষু আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না।’
Digital Security Act: Man arrested over Facebook posts on PM, Quader
The Daily Star
Category : Digital Security Act
Police yesterday arrested a man in Birampur upazila after a case had been filed under Digital Security Act in connection with posting two “distorted” images of the prime minister and the Awami League general secretary on Facebook.
Arrestee Monir Khan, 23, is the son of Shahidul Islam of Ramchandrapur village of the upazila. Police said they arrested him at Katla Bazar yesterday. They claimed that Monir uploaded the images of Sheikh Hasina and Obaidul Quader on his own Facebook page.
Faridul Islam, AL general secretary of a ward in Khatta Madhampara union, filed the case with Birampur Police Station yesterday.
আপনার মতামত জানানঃ