জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কালী মন্দিরের ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার ও দানবাক্স চুরি করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ কেন্দ্রীয় মহা শ্মাশান কালীমাতা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার জানান।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মন্দিরে আরাধনা চলে। পরে মন্দিরের লোকজন বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার ভোরে পূজা দিতে গেলে মন্দিরের গেট খোলা দেখতে পায় ভক্তরা।
“এ সময় মন্দিরের ভেতরের ঢুকে কালী, মহাদেব ও শীতলাসহ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। মন্দিরের দানবাক্স ও প্রতিমার স্বর্ণালংকার চুরিও করে নিয়ে গেছে।”
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মন্দির কমিটি। সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্দিরের সভাপতি উত্তম কুমার তেওয়ারি বলেন, ‘মন্দিরের ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুরসহ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। এটি কে বা কারা করেছে, আমরা জানি না। তবে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, উপজেলার প্রসিদ্ধ কয়েকটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তাদের মধ্যে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। গ্রুপিং নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। বিবাদমান একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রমেশ চন্দ্র সূত্রধর ও দীপক কুমার সাহা। অপরটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কালা চাঁন পাল ও আইনজীবী শিবলু কুমার ঘোষ।
খাগুরিয়া কালীমাতা মন্দির ও সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় আর কে মিশনের কমিটির পদ-পদবি নিয়ে এ বিরোধের সৃষ্টি হয়। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিমা ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের।
এ বিষয়ে আইনজীবী শিবলু কুমার ঘোষ বলেন, ‘এসব কিছুই না। সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির জন্য হয়তো একটি চক্র এসব ঘটাচ্ছে। তবে এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।’
এ বিষয়ে আইনজীবী শিবলু কুমার ঘোষ বলেন, ‘এসব কিছুই না। সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির জন্য হয়তো একটি চক্র এসব ঘটাচ্ছে। তবে এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখনও মন্দির কমিটির কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত জানানঃ