বিহার, পাঞ্জাবসহ শিল্পায়নে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলোয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলধনি যন্ত্রপাতি স্থাপনে ভর্তুকি ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। জমি কেনার ক্ষেত্রেও দেয়া হচ্ছে বিশেষ সরকারি সুবিধা।
রাজ্যগুলোয় স্থাপিত শিল্প-কারখানায় নারী শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধেও ভারত সরকার অংশ নেবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পোশাক রফতানির বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য থেকে এসব নীতি সহায়তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাক রফতানিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এমন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। রাজ্যভিত্তিক শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে বিশেষ সুবিধা ঘোষণা ছাড়াও দেশটি গত ১০-১৫ বছরে পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান টেকসই করতে নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
একই সঙ্গে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ বাংলাদেশকে পেছনে ফেলারও লক্ষ্য রয়েছে তাদের। এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানিতে নিজের অবস্থানকে শক্ত করতে পারেনি ভারত। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেকেরও কম অর্থমূল্যের পোশাক রফতানি করছে দেশটি।
দুই দেশের সরকারি রফতানি পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারত বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানি করেছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের।
১০ বছরের মাথায় সেখান থেকে কিছুটা কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটির পোশাক রফতানি নেমে এসেছে ১ হাজার ৪৫০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পোশাক রফতানি করেছিল ২ হাজার ৪৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬১৬ কোটি ডলার। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরেও ভারত বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশেরও অনেক কম।
ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের এক কর্মপরিকল্পনার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের রফতানিকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের ২০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল দেশটি।
এজন্য পোশাক খাতের পুরো প্রক্রিয়ায় বৈশ্বিক মান নিশ্চিত করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ, শ্রমিকদের দক্ষতা, গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে রফতানি কাঠামোয় পরিবর্তন আনা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্বারোপ, তাঁত ও হস্তশিল্প খাতসংশ্লিষ্টদের জীবনমান, রুচি ও উৎপাদনে উন্নয়ন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্ব বৃদ্ধি, বিদ্যমান স্কিম ও নীতিগুলোর পুনর্নির্মাণের মতো কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। যদিও এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি দেশটির। উল্টো ভারতের পোশাক রফতানি কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত অনেক দিন ধরেই পোশাক রফতানিতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু দেশটির উদ্যোক্তারা অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণেই মনোযোগী ছিলেন বেশি। আবার নিজস্ব কাঁচামাল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকায় ক্রেতাদের চাহিদামতো কাঁচামাল থেকে সুতা-কাপড় উৎপাদনের কারণে দেশটির পোশাক রফতানি সম্প্রসারিত হয়নি। যদিও একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসায়িক নমনীয়তার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রফতানি বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জব্বার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সরকারের নীতসহায়তা যেমন ইডিএফ, নগদ প্রণোদনা ইত্যাদি সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পোশাকের নতুন বাজার ও নিজস্ব ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শক্তিশালী করেছে। নব্বইয়ের দশক ও তার পরে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যখন ইউরোপীয় মেশিন ব্যবহার করছিল, তখন ভারত বাইরে থেকে মেশিন আমদানি করতে পারত না। বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়ন অনুসরণ করে ভারত অনেক ধরনের উদ্যোগই গ্রহণ করেছিল কিন্তু সেগুলো খুব কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি। কারণ দেশটির উদ্যোক্তারা পোশাকের বাইরে অন্যান্য শিল্পপণ্যে বিনিয়োগে মনোযোগী ছিল বেশি এবং সফলতাও দেখিয়েছে। আবার দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদাও শক্তিশালী।’
তবে ভারতের বর্তমান উদ্যোগগুলো আগের থেকে অনেক ভিন্ন এবং উদ্যোক্তাদের জন্য আকর্ষণীয় উল্লেখ করে এমএ জব্বার বলেন, ‘দেশটি অনেক ধরনের ইনসেনটিভ ঘোষণা করেছে উদ্যোক্তাদের জন্য। এমনকি তারা বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদেরও ভারতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ পোশাকের ব্র্যান্ড ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে ভারতে তাতে করে আমাদের অবশ্যই সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এখনো পোশাক খাতের অনেক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। সে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নীতিসহায়তা প্রয়োজন। আর ভারতে প্রদত্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশে নিশ্চিত করা গেলে উদ্যোক্তাদের পক্ষে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বৈশ্বিক বাজারে আধিপত্য বাড়াতে চাইলেও মূলত কটনে নির্ভরশীলতার কারণে ভারত তৈরি পোশাক রফতানিতে সেভাবে ভালো করতে পারছে না বলে মনে করছেন দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের বৈশ্বিক বাজার ম্যান মেড ফাইবারের চাহিদা বাড়লেও ভারতের পোশাক শিল্প এখনো কটনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না দেশটি।
তবে ভারতীয় বস্ত্র ও পোশাক খাতের জায়ান্টদের সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। ভারতীয় উদ্যোক্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে এখানকার পোশাক শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রমকে ভারতে স্থানান্তর করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভারতের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড রেমন্ডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সিংহানিয়া সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তারা ফ্যাব্রিকস বা কাপড় বিক্রি করেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংকটের পর এখান থেকে তাদের সব ব্যবসা ভারতে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর ব্যবসা যদি ভারতে চলে যায়, তাহলে আর সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবে না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শক্ত ভিত্তি থাকলেও বস্ত্র শিল্পে তেমনটি নেই। আর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি রেমন্ডসহ ভারতের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে।’
সম্প্রতি ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকেও গৌতম সিংহানিয়া বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রেমন্ডের সামনে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে চান তারা। বিশ্বব্যাপী চায়না প্লাস ওয়ান কৌশলও ভারতীয় উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা মনে করছেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এমন তৎপরতায় সতর্ক হওয়ার এবং বাজার ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ভারতের আগের ও বর্তমান উদ্যোগের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। শিল্প গড়ে তুলতে ভারত এখন অনেক সুনির্দিষ্ট নীতি-সুবিধা প্রণয়ন করেছে। যেমন মূলধনি যন্ত্র, নারী শ্রমিকদের জন্য ভিন্ন মজুরি কাঠামো, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চয়তা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের দুর্বলতা আছে। যেমন গ্যাসের দাম বাড়ছে। বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন না। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশকে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য এখনই সরকারি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কর, জ্বালানি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বন্দরের অদক্ষতা দূর করতে হবে।’
দেশের পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন, ভারতীয় উদ্যোক্তারা যদি রাজ্য পর্যায়ের সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে পারে তাহলে বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের বৃহৎ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য নীতিসহায়তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সতর্কভাবে এগোতে হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রথমত পোশাকের বৈশ্বিক বাজার ধরতে পারছে না বলেই ভারত নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। বিগত দিনের উদ্যোগগুলো কাজে লাগিয়ে দেশটি যদি প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে পারত তাহলে নতুন উদ্যোগ নিত না। বর্তমানে ঘোষিত সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে বিহার, পাঞ্জাবসহ ছয়-সাতটি রাজ্যে বিনিয়োগ করলে উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি সহায়তা পাওয়া যাবে। নারী শ্রমিক নিয়োগ দিলে তার বেতনের একটা অংশ সরকার বহন করবে। এতদিন ভালো করতে পারেনি বলেই এখন নিত্যনতুন পদক্ষেপের পাশাপাশি বিদ্যমান সুবিধাগুলো বাড়াচ্ছে। শুধু ভারত বলে নয়, যেকোনো প্রতিযোগী দেশের উদ্যোগ ও পদক্ষেপগুলোর দিকে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হবে। না রাখলে সেটা ভুল হবে। কারণ বিগত দিনে ভারত সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলোর কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি বলে নতুন সুবিধাগুলো কার্যকারিতা দেখাতে পারবে না; এমন ধারণা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত চায়না প্লাস ওয়ান কৌশলের সুবিধা নিতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ মূলত কম দামের লো এন্ড পোশাক তৈরি করে। এক্ষেত্রে ভারত নিজস্ব সক্ষমতা বিবেচনায় উচ্চমূল্যের ভ্যালু অ্যাডেড পণ্যের দিকে এগোতে পারে। দেশটির ফ্যাশন ডিজাইন সক্ষমতাও ভালো। তবে ভারতের বৈশ্বিক অবস্থান শক্তিশালী করার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে তলানিতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এর পরও বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে। উৎপাদন দক্ষতা, নতুন প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, ব্যবসায় খরচ কমানোর মতো বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা দরকার।
কারণ ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা এখন বস্ত্র ও পোশাক খাতে ক্ষুদ্র-মাঝারির কেন্দ্রীভবন কাটিয়ে বৃহৎ আয়তনের শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। এসব উদ্যোগের প্রতিফলন রফতানি বাজারে এখনো দৃশ্যমান না হলেও সাম্প্রতিক উদ্যোগের ফলে তা এখন সময়ের ব্যাপার। তাই অবশ্যই বাংলাদেশের সতর্ক হতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে পেরে ওঠেনি এটা ঠিক। তবে গত কয়েক বছরে দেশটি বেশকিছু নীতি গ্রহণ করেছে। দেশটিতে আগের কৌশল ছিল তারা অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটানোয় বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। রফতানিমুখী বাজার খুব বেশি উদ্যোগী হয়নি, তারা খাতটিকে ক্ষুদ্র-মাঝারির মধ্যেই রাখতে চেয়েছে। বাংলাদেশের মতো বৃহৎ আয়তনের কারখানা বা উৎপাদন ক্ষেত্র তারা গড়ে তোলেনি। নিজস্ব বাজারেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল। এখন দেশটির উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। বৈশ্বিক কার্যক্রমও বাড়ছে। আবার দেশটির নিজস্ব তুলা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাঁচামালের নিজস্ব জোগানও আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে কাঁচামাল কিনতে হয়। আমার মনে হয় গত কয়েক বছরে দেশটি যেসব নীতি গ্রহণ করেছে, সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারে দেশটি। কারণ আন্তর্জাতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে যে পশ্চিমা ক্রেতারা এখন পোশাক ক্রয়ের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকে এগিয়ে রাখছে।’
আপনার মতামত জানানঃ