স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৬ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ২২ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
হোটেলে নববধূর লাশ, পুলিশ স্বামী পলাতক
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মেহনাজ জেরিন (২৪) নামে ওই তরুণীর স্বামী পুলিশ কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম। ঢাকার সিটিএসবিতে কর্মরত জাহিদুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এনামুল হক মিঠু জানিয়েছেন। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর কমলাপুরের ‘হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালের’ দ্বিতীয় তলার ১০ নম্বর কক্ষ থেকে জেরিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।“ফ্যানের সঙ্গে পরনের চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহটি পাওয়া যায়। কক্ষটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল।” তিনি বলেন, জাহিদুলের সঙ্গে জেরিনের বিয়ে হয় ১ জানুয়ারি। দুদিন পর ৩ জানুয়ারি তারা হোটেলের ওই কক্ষটি ভাড়া নেন। সকালে হোটেলবয় দরজায় ‘নক’ করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা মিঠু বলেন, “পাঁচ দিন আগে বিয়ে হয়েছে, আর এর মাঝে এই ঘটনা। নিশ্চয়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কিছু ঘটেছিল। তবে জেরিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।”
নাছিয়া ঘোনার সেই নুরুর সাজার রায় জানে না পুলিশ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নাছিয়া ঘোনার নূরে আলম নুরুকে হন্যে হয়ে চট্টগ্রাম পুলিশ খুঁজলেও তার বিরুদ্ধে যে দেড় বছর আগে একটি সাজার রায় রয়েছে, তার হদিস নেই থানার নথিতে; অথচ পুলিশই মামলাটি করেছিল।
চট্টগ্রামের পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির নাছিয়া ঘোনা এলাকায় সব অপকর্মের ‘হোতা’ নুরুর বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা, কাঠ পাচার, মাদক বিক্রিসহ নানা অভিযোগে ২৮টি মামলার খবর আছে পুলিশের কাছে।
একটি অস্ত্র মামলায় ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ আসামি নুরুকে ১০ বছর ও ৭ বছর করে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৬ জুলাই নুরুকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছিল আকবর শাহ থানা পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। তবে জামিনে বেরিয়ে আসা নুরু রায়ের সময় ছিলেন পলাতক। রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত থেকে যেসব পরোয়ানা আসে, তা থানার নিবন্ধন বইতে লিপিবদ্ধ থাকে। কিন্তু ২০১৯ ও ২০২০ সালের নিবন্ধন বইতে নুরে আলম ওরফে নুরুর বিরুদ্ধে জারি হওয়া সাজা পরোয়ানার কিছু উল্লেখ নেই।”
ওসি জানান, নুরুর বিরুদ্ধে আকবর শাহ ও খুলশী থানায় হওয়া ২৮টি মামলার তথ্য তাদের আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ছয়টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় রেকর্ড থাকলেও কোন সাজা পরোয়ানা রেকর্ড নেই।
মৃত্যুশয্যায় নির্যাতনের কথা বলে গেছেন রেজা, মামলা
মহিউদ্দিনে বিব্রত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বরিশালে ডিবি পুলিশের নির্যাতনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তার বাবা ইউনুস মিয়া।
মামলায় ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন মাহীসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসআই মহিউদ্দিনকে ডিবি থেকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর রাতে সাগরদী ধান গবেষণা এলাকা থেকে আইনজীবী রেজাউল করিম রেজাকে গ্রেফতার করেন মহিউদ্দিন। এরপর তার কাছে ইনজেকটেবল ড্রাগসহ গাঁজা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মামলা দেওয়া হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় রেজাউলকে।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, ‘৩০ ডিসেম্বর জেলখানায় আনার সময়ই অসুস্থ ছিল রেজা। কাগজপত্রে অসুস্থ উল্লেখ করে তাকে গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ। ১ জানুয়ারি রাতে দুই পায়ের সংযোগস্থল থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ৩ জানুয়ারি ভোরে তিনি মারা যান।’ রেজার পরিবারের অভিযোগ-ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। রেজার স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতনের কথা জানিয়েছে রেজাউল। এসআই মহিউদ্দিন নিজে নির্যাতন চালায় বলে জানান তিনি।’ মারুফা বলেন, ‘মহিউদ্দিন এবং আমাদের বসবাস একই এলাকায়। এর আগেও বিভিন্ন সময় আমার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখায় সে।’রেজার বাবা ইউনুস মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় শুয়েও আমার ছেলে বলেছে তার কাছে কোনো মাদক ছিল না। মহিউদ্দিন তার পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছি।’ মামলার তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বামজোটের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার নিউরো সায়েন্সের সামনে থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মিছিল নির্বাচন কমিশনের দিকে গেলে পরিবেশ অধিদফতরের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর সেখানে বাম জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টার প্রতিবাদ
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: গণমাধ্যম
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম শামসুল আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি এম জিসান বখতেয়ার, সংস্কৃতিকর্মী মনি পাহাড়িসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
‘It felt like I was in a grave’
The daily Star
Category: Media
“I decided not to shave the beard. I’ve just trimmed it a bit, I think I quite like the beard,” laughed Shafiqul Islam Kajol, his eyes twinkling with amusement at the irony of keeping the large, shaggy, grey beard that grew out over his 53 days of enforced disappearance and seven months in prison. “But I could not find my old barber at the spot where he used to sit, so I had to go to a new one…” he added in postscript — a sobering reminder of the months that were taken from this photojournalist’s life. Kajol had disappeared on March 10 last year and was “found” by the Border Guard Bangladesh roaming around the Benapole border 53 days later.
He would then land in jail for three Digital Security Act cases filed by lawmaker Saifuzzaman Shikhor, and two Jubo Mahila League activists for a Facebook post.
The lower court kept denying him bail these last seven months, until the High Court on November 24 granted him bail in one case and ordered the investigation officer and Cyber Tribunal to submit reports. And finally on December 17, the HC ordered bail in two remaining cases after his lawyer pointed out that the probes into his cases had to be concluded within 75 days of filing of the cases, and the investigators had failed to do so. He was released on December 25.
Police ask Interpol to locate, arrest PK Halder
The Dialy Star
Category: State force
The National Central Bureau (NCB) of Bangladesh Police has made the request, Mohiul Islam, assistant inspector general (NCB) of Police Headquarters, told The Daily Star.
He said they sent a letter to Interpol on Monday with all details of the former managing director of NRB Global Bank, also known as PK Halder. The letter will be placed before a commission of independent lawyers, he said. The commission will analyse the details in the files that the NCB sent and then a red notice will be issued publicly, said the NCB official.
The four NBFIs are: International Leasing and Financial Services Limited, People’s Leasing, FAS Finance and Investment and Reliance Finance. The Anti-Corruption Commission on January 8 last year filed a case against PK Halder on charges of illegally amassing wealth worth Tk 275 crore.
Death in Jail Custody: Court asks PBI to probe alleged torture
SI Mohiuddin closed
The Daily Star
Category: State Force
The family of the apprentice lawyer, who died in a prison cell of a hospital after alleged torture by members of Detective Branch of police, was able to file a murder case yesterday with a Barishal court that ordered the Police Bureau of Investigation (PBI) to probe the incident.
Younus Munshi, father of victim Rejaul Islam Reja, 30, lodged the case with Barisal Metropolitan Magistrate’s Court against Mohiuddin Ahamed, sub-inspector of Barisal Metropolitan DB Police, and two other members, said Mohsin Montu, a lawyer of the case.
In the case statement, the plaintiff said Mohiuddin and two other police personnel picked up his son on December 29 from a tea stall in front his house on the city’s Hamid Khan Road.
At night, he was taken to the DB office and brutally tortured. He was sent to Barishal Central Jail when he fell sick. He died at Sher-e-Bangla Medical College Hospital on Sunday morning, the complainant said. Metropolitan Magistrate Anisur Rahman ordered the PBI to investigate the incident and submit a report to the court by February 23, said court sources.
আপনার মতামত জানানঃ