কয়েকদিন ধরে টানা সংঘাত চলছে ইউক্রেনে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুদেশের এই যুদ্ধ-সংঘাতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। শক্তিধর দেশগুলো যখন যুদ্ধে লিপ্ত হয় তখন তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব বিশ্বের সব দেশের ওপরই পড়ে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
উক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞা হলো ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে ঐকমত্য।
আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে বার্তা আদানপ্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো একমত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তেল ও গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়া যে অর্থ আয় করে, সেই অর্থ আদায়ে দেশটি সুইফটের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার এসব ব্যাংকে বৈদেশিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করাই তাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা রয়েছে—এমন পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোও এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এতে বাংলাদেশ-রাশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। কারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশের ব্যাংকে লেনদেন করতে সুইফট ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়।
সুইফট বন্ধের আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের পোশাক খাত।
তারা বলছেন, সুইফট থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তৈরি পোশাকের মূল্য পরিশোধে জটিলতা তৈরি হবে। এজন্য আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি -বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে সদস্য কারখানা মালিকদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুইফট বন্ধের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় রাশিয়ান ক্রেতাদের কাছ থেকে নতুন করে রপ্তানি অর্ডার যাতে না নেয়া হয়।এছাড়া নতুন করে কোন শিপমেন্টও হচ্ছে না বলে বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে।
রাশিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের নতুন এবং সম্ভাবনাময় একটি বাজার।গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। ইউক্রেনেও বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়।তবে রপ্তানির পরিমাণ কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পোশাক রপ্তানিতে রাশিয়ার বাজার ক্রমেই বড় হচ্ছে। সে দেশে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চলতি অর্থ বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৪১৫.৪৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। যা গত বছরের তুলনায় ৩৬.৪৭ শতাংশ বেশি।
সরাসরি এবং তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে বলে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুইফট থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তৈরি পোশাকের মূল্য পরিশোধে জটিলতা তৈরি হবে। এজন্য আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জানিয়েছেন, রাশিয়াতে সরাসরি সাড়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক যায় বাংলাদেশ থেকে। আর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে যায় আরও সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের।সবমিলিয়ে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক যায় রাশিয়াতে।
সদস্য কারখানা মালিকদের রাশিয়ায় পণ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ এবং সম্ভাব্য সুইফট বন্ধের কারণে চালান পাঠানো ও পেমেন্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র তথ্য অনুযায়ী গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৪১৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক।যা গত বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
কিন্তু সুইফট বন্ধের আশঙ্কায় রাশিয়ায় রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে পোশাক খাত। একইসঙ্গে যুদ্ধের নানামুখী প্রভাবের কারণে রাশিয়া ও আশেপাশের দেশগুলোতে পোশাকের বাজার হারানোর শঙ্কা করছেন দেশের পোশাক শিল্পের মালিকরা। এমনকি এতে ইউরোপের বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বিষেশজ্ঞরা।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতেই শঙ্কার মধ্যে ছিলেন দেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে সুইফট বন্ধের খবরে পোশাক মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের রাশিয়ায় পণ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বলছেন, সুইফট বন্ধ হওয়া নিয়ে রাশিয়ার বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থ লেনদেনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে চালান পাঠানো ও পেমেন্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের রাশিয়ার ক্রেতাদের কোনো অর্ডার গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ এসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন বলেন, রাশিয়ায় আমাদের বাজার খুব বড় না হলেও কিন্তু কমও না। কারণ সেখানে নিটওয়্যারের প্রচুর এক্সপোর্ট আছে। সেই সঙ্গে নতুন করে এক্সপোর্ট শুরু হয়েছে। আমার নিজেরও সেখানে এক্সপোর্ট আছে। রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইউরোপের ট্রানজিট নিতে হয়। সেই ট্রানজিট যদি না হয় তাহলে কিন্তু পোশাক খাত হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, রাশিয়াতে আমাদের তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে এক্সপোর্ট করতে হয়। এখন যদি সুইফট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পেমেন্ট করা যাবে না। আর পেমেন্ট বন্ধ থাকলে আমরা রপ্তানি করবো কীভাবে? এটা আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। কারণ পশ্চিমা বিশ্ব ছাড়া আমরা তো কোনো লেনদেন করতে পারি না। তারা সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর্থিক লেনদেন করতে হলে আমেরিকা হয়ে আসতে হয়। যেহেতু ডলারের লেনদেন। এখন তারা নিষেধাজ্ঞা দিলে পেমেন্ট করবো কীভাবে?
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের সদস্যদের রাশিয়ায় পণ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ, যুদ্ধ এবং সম্ভাব্য সুইফট বন্ধের কারণে চালান পাঠানো ও পেমেন্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, রাশিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ইউরোপের বাজার স্থিতিশীল আছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজিএমইএ-এর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আমাদের সদস্যদের রপ্তানি না করার জন্য বলে দিয়েছি। কারণ সুইফট বন্ধে হলে কোনোভাবেই পেমেন্ট করা যাবে না। সুইফটের মাধ্যমেই আমাদের পেমেন্টগুলো কনফার্ম করা হয়। তাই আমরা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় রপ্তানি করলে সবাই বিপদে পড়বে। তাই আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে আপাতত রপ্তানি না করা হয়। আমরা দেখছি পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। ক্রেতারাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়াতে সরাসরি সাড়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক যায় বাংলাদেশ থেকে। আর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে যায় আরও সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের। সব মিলিয়ে আমাদের অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক যায় রাশিয়াতে। ইউক্রেনেও আমাদের পোশাক যায় তবে সেটা তুলনামূলক কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন নয়, আশেপাশের অনেক দেশেই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। যুদ্ধের প্রভাব সেসব দেশের ওপরও পড়ছে। তাই সেসব দেশেও পোশাকের বাজার হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া যুদ্ধ ইতিমধ্যে জ্বালানি তেল এবং তুলার দামে প্রভাব ফেলেছে। এতে পোশাকের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পোশাক খাতে।
ইউক্রেনের ওপর হামলার জের ধরে রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে এই সংকটের কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে আমদানি-রপ্তানির চেয়ে বাংলাদেশের জন্য বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এবং বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়া থেকে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির জন্য ২০১৭ সালে এলসি খোলা হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা ৯৭ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশান ফেডারেশনের ‘অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট’-এর সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তিমূল্যের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করছে দেশটি।
রুশ ব্যাংকে সুইফটের নিষেধাজ্ঞা এলে আমদানি-রপ্তানি বিল পরিশোধে সমস্যা হবে জানিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নতুন চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, সুইফট বন্ধ হলে রাশিয়ার সঙ্গে যেসব ব্যাংকের চুক্তি বা লেনদেন রয়েছে তাদের জন্য বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে। যেসব ব্যবসায়ী রাশিয়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাদের এলসির বিল থাকলে সেগুলো দেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানি না, যদি নিষিদ্ধ হয় তাহলে আমাদের জন্য খুবই সমস্যার সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সমাধান না হলে এই সংকটের বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরেও। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য পণ্যের দাম বাড়লে তার প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়ে। আর এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই চিন্তার বিষয়। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। এটা যানবাহন, কৃষি- সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ে।
সিপিডি’র বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি বলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় অন্য দেশগুলোও দেশটির সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না, তাহলে সেটা হবে মারাত্মক বিষয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য বড় কোনো সমস্য দেখা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ চাপে আছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান গম আমদানিকারক সিটি গ্রুপের একজন পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে প্রতিবছর আট থেকে দশ লাখ টন গম আমদানি হয়। সেটা বাধাগ্রস্ত হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর একের পর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এবার বিশ্বের আন্তঃব্যাংক বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরজুলা ফন দেওয়ার লায়েন গতকাল এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও কানাডা সমর্থন জানিয়েছে। যদিও কখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সুনির্দিষ্ট করে তা বলা হয়নি।
অর্থনীতিবিদ এবং কূটনীতিকরা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো রাশিয়া সংকটের বড় প্রভাব বাংলাদেশে দৃশ্যমান হবে না। কিন্তু এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়লে বাংলাদেশ কী করবে, বাংলাদেশকে সেই আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রাখতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১১৫৫
আপনার মতামত জানানঃ