নাইজেরিয়ার জামফারা রাজ্যে হামলা চালিয়ে ৫৩ জন মানুষকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে উত্তরাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড চালায়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম শনিবার (১২জুন) তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মোটরসাইকেল আরোহী একদল ডাকাত জুরমি জেলায় অন্তত ছয়টি গ্রামে হামলা চালায়। মাঠে কর্মরত কৃষকদের তারা গুলি করে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জামফারা পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ শেহু বলেন, শুক্রবার ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করে রাজ্যের রাজধানী গুসাওতে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা বলেন, আরও ৩৯টি লাশ উদ্ধার করে পামের দাওরান শহরে কবর দেওয়া হয়েছে। মুসা আরজিকা নামের এক বাসিন্দা বলেন, ওই এলাকায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করাটাও কঠিন।
শেষকৃত্যে অংশ নিয়ে মুসা আরজিকা বলেন ‘ নিহতদের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া বেশ বিপজ্জনক ছিলো। কারণ দস্যুরা পাশের জুরমি বনে অবস্থান নেওয়ায় যে কোন সময় আবারও হামলা করতে পারতো’।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং সেন্ট্রাল নাইজেরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরে এ ধরনের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের অপহরণ, গবাদি পশু চুরি, লুটপাট, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে থাকে দুষ্কৃতকারীরা। গত এক দশকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদসদ্যসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
সিরিয়ায় হাসপাতালে হামলা
এদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার আফরিন শহরের একটি হাসপাতালে হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হন ২৭ জনের বেশি। শনিবার কুর্দি পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি) এবং কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) সদস্যরা ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি’র খবরে বলা হয়েছে, ওয়াইপিজি ও পিকেকে-এর সদস্যরা আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন তাল রিফাত অঞ্চলের বেসরকারি শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালায়। হাসপাতালটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা হয়েছে বলে জানায় তুর্কি সরকার।
এ ঘটনায় এখনো কোন গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। হামলায় তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শোক প্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কলিন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
রাশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ওয়াইপিজি এবং পিকেকে’র হামলা। নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করাকে কাপুরুষোচিত হামলা উল্লেখ করা হয়। তুর্কিদের কাছে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা বলে পরিচিত।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ//১৪২৮
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ