করোনা মহামারির মধ্যেও মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সবশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার। শতকরা হিসেবে যা ৯ শতাংশ বেশি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরেন। সোমবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে একটা জিনিস পরিকল্পনামমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেটা আমাদের ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জড়িত। আমাদের ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের যে পরিসংখ্যান ছিল সেখানে (মাথাপিছু আয়) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
ডিজিপি ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি, এটা হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি। যদিও স্ট্যাটিসটিকস এখনও ফাইনাল হয়নি। অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জিডিপিও বেড়েছে, মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা ধরে)। এটা আমাদের অর্জন।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এক্সিডেন্টালি আজকে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর ছিল। সেজন্য ক্যাবিনেট থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে তার কার্যক্রমের জন্য। ওনার এই সুন্দর একটি দিনে মাথাপিছু আয় বাড়ার বিষয়টি চমৎকার একটি বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন সবাই।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, মাথাপিছু আয় বেশি মানেই যে কোনো দেশ খুব ভালো আছে তা কিন্তু নয়। একজন দুর্নীতি করে মাসে আয় করে ১ লাখ টাকা, আর একজন কষ্ট করে আয় করে মাসে ১০ হাজার টাকা। উভয়ের মাসিক আয় ১,১০,০০০ হাজার টাকা। গড় আয় ৫৫,০০০ হাজার টাকা। এটাই হলো বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের হিসাব। এই হিসাবে বিবিএস তো মিথ্যা বলছে না। সুতরাং এখানেই আয়বৈষম্যের বিষয়টি চলে আসে।
তারা বলেন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সুসমভাবে হচ্ছে কিনা সেদিকে আলোকপাত করা দরকার। কারণ, ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম। পরিসংখ্যানে প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশও একটি উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ। আর এই আয়বৈষম্যের কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ জীবনমান উন্নত করার সুযোগ থেকে পিছিয়ে থাকছে গরিব পরিবারগুলো। মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি খুবই আশার কথা। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে আশ্চর্য রকম উন্নতি করেছে। প্রবৃদ্ধির হিসাবে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধির ফলে গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সব মানুষ লাভবান হয়নি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭৪৪
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ