করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আর কমছে টিকার মজুদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেকেন্ড ওয়েভের মাঝখানে অবস্থান করছি আমরা। সংক্রমণ দু’দিন কিছুটা কমলেও যেকোন মুহূর্তে আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ডোজের টিকার মজুদ আছে আর মাত্র এক সপ্তাহ। যা কিনা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।
এদিকে, করোনাভাইরাসে দেশে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতি এই মহামারিতে প্রাণহানি বেড়ে ১২ হাজার ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৬৩ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জনে।
সেকেন্ড ওয়েভের মাঝখানে দেশ
বাংলাদেশ এখন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভের মাঝখানে আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
রোববার (১৬ মে) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টি বা সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই। এ ধরনের সংখ্যা যদি দিনের পর দিন পেতে থাকি তবেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি।’
‘তার আগে পর্যন্ত মনে রাখতে হবে যে সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ চলছে আমরা তার মাঝখানে আছি। সেখান থেকে এখনো পরিত্রাণ পাইনি। কাজেই সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা উপসর্গ থাকা জনগণকে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা বেশি বেশি করায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত হবে। শনাক্ত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা হবে।’
দ্বিতীয় ডোজের টিকা আছে আর এক সপ্তাহের
ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানভেদে তা আরও দু-একদিন কমবেশি হতে পারে। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করা যাবে। করোনার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত থেকে যারা ফিরে আসছেন, তাদের মধ্য থেকে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ছয়জন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বহনকারী রোগী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হয়নি।
ভারত থেকে ফেরত আসা অনেকেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালানোর অপচেষ্টা করছেন। তাদের অনেককে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে আনছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৭৩০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ