দেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা পোশাকখাতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের বেতন ও বোনাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় কারখানাগুলোতে এ জটিলতার সম্ভাবনা কম থাকলেও ছোট কারখানায় অসন্তোষেরও আশঙ্কা রয়েছে।
পোশাক-শ্রমিকদের ঈদের বেতন-বোনাস নিয়ে জটিলতা
ঈদের আগে শ্রমিক আন্দোলনসহ নানাবিধ বিশৃঙ্খলার শঙ্কায় পড়েছে দেশের ৫ শতাধিক পোশাক কারখানা। সময় মতো শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের ব্যর্থতায় এ শঙ্কা আরো বাড়ছে বলে শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঈদুল ফিতরের বাকি আছে ছয় থেকে সাত দিন। কিন্তু এপ্রিল তো দূরের কথা, এখনও মার্চের বেতনই পাননি অন্তত ৫০০ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ফলে ঈদের আগে বেতন ও বোনাস নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এখন পর্যন্ত ৪০-৪৫ ভাগ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কেবল বোনাস হয়েছে। আবার অনেকে শুধু বেতন পেয়েছেন। বেতন-বোনাস দুটিই দিয়েছে এ রকম কারখানার সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মের মধ্যে সদস্যভুক্ত সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের চেষ্টা চলছে। ঈদের আগেই সব কারখানা শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করা হবে। এখন পর্যন্ত নয় শতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ।
ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামকে শ্রমঘন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে এসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা তদারকির দায়িত্বে রয়েছে শিল্প পুলিশ।
সংস্থাটির তথ্য মতে, এসব এলাকায় বস্ত্র, তৈরি পোশাকসহ মোট ৭ হাজার ৯৮২টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাসহ অন্তত পাঁচশ কারখানার শ্রমিকদের ঈদের আগে এপ্রিল মাসের বেতন বোনাস নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরে দুই শতাধিক কারখানা রয়েছে। যেখানে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা প্রায় ১৫০টি। এছাড়াও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্যভুক্ত ১৫টি এবং অন্যান্য খাতের ৫০টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একটি তথ্য বলছে, বেতন নিয়ে কারখানাগুলোতে কোনো সমস্যা তৈরি না হলেও বোনাসের ক্ষেত্রে অনেক কারখানায় জটিলতা হতে পারে। এক্ষেত্রে ছোট কারখানাগুলোতেই এ সমস্যা তৈরি হতে পারে বেশি। সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো (রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির কাজ পাওয়া কারখানা) বোনাস দিলেও হয়তো বেতনের অর্ধেক দেবে।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ ও দাবি
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে, যেন তারা ঈদের কেনাকাটা করার সুযোগ পান। সেইসঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আগামী ১০ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা-বোনাস পরিশোধ করার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আগামী ১০ মে’র মধ্যে পোশাকসহ সব খাতের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। শ্রমিকদের আগের কোনো মাসের বেতন যদি বকেয়া থাকে, সেসব বেতনও পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি। গত ২৯ এপ্রিল শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মালিকদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
তবে ১০ মে’র মধ্যে বেতন-বোনাস প্রদানে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ওই আহ্বানের নিন্দা জানিয়ে শ্রমিক নেতারা, মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এক মাসের সমপরিমাণ (পূর্ণ) ঈদ বোনাসসহ এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলেন, সরকার করোনা মহামারিতে দেশের শ্রমিকদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে মালিকদের স্বার্থে শিল্প-কারখানা চালু রেখেছে। অথচ তাদের ঠিকমতো বেতন-বোনাস দেওয়া হয় না। এর মধ্যে শ্রম আইনের কর্মঘণ্টা ও ওভারটাইম সম্পর্কিত ধারা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো শ্রমিকদের উপর কাজের চাপ সৃষ্টি করে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে তৎপরতা চালাচ্ছে। আসন্ন ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস পাওয়ার অনিশ্চয়তা শ্রমিকদের এতটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করেছে যে, যেকোনো সময় আন্দোলনের একটা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই আমরা শ্রমিকদের গতানুগতিকভাবে দায়ী করার পথ পরিহার করে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
তারা বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ মালিকদের কয়েকটি সংগঠন এ বছরও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের অজুহাত দেখিয়ে সরকারের কাছে বড় অংকের প্রণোদনা প্যাকেজের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু গত বছরের নির্মম অভিজ্ঞতা থেকে এটা বুঝতে পারি, মালিকরা মূলত ব্যবসায় দুরবস্থার কথা বলে বেতন-বোনাস থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার এবং সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা শ্রমিকদের না দিয়ে লুটপাটের পাঁয়তারা করছেন। তাই মালিকদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে মালিকদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।
তারা বলেন, ‘ ৭ ও ৮ মে শুক্র-শনিবার এবং ১০ মে শবে কদরের জন্য ব্যাংক বন্ধ। যা মালিকদের অজুহাত তৈরির সুযোগ করে দেবে। সুযোগ সন্ধানী মালিকরা ঈদের নিকটবর্তী সময়ে শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে উৎসব করার আকাঙ্ক্ষার সুযোগ নিয়ে বরাবরের মতো তাদের ন্যায্য প্রাপ্য বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত করবে। পোশাকশিল্প মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সরকার শ্রমিকদের পুনরায় বঞ্চিত করার পথ উন্মুক্ত রাখল।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, এবার করোনার কারণে পোশাক শ্রমিকদের ঈদ আনন্দ নেই। কারণ এবার শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।
তিনি বলেন, আমরা সরকার ও পোশাক মালিকদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের বেতন ও বোনাস দেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকার আমাদের কথা রাখেনি। সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১০ মে অর্থাৎ ২৭ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে। তাতে অনেক শ্রমিক বেতন ভাতা পাবেন না বলেই শঙ্কা করছি। শ্রমিকরা যাতে আন্দোলন করতে না পারেন সেজন্য বলবে বেতন ও বোনাস দেবো। ২৭ রমজানের দুদিন পরেই ঈদ। ফলে বেতন বোনাসের জন্য আন্দোলনে নামতে পারবেন না শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের বোনাস দিয়েছে। প্রত্যেকটি কারখানা কর্তৃপক্ষকে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করা উচিত। সাধারণত গার্মেন্টসগুলো শ্রমিকদের বেতন দেয় মাসের ৮ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। সেই হিসেবে এবারের ঈদ অত্যন্ত সুন্দর সময়ে হচ্ছে। তাই বেতন বোনাস নিয়ে বাড়তি ঝামেলা হওয়া উচিত হবে না।
পোশাক মালিকদের বক্তব্য
পোশাক মালিকরা বলছেন, সাধারণত ঈদের আগে কারখানাগুলোতে কাজের চাপ থাকে। এ অবস্থায় আগেই শ্রমিকের বেতন দেয়া হলে তাদের অনেকেই কাজ ছেড়ে গ্রামে চলে যান। এতে রফতানিতে বাধা পড়ে, কারখানাগুলো সময়মতো পণ্য শিপমেন্ট করতে পারে না। তবে ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন শ্রমিকরা।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, আমরা মাসের শুরু থেকেই বেতন বোনাস দিচ্ছি। গতকাল পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৯ শতাধিক কারখানা শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিয়েছে। যা পরিমাণে ৬০ শতাংশের বেশি। বাকি কারখানাগুলোও সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই বেতন বোনাস পরিশোধ করবে।
বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিচ্ছি। সবাই যাতে দ্রুত পরিশোধ করে এ জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে পোশাক মালিকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ এবং বিকেএমইএ শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও আসন্ন ঈদ বোনাস দেয়ার জন্য আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। ছয় হাজার কোটি টাকার এ ঋণ সহায়তা চেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর আবেদন পাঠিয়েছে।
আবেদনে তিন সংগঠন বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে হ্রাস হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে এটাই সবার কাম্য ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পুনরায় শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বিশ্বের অনেক দেশেই আগের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে যেসব ক্রেতা পেমেন্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারাও পেমেন্ট দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে।
সংগঠন তিনটি আরও বলেছে, এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য রফতানিকারকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের জন্য অর্থের যোগান দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা একান্ত আবশ্যক।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র নব-নির্বাচিত বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেসব কারখানা সমস্যায় রয়েছে তাদের ব্যাপারে সমাধান দিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, সরকারের পক্ষ থেকেও একটা সুবিধা আসবে।’
ছোট কারখানাগুলোর সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে অর্ডার বাতিল হয়েছে, পণ্যের দাম এখনো অনেকে পায়নি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সমাধান করা হবে যাতে জটিলতা না হয়। কিন্তু সাবকন্ট্রাক্ট কারখানা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা শুধু সদস্যভুক্ত কারখানাকেই সহযোগিতা করতে পারি।’
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা উচিত। শ্রমিক অসন্তোষ থেকে থাকলে তা দূর করার উপায় হলো তাদের অসন্তোষের কারণ দূর করা। এই মুহূর্তের করণীয় হলো ঈদের আগেই সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের হাতে তাদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পৌঁছে দেওয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে আয়ের প্রধান উৎস পোশাক শিল্প। এ শিল্পে লাখো শ্রমিক দেশে করোনাকালীন লকডাউনেও কাজ করে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে যাচ্ছেন। বিনিময়ে তারা শুধু নামমাত্র পারিশ্রমিক পাচ্ছেন, এর বাইরে কিছু না। পোশাক শিল্পে শ্রমিকেরা তাদের ঘাম ঝরাচ্ছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক অধিকার থেকে তারা বরাবরের মতই বঞ্চিত হচ্ছেন।
তারা বলেন, বহুবারের মতো এবারও ঈদের আগে মজুরি-বেতন-বোনাস পাননি অনেক শ্রমিক। ঈদের আগে বোনাস তো দূরের কথা, নিয়মিত মাসের বেতনই হয়নি শ্রমিকদের বিরাট অংশের। যথারীতি বেতন-বোনাস বকেয়া কিংবা অপরিশোধের বেলায় এগিয়ে আছে পোশাকশিল্প খাত। এ যেন বঞ্চনার এক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।
তারা বলেন, কোভিড–১৯ মহামারির মধ্যেও পোশাক খাতের শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। খাতটি সচল রয়েছে শ্রমিকের আত্মত্যাগে। এর কোনো প্রতিদান না দেওয়া চরম নির্দয়তা। এই নির্দয়তার শিকারই তারা প্রতিবছর হন। করোনাকালে সময়মতো বেতন ও বোনাস না পাওয়া হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। একমাত্র সরকার কঠোর হলেই এর একটা সুরাহা হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি যেন আবারও অরণ্যে রোদন হয়ে না দাঁড়ায়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮৫৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ