চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইইউ। পাল্টা চীনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহে বিনিয়োগ চুক্তির রূপায়ণ সম্ভবপর হচ্ছে না। কারণ, এখন যা পরিস্থিতি তাতে এই চুক্তির পক্ষে সায় দিচ্ছেন না ইইউ কূটনীতিকরা।
ইইউ কমিশনের সহ সভাপতি সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বোঝা যাচ্ছে, এখন যেখানে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তখন এই চুক্তি সম্ভব নয়।
ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। প্রথমে আইনগত পর্যালোচনা হবে। সেটাও হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, অনুমোদনের প্রক্রিয়াই বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা করে লাভ নেই।
মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন যে ব্যবহার করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ইইউ-চীন চুক্তি
ব্রাসেলস ও বেজিং নতুন বিনিয়োগ চুক্তি ২০২০ সই করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের শর্ত বেঁধে দেয়া। সাত বছর ধরে আলোচনার পর গত ডিসেম্বরে তা সই হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য ছিল, ইউরোপে চীনকে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে হলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশকেও চীনে ব্যবসার সুযোগ করে দিতে হবে। প্রাথমিক ভাবে চীন এই প্রস্তাবে সহমত ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে চীনের বাজার খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রিয়েল এস্টেট, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসে ইউরোপ চীনের কাছে সমান অধিকার চেয়েছে। অর্থাৎ, চীনের সংস্থা যে সুবিধা পায়, ইউরোপের সংস্থাকেও সেই সুযোগ করে দিতে হবে।
অন্যদিকে, চীনও এনার্জি সহ একাধিক বিষয়ে ইউরোপের কাছে বিশেষ সুবিধা চেয়েছিলো। অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য ছিলো, শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিতে লাভবান হবে চীন। কারণ, ইউরোপে আরো বেশি বাণিজ্যের সুযোগ পাবে তারা। ইউরোপের ক্ষেত্রে চীন বাজার পুরোপুরি খুলবে না। চীনের সংস্থা ছাড়া এখনো ইউরোপের সংস্থা গুলি সরাসরি চীনে ব্যবসা করতে পারবে না।
কিন্তু গত মার্চে ইইউ চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। উইগুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারপর বেজিংও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এরপর থেকেই চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। এখন মনে করা হচ্ছে, তা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে গেল।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৬১১
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ