Author: ডেস্ক রিপোর্ট

আজ থেকে এক শতাব্দী পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রক ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্গারেট স্যাংগারের হাত ধরে এই জন্মনিয়ন্ত্রক ক্লিনিক মার্কিন সাম্রাজ্যে আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। আর আজ থেকে ৪০ বছর পূর্বে জন্ম নিয়ন্ত্রক খাওয়ার বড়ি অনুমোদেন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রক এই ট্যাবলেট কেবল বিবাহিত দম্পত্তিদের জন্য অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক চাইলেই এই নিরোধক ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারবে বলে আদালত রায় দেয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমনকি বিশ্বজুড়ে এর প্রচলন বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে নারীরা এর ব্যবহার বেশি করলেও সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষরাও এ পদ্ধতিতে আগ্রহী হয়ে…

Read More

আইডি কার্ডে চুল ঢেকে রাখা ছবি দেয়ার নিয়ম বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এই নিয়ম শুধুমাত্র ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী এবং কয়েক ধরণের অসুস্থতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সংবাদপত্র ওকাজ গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদের নতুন সংশোধনীতে আইডি কার্ডে নারীদের চুল এবং ঘাড় ঢেকে রাখার প্রয়োজনীয়তার শর্তাদি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংশোধনীর আগে ১৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল ‘ব্যক্তিগত ছবি অবশ্যই আধুনিক, রঙিন, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ, সামনের দিকে মুখ করা, চশমা ছাড়া, মুখের সমস্ত বৈশিষ্ট্য পরিষ্কারভাবে দেখানো এবং সাধারণ পোশাকে হতে হবে।’ আরো বলা হয়েছিল যে, ছবিটি অবশ্যই ৬x৪ ইঞ্চি…

Read More

বাংলাদেশকে ‘ব্লক বা গোষ্ঠী রাজনীতি’ প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামানকে গত বুধবার এ কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক দফতরের মহাপরিচালক লিউ জিনসং। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের এবং আঞ্চলিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখবে বলে বিশ্বাস করে চীন। তারা নিজেদের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে এবং স্নায়ু যুদ্ধ ও ব্লক রাজনীতির মনোভাব প্রত্যাখ্যান করবে। এর আগে চীন প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার আঞ্চলিক জোট কোয়াডে যোগ না দিতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছিল। ওই আহ্বানের এক বছরের মাথায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে এক বৈঠকে আবারো একই কথা বলল চীন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে চীনের নাক…

Read More

চিকিৎসাবিজ্ঞানের দুর্লভ কিছু অসুখের মধ্যে অন্যতম কোটার্ড সিনড্রোম। এতটাই দুর্লভ এই সমস্যা যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক জার্নালে বিশেষ বিশেষ রোগীর বর্ণনাই কেবল আমাদের তথ্যের মূল উৎস। রোগ নিয়ে বড় আকারে গবেষণার সুযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু কী এই কোটার্ড সিনড্রোম? এটি মূলত মস্তিষ্কের অসুখ, যেখানে রোগীর মধ্যে ভ্রান্ত কিছু ধারণার উৎপত্তি হয়। রোগী নিজের শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, সবাই দেখতে পাচ্ছে রোগীর দু’হাতই সুস্থ-সবল, কিন্তু রোগী নিজে বলতে থাকেন তার বাম বা ডান হাত নেই। সেই হাতে কোনো অনুভূতিও পান না তিনি। এটাই হলো কোটার্ড সিনড্রোম। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দুর্লভ কিছু অসুখের মধ্যে ‘কোটার্ড সিনড্রোম’ একটি।…

Read More

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল ফরাসী বন্দর নগরী ডানকার্ক থেকে মিত্র বাহিনীর সৈন্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এই মিত্র বাহিনীর অংশ ছিল প্রায় ৩০০ জন ভারতীয় মুসলিম সৈন্যের একটি দল। সেসময় তাদের ভূমিকা কী ছিল সেই গল্পের কথা মানুষ খুব একটা জানে না। সময়টা ছিল ১৯৪০ সালের মে মাস। সেসময় জার্মান সামরিক বাহিনী ফ্রান্সের ডানকার্ক শহরের বন্দর ও সমুদ্রে সৈকতে আক্রমণ করতে শুরু কলে মাত্র ন’দিনে সেখান থেকে মিত্র বাহিনীর তিন লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হয়। ইউরোপীয় সৈন্যদের সঙ্গে ছিলেন মেজর মোহাম্মদ আকবর খান নামের একজন ভারতীয় সৈন্য। জার্মান বাহিনীর বোমায়…

Read More

জিরাফের গলা ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে৷ জিরাফের কশেরুকা সংখ্যায় মানুষের মতোই সাতটি হলেও আকারে বেশ লম্বা৷ মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছাতে জিরাফের হার্টকে প্রায় দুই মিটার ওপরে পাম্প করতে হয়। জিরাফ তার লম্বা গলার জন্য পরিচিত, যেটা দিয়ে সে অনেক উঁচু গাছের পাতা খেতে পারে৷ কিন্তু হয়তো খাদ্যের প্রয়োজনে নয় জিরাফের গলার বিবর্তন হয়েছে যৌনতার জন্য৷ মধ্যযুগের বেশ কিছু চমৎকার তত্ত্ব আছে এই বিষয়টি নিয়ে৷এতে বলা হয়েছে চিতাবাঘ আর উটের সংকর হলো জিরাফ৷ অন্য তত্ত্বগুলো বলছে, গ্রিক পৌরাণিক গল্পে যে কাইমেরার কথা বলা হয়েছে সেই প্রাণীর একটা ধরন এটি, অথবা চীনা পৌরাণিক গল্পে পরিচিত কিলিন প্রাণীর একটি ধরন হলো জিরাফ৷…

Read More

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বন্দুকধারীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের দুটো ঘটনার পর দেশটিতে এই দাবি নতুন করে জোরদার হয়েছে। যারা মিছিলে অংশ নিয়েছেন তাদের শ্লোগান ছিল, গুলিবিদ্ধ হওয়া থেকে স্বাধীনতা চাই আমি। অনেকেই প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন, আমাদের শিশুদের বাঁচান, আগ্নেয়াস্ত্র নয়। এমনকি স্কুলে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের একটি বড় অংশ বাড়িতে বসে শিক্ষা নিচ্ছে, দিনে দিনে তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। মূলত দেশটির সরকারি স্কুলগুলো সামাজিক ন্যায় বিচারের বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পরায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনছেন। এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবিতে হওয়া এই বিক্ষোভকে সমর্থন দিয়েছেন…

Read More

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ইউক্রেনীয় বাহিনীও করছে। কিন্তু, দ্রুত গতিতে ফুরিয়ে আসছে তাদের গোলাবারুদের মজুদ। যুদ্ধের প্রথমদিকের তুলনায় এখন তাদের মধ্যে অনেক উচ্চ হারে পৌঁছেছে দৈনিক হতাহতের সংখ্যা। গত মাসে দৈনিক গড়ে ১০০ জন ইউক্রেনীয় যোদ্ধা নিহত হয়। চলতি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ জনে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে গতকাল শুক্রবার (১০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন খোদ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদমোর জেলেনস্কির একজন সহকারী। অর্থাৎ, আহত ও নিহত মিলিয়ে লড়াইয়ের ময়দান থেকে প্রতিদিন ১,০০০ ইউক্রেনীয় বাদ পড়ছে। তারা যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা গোরস্থানে অন্তিম শয্যায়- তখন রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে আরও বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের সুস্থ ও জীবিত…

Read More

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত প্রায় ২,৫০০ থেকে ২,৯০০টি একক প্রবাল প্রাচীরের সমন্বয়ে গঠিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ‘দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ’ পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। ৪০০ রকমের প্রবাল, ১,৫০০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ আর চার হাজারের অধিক প্রজাতির মলাস্কা পর্বের প্রাণী এই প্রবাল প্রাচীরকে করেছে জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। এতসব জীবের পাশাপাশি এখানে আশ্রিত আছে ডুগং বা সমুদ্রধেনু আর সবুজ কচ্ছপের মতো আরো অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বুকে আরেক পৃথিবী, যা আমাদের জগত থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। ১৯৮১ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই সমগ্র অঞ্চলকে মোট ৭০টি বায়োরিজিওনে ভাগ করে দেয় ইউনেস্কো, যার মধ্যে…

Read More

বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপজ্জনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতেরো শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহরের উত্তর প্রান্তে। শহরকেন্দ্রের উত্তর দিকে মিরপুর, কুর্মিটোলা, পল্টন এবং তেজগাঁও নামের চার দুর্ভেদ্য জঙ্গল ছিল। নদীতীরের দক্ষিণে ছিল কামরাঙ্গীরচর নামের এক বিস্তৃত বাদাবন। সেখানের বাসিন্দারা বাঘ, অজগরসহ অন্যান্য প্রাণীর অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। কালের স্রোতে কয়েক শ বছর পরেও…

Read More