Author: ডেস্ক রিপোর্ট

ডিসেম্বরের শুরুতে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরুর পর কারাগারে বেড়েছে বন্দির সংখ্যা। গত ১০ দিনে ঢাকাসহ সারা দেশের কারাগারে নতুন বন্দি এসেছে প্রায় ১৮ হাজার। দেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগারে এখন বন্দিতে ঠাসা। ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। সাড়ে ৪২ হাজারের কিছু বেশি বন্দি ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন প্রায় দ্বিগুণ বন্দি রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের কারাগারের ধারণক্ষমতা ও বন্দীর সংখ্যা জানতে চেয়ে কারা অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে। বাংলাদেশ জেলের অধীনে বর্তমানে ১৩ কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৫টি জেলা কারাগার…

Read More

শীতের মৌসুমের সঙ্গে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকটও শুরু হয়। এজন্য অনেক প্রাণী নিজেদের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমকে স্থবির করে দিতে পুরো শীতকাল ঘুমিয়ে কাটায়। কোনো প্রাণী আবার অন্য উষ্ণতর এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে ছুঁচো এক্ষেত্রে একদম আলাদা। শীতের মাসগুলোতে বেঁচে থাকতে এ প্রাণী নিজের মস্তিষ্কের একটি বড় অংশ ‘খেয়ে ফেলে’। শীতে ছুঁচোরা তাদের মস্তিষ্ক খেতে খেতে চার ভাগের এক ভাগে নিয়ে আসে। এরপর বসন্তে আবার এ মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়ে যায়। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ার-এর বিহেভিরাল ইকোলজিস্ট ডিনা ডেকম্যান তাই বলেছেন, ‘ছুঁচোদের থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’ মৌসুমের পালাবদলে প্রাণীর মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গ ছোট ও বড়…

Read More

নতুন ও বৈপ্লবিক ধরনের এক চিকিৎসার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ডাক্তাররা এই প্রথমবারের মতো নিরাময়ের অযোগ্য রক্তের ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা ব্যবহার করেছেন অত্যাধুনিক সেল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি। এলিসা নামের এক কিশোরীর দেহে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালিয়ে তার শরীর থেকে ক্যান্সার দূর করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কোষের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো রোগীর দেহের ক্যান্সার সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব কোষ ক্যান্সার সেলগুলোকে টার্গেট করে আক্রমণ চালায় এবং ভালো কোষের ক্ষতি না করেই সেগুলোকে নির্মূল করে। উল্লেখ্য, এর আগে এলিসার দেহে লিউকেমিয়ার প্রচলিত সব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ওষুধটি প্রয়োগের পর তার…

Read More

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ এখন বাংলাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধাক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে গত শানিবার ঢাকায় বিরোধী দল বিএনপি’র বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গণসমাবেশ হয়েছে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে। মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের আশপাশের এলাকায়ও নেতা–কর্মীদের ভিড় দেখতে পাওয়া গেছে। মাঠে জায়গা না হওয়ায় অনেক নেতা–কর্মীই রাস্তায় অবস্থান নেন। নেতা–কর্মীরা মাঠে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। আর এই সমাবেশ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিদেশি মিডিয়া। এর মধ্যে আছে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস, বার্তা সংস্থা এএফপি, স্ট্রেইটস টাইমস, এনডিটিভি প্রভৃতি।…

Read More

রাত পেরিয়ে শহরে সবে ভোর হচ্ছে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সবাই তখন অঘোর ঘুমে। আর এরা যেন সেই শান্তির ঘুমে ব্যাঘাতকারী। কখনো জানালায় টোকা মেরে, কখনো দরজায় ধাক্কা দিয়ে, কখনো বা সাইরেন বাজিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে চলেছেন। চোখ কচলাতে কচলাতে কেউ আবার জানালা দিয়ে গালিগালাজও করে দিলেন। কিন্তু তাতে কী। এটাই তো তাদের কাজ। হ্যাঁ, তখনো বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি, অ্যালার্ম ঘড়ি এতটা সহজলভ্য হয়নি। অনেক জায়গায় মানুষজনের ধরাছোঁয়ারই বাইরে ছিল। সেই সময় অর্থাৎ বিংশ শতকের শুরুর দিকে ঘুম ভাঙানোর জন্য নিযুক্ত করা হতো লোকজনকে। তাদের বলা হতো নকার আপ বা নকার আপার্স। ব্রিটেনে কিছু মানুষকে এমন চাকরিতে রাখা হতো। চলুন সেই যুগের মানব…

Read More

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে বিপিডিবির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ স্ফীত হচ্ছে প্রতি বছরই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাবদ গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বিপিডিবি ব্যয় বেড়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। বর্ধিত এ ব্যয়ের ৯৬ শতাংশই হয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (আইপিপি) থেকে বিদ্যুৎ কেনায়। তারা বলছেন, টানা লোকসানের বোঝা বইতে বইতে বিপিডিবির আর্থিক সক্ষমতা দিনে দিনে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠেছে। সরকারের কাছ থেকে বড় অংকের ভর্তুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। গত অর্থবছরেও সরকারের কাছ থেকে ২৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার ভর্তুকি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গোটা বিশ্বই এখন আর্থিক দিক থেকে দুর্যোগময় পরিস্থিতি…

Read More

সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে এমনিতেই চ্যালেঞ্জের। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সংবাদ সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে নানা ধরনের ঝুঁকিও বিদ্যমান। তদুপরি সাংবাদিকরা এই চালেঞ্জকে মোকাবিলা করেই পেশাগত কাজ করেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে যদি একের পর এক সাংবাদিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতেই থাকে, তবে তা কতটা উদ্বেগজনক বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, চলতি বছর বিশ্বে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৬৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইজেএফ) ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিকদের হতাহতের এক তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালে ৪৭ জন জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হন। আইএফজে বলছে, এ বছর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ইউক্রেনে যুদ্ধের…

Read More

ক্যালেন্ডার যখন ছিল না, তখন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন একটা কাজ ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে মিশরীয় জ্যোতির্বিদরা একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে দিনকে ১২ ঘন্টা ও রাতকে ১২ ঘন্টা হিসেবে ভাগ করে ২৪ ঘন্টায় একটি পূর্ণ দিন ধার্য করতেন। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো একটি বিশেষ পানির ঘড়ি তৈরি করে তাঁর আশ্রমের ছেলেদের পাঠ দিতেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, মানুষ যেদিন বছর কীভাবে গুনতে হয় তা শিখলো, সেদিন চাঁদের হিসেবেই শুরু করেছিল বছর গোনার কাজ। সৌর গণনার ব্যাপারটা শুরু হয় আরো পরে। তবে তার মানে এই না যে সৌর ও চন্দ্রের সাপেক্ষে গণনার নিয়ম একই। সৌর গণনার সাথে ঋতুর যোগসদৃশ থাকলে, চাঁদের…

Read More

দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন ছিল। ১৯ শতাব্দীতে এসে দাসপ্রথার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটে। প্রাচীন যুগে প্রায় সব সাম্রাজ্যের মধ্যেই দাসপ্রথার প্রচলন ছিলো। তেমনই প্রচলন ছিলো প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যেও। রোমান যুগে দাসপ্রথা ছিল একটি জটিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা। প্রাচীন রোমের ক্রীতদাসদের বেশিরভাগই মালিকের বাসাবাড়ির কাজকর্ম, ব্যবসা, দোকানের কাজ কিংবা কৃষিকাজের সাথে সংযুক্ত থাকতো। এছাড়াও প্রাচীন রোমে কিছু মুক্ত দাস থাকতো তাদেরকে ধনী ও সাধারণ মানুষেরা অর্থের বিনিময়ে কাজ করিয়ে নিতো। প্রাচীন রোমের ক্রীতদাসরা রোমান সম্রাট ও ধনীদের দ্বারা প্রচন্ড শোষিত হয়েছিলো। রোমের ঐতিহাসিক প্রায়…

Read More

সমকামিতা আর সাধারণ ধার্মিকদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব বাংলাদেশ, ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বিরাজমান; তা দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সাধারণ মানুষ সমকামিতা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার সকল ধারণা রাখেন। কারণ, আপনি যখন কোনো কিছুর বিরোধী হয়ে উঠবেন – রাজনীতিবিদদের মত বিরোধ করার জন্য হলেও সে সংক্রান্ত সকল তথ্য আপনার নখদর্পণে থাকা চাই। বাংলাদেশ বা ভারতের কতজন মানুষ জানে সমকামিতা জীনগত! তারা জানে এটা পাপাচার, ধর্মীয়ভাবে অপরাধ। ঘৃণ্য! এটুকুই! অথচ সমকামিতার সাথে জিনের সংযোগ আছে, এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে ১৯৯৩ সালের ডিন হ্যামারের করা গবেষণায়। ২০১৪ সালে করা বৃহৎ পরিসরে জমজদের উপর করা আরো একটি গবেষণায় এই ফলাফল প্রায় সম্পুর্ণভাবে নিশ্চিত হয়।…

Read More