ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচায় শিশুপুত্রকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অবশেষে শ্নীলতাহানির মামলা নিয়েছে পুলিশ। ঘটনার চার দিন পর ওই নারীর মূল এজাহার সরিয়ে ফেলে নতুন করে লিখিত এজাহারে স্বাক্ষর নিয়ে শ্নীলতাহানির মামলা করতে বাধ্য করেন ওসি।
গত শুক্রবার রাতে নজরুল নগর ইউনিয়নের চরনুরুদ্দিন গ্রামের আবাসন প্রকল্পে শিশুপুত্রকে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে মাকে ধর্ষণ করে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক প্রতিবেশী রিপন পাটোয়ারী।
ঘটনার পরদিন গত শনিবার দক্ষিণ আইচা থানায় রিপন পাটোয়ারীকে আসামি করে লিখিত এজাহার দেন ওই নারী। কিন্তু পুলিশ এজাহার না নিয়ে সমঝোতার জন্য তাকে চাপ দেয়। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর ওই নারীকে থানায় ডেকে এনে ধর্ষণের মূল ঘটনাকে আড়াল করে শ্নীলতাহানির মামলা নেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার মূল এজাহারটি সরিয়ে ফেলে পুলিশ। নতুন করে এজাহার লিখে তাতে স্ব্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষর নেওয়ার সময় ওসি হারুন অর রশিদ তাকে বলেছেন ধর্ষণ মামলাই নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এজাহার নথিভুক্তের পরে পুলিশ বলছে ধর্ষণ নয়, শ্নীলতাহানির মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামির সঙ্গে আঁতাত করে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগকে আড়াল করে আমার মামলা পরিবর্তন করেছে পুলিশ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, ভিকটিম ওই নারী এখন সাংবাদিকের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করলেও গত শনিবার তার করা অভিযোগে শ্নীলতাহানি ও ভয়ভীতির অভিযোগ এনেছিলেন। আগের ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ