পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ঢাকার ধামরাইয়ে চোরাই মোটরসাইকেলসহ জনতার হাতে আটক হয়েছেন মাসুদ রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে চোরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে আমতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। মাসুদ রানা সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার চুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মিরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধামরাই উপজেলার ভাড়রিয়া ইউনিয়নের আমতলা এলাকার মো. জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ইন্ডিয়ান পালসার ব্র্যান্ডের সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করেন। কিছুদিন আগে ওই মোটরসাইকেলটি তার বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তা পাওয়া না গেলে মোটরসাইকেলের মালিক জহিরুল ইসলাম জহির হতাশ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলের আশা ছেড়েই দেন। পরে শনিবার সকালে তার কেনা মোটরসাইকেলটি পুলিশ সদস্য চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটি দেখে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক শখ করে এই মোটরসাইকেলটি ক্রয় করেছিলাম। হঠাৎ করে তা চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজার পরও তা পাইনি। আজ কপালগুণে চোরসহ মোটরসাইকেল পেয়েছি।
অন্যদিকে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানা বলেন, আমি অন্য একজনের কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি ক্রয় করি। আমাকে সুযোগ দেয়া হলে আমি তাকে থানায় হাজির করে দেব। এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি তদন্ত মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে আইন রক্ষাকারীরা আইন ভঙ্গ করলে এক বিশৃঙ্খল তৈরী হয়। আইনের রক্ষক হয়ে যদি তা লঙ্ঘন করেন তবে সেটা অন্যদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা হারায়। তারা বলেন, দেশে পুলিশের বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ আসে যে, সন্ত্রাসীদের চেয়ে পুলিশ নিয়ে ভাববার সময় চলে এসেছে। খুন, ধর্ষণ, মাদক সেবন ও পাচার ইত্যাদি হেন অপকর্ম নেই যা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। আইনের অপব্যবহার করে এসব করে থাকেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৫৩৯
আপনার মতামত জানানঃ