স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪২৭ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘হত্যাচেষ্টার’ মামলা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিলকারী বামধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। কারাগারে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আটক সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলায় সাতজনকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুব আলম জানিয়েছেন।
ছয় মাসের বেশি সময় আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় বুধবার মুশতাক আহমেদ মারা যান। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বামধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়।
বাদানুবাদের পর ছাত্র ফেডারেশনের মিছিলের পথ ছাড়ল পুলিশ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে পুলিশের ‘হামলার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শাহবাগের পথে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর পুলিশ মিছিলের পথ ছেড়ে দেয়। পরে ছাত্র ফেডারেশনের মিছিলটি শাহবাগ ঘুরে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশের শেষ দিকে ‘জনগণের পক্ষ থেকে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ঘোষণা করে সংগঠনটি। আইনটিকে কণ্ঠরোধকারী ও নিবর্তনমূলক বলে আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনটির প্রতি ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করতে গেলে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।এতে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
‘ধর্ষণে’ স্কুলছাত্রীর সন্তান, মামলায় কারাগারে পুলিশ সদস্য
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ফেনীর ফুলগাজীতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় বলে ফুলগাজী থানার ওসি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন জানিয়েছেন। তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামের এই কনস্টেবল রাঙামাটির শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ওসি কুতুব উদ্দিন জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নালিশি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার আসামিরা হলেন পুলিশ সদস্য ফুলগাজী উপজেলার বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু।
মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান ওসি।
মোটরসাইকেলে পুলিশ সদস্যদের আন্তজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সরকারি বা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় না ভ্রমণ করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গত বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মোহাম্মদ আবদুল্লাহীল বাকী স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি পুলিশ সদস্যরা প্রায়ই সরকারি বা ব্যক্তিগত কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত বা নিহত হচ্ছেন। এ অবস্থায় সরকারি কাজে বা ছুটিতে কিংবা ব্যক্তিগত কাজে মোটরসাইকেলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
মুশতাকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ মিছিল, পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগের মশাল মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এই সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করে বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলে ১৩ থেকে ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে একটি মশাল মিছিল শাহবাগের দিকে গেলে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের গেটে সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের পিছু নিয়ে আবারও লাঠিচার্জ করে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে পিছু হটে চারুকলার সামনে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছুঁড়ে।
আহতদের মুখে পুলিশের লাঠিচার্জের বর্ণনা
দ্য ডেইলি স্টার
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তারা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের সে মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্য অনেকের সঙ্গে আহত হয়েছেন তারা। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে আহতদের কয়েকজন কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফি নিতু বলেন, ‘মিছিল যাচ্ছিল শাহবাগ মোড়ের দিকে। মিছিল নিয়ে আগানোর সময় পুলিশ একসময় থামায়। আমাদের একজনকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে আমি এগিয়ে যাই। পুলিশ এরপর ক্রমাগত ধাওয়া দেয়। ধাওয়ার সময় আমি পড়ে যাই। পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে। পড়ে যাওয়ার পর আমার ওপরও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। যারা সেখানে ছিল, তাদের সবার ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। অনেকের মাথা ফেটে গেছে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে ঘুরে আবার টিএসসিতে চলে আসব। আমরা যখন শাহবাগ যাই, আমাদের ওপর পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আমাদের হাতের মশালের ওপর চার্জ করে। এতে অনেকের গায়ে আগুন ছিটকে পড়ে। পেছনে জ্যাম ছিল। সেখানে যারা ছিল তাদের সবাইকে তারা মেরেছে। থানার মোড়ের কাছে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে।
লেখক মুশতাক নিয়ে পোস্ট, গ্রেপ্তার ১
প্রথম আলো
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে তাঁকে ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদাপোশাকের পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন রুহুল আমিন। তিনি মুশতাক আহমেদের সঙ্গে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের খুলনার বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেই বাসা থেকেই তাঁকে আটক করে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মানুষের নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ট্রিবিউন
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন একজন সাধারণ মানুষ ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন? এজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে “ডিজিটাল নিরাপত্তা” দেওয়ার জন্য। আর এই আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়, সেবিষয়ে সরকার “সচেতন” আছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুরপাড়ে নিজ বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই মন্তব্য আসে। তিনি বলেন, “মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটা সত্যিই অনভিপ্রেত। আমিও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফেলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে।”
উল্লেখ্য, নানা পক্ষের আপত্তি ও সাংবাদিকদের উদ্বেগের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা থেকেই যায়। দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সেসময় এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
বাংলা টিব্রিউন
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়। পরে শাহবাগ হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড় ঘুরে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে বিরতি নেয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ছাত্র নেতারা। সমাবেশে থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়। কর্মসূচিগুলো হলো— আগামী ১ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও। ৩ মার্চ বেলা ১১টায় দল-মত নির্বিশেষে প্রেস ক্লাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো— ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। কারাগারে লেখক মুশতাকের পরিকল্পিত হত্যার বিচার করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কার্টুনিস্টসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ সময় গতকাল মশাল মিছিলে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্তে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়।
UNACCEPTABLE
Outrage all over after Mushtaq’s death in custody; call for scrapping DSA gets louder
The Daily Star
Category : State Force
Condemnation poured in and people from all walks of life, especially students and teachers, took to the streets yesterday expressing anger over the death of writer Mushtaq Ahmed in jail custody.
Besides, a clash between protesters and police left several injured on Dhaka University campus.
Mushtaq died on Thursday while he was an arrestee in a case filed under the Digital Security Act. With the death of this uncompromising voice, the call for scrapping the controversial DSA got louder. Legal experts said such a death was not only unacceptable but also shocking.
They said the detention of Mushtaq for over nine months, denying him bail so many times and his subsequent death demonstrates that people’s fundamental rights to freedom of speech and thoughts have been squeezed, something which can never happen in a democratic country.
Commentary by Mahfuz Anam: DSA – the law that jails now kills
The Daily Star
Category: Digital Security Act
Mushtaq Ahmed, the writer, the commentator, the socially conscious citizen, the articulate but moderate voice of dissent and a critical observer of current events is dead. The official cause will be known after autopsy. But the real cause we already know – our cruel system, in which anybody can be picked up, locked in prison, accused of a myriad of vague “crimes” and kept confined for months without trial, without bail, and without explaining the causes of confinement. We have a system where freedom of individuals are mere playthings in the hands of the people in power and there is no redress when such instances occur.
It was the inhuman use of the Digital Security Act (DSA), the unexplained imprisonment over nine months, the six times rejection of bail, the dark maze of the legal entanglements, endless drain of money for obvious and not so obvious reasons, and the unjustness of it all that made the life of writer and commentator Mushtaq Ahmed nothing more than a dark endless hole. The reality was so inexplicably cruel and beyond reason that being alive lost all meaning.
Minister defends Digital Security Act amid call for repeal after writer’s death in jail
bdnews24.com
Category: Digital Security Act
Amid a growing call for revoking the Digital Security Act, Information Minister Hasan Mahmud has said the law was passed to ensure the “digital security” of the people. Speaking to journalists at his home in Chattogram on Friday, Hasan said the government is careful enough to prevent the abuse of the act.
He faced questions from the reporters over the death of writer Mushtaq Ahmed in jail custody nearly 10 months after his arrest in a case under the Digital Security Act for social media posts criticising the government’s coronavirus response. Hasan mourned Mushtaq and said his death was unwanted. “It can be looked into whether there was negligence of duty by the prison officials,” he said.
A death that starkly stares into Digital Security Act
New Age
Category : Digital Security Act
THE death of 54-year-old entrepreneur and writer Mushtaq Ahmed in jail custody in Kashimpur, who had been there since August 2020 after his arrest in May 2020 in a case filed under the Digital Security Act 2018, is an attestation to why journalists have so far stood against the law. Journalists have since its passage protested against the draconian law, a vigorous reincarnation of the infamous Information and Communications Technology Act 2003, that has provided the government with a strong handle to muzzle dissent in society. Mushtaq, who founded Bangladesh’s first commercial crocodile farm, Reptiles Farm Ltd, in Mymensingh in 2005, was arrested along with others, who included cartoonist Ahmed Kabir Kishore, in the case that had 11 named and five to six unnamed accused. The charges included tarnishing the image of Bangladesh’s founding president, hurting the spirit of the liberation war and spreading rumours about COVID-19 and security forces on social media. Two of the arrested were remanded on bail, but the court refused to remand Mushtaq and Kishore on bail six times. He had been in jail for about nine months without any trial as the police only on February 9 submitted a charge sheet against Mushtaq, Kishore and Didarul Bhuiyan, the Dhaka coordinator of a platform called Rashtrachinta.
আপনার মতামত জানানঃ