বিজয় দিবস উপলেক্ষে বিজয়স্মম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর সময় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত নয় জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন সিকদার ও জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েম আহমেদ বলেন, “সোমবার মারামারির ঘটনায় হাসপাতালে প্রায় ৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আহতরা হলেন- দেয়ানের খামার গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে মাইদুল ইসলাম, মমতাজ আলীর ছেলে উমর ফারুক, গোলাম কিবরিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী, পাইকেরছড়ার গ্রামের শাহা আলমের ছেলে আলম মিয়া, দক্ষিণ ছাট গোপালপুর মমিনুল সিকদারের ছেলে স্বদেশ সিকদার, কামাত আঙ্গারিয়ার সুলতান মিয়ার ছেলে সোহেল, আব্দুল মজিদের ছেলে লিমন, আব্দুর জব্বারের ছেলে ইয়াকুব এবং বাগভাণ্ডারের আহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন সিকদার বলেন, “বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৫-৬ জন নেতাকর্মী উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিজয়স্মম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার প্রায় শতাধিক অনুসারী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়।
“পরে তারা আরও সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ মোড়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের ৯ জন আহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “হামলাকারীরা স্থানীয় সাংবাদিকদেরও লাঞ্চিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন, “আমি কিছু জানি না। আমি অসুস্থ চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। ফরিদুল ইসলাম শাহিন সিকদার বহিস্কৃত। সে এখন উপজেলা বিএনপির কেউ নন।
“কাজেই বিএনপির হয়ে কোনো কর্মসূচিতে তার থাকার কথা নয়। কি ঘটেছে আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবো।”
এই বিষয়ে জানতে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আপনার মতামত জানানঃ