বিগত সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লুটপাটে সহায়তাকারী সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার—এই তিন জনই গাঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখন তার খেসারত দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। খেসারত দিচ্ছে ব্যাংকের গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর নিয়োগের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনও ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরেনি। অনেক গ্রাহক ব্যাংক থেকে প্রয়োজন মতো টাকা তুলতে পারছেন না। নিজের টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে না পারায় গ্রাহকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অপরদিকে তীব্র তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছেন না। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তারল্য সংকটে ইতোমধ্যে হ্রাস পেয়েছে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ। এমনকি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আরও একবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ঋণের সুদ আরও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ এই উদ্যোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। তাদের যুক্তি, ঋণের সুদ বাড়লে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে চাপ বাড়বে। এছাড়া নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা থেকে হয়তো সরে আসতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার দশমিক ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এ নিয়ে চলতি বছরে পঞ্চমবারের মতো ও গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সময়ে তৃতীয়বারের মতো নীতি সুদহার বা পলিসি রেট বাড়ানো হলো। একে রেপো রেটও বলা হয়।
মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে যে সুদের হারে ঋণ নিয়ে থাকে, তাকে রেপো রেট বা নীতি সুদহার বলা হয়। এখানে উল্লেখ্য, এবারই প্রথম মূল্যস্ফীতির হারকে ছাড়িয়ে গেছে নীতি সুদহার।
এর ফলে আমানতে সুদ হার বেড়ে গেছে। কিন্তু তবু ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী টাকা সংগ্রহ করতে পারছে না। আর টাকা না পাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। দুর্বল ও শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহকরা তাদের টাকা তুলতে গিয়ে চাহিদা মতো টাকা তো পাচ্ছেনই না—উপরন্তু, গত দুই মাস ধরে কোনও ব্যাংকের বুথে গেলে বলা হচ্ছে টাকা নেই। আবার কারও অনলাইন লেনদেনও বন্ধ রয়েছে। অনেকেই গচ্ছিত টাকা নিয়ে উদ্বেগেও রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখায় এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। টাকা না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করতেও দেখা গেছে। অনেকেই গত দুই মাস ধরে অপেক্ষা করেও ব্যাংক থেকে টাকা বের করতে পারছেন না। এমন প্রেক্ষাপটে অনেকে টাকা রাখা ছেড়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া কিছু ব্যাংকের ভগ্নদশা ব্যাংক খাতে মানুষের আস্থা কমিয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংক খাত সংস্কারে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে শুধু সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না, ব্যাংকের গ্রাহক বা আমানতকারীদের আস্থা অটুট রাখতেও কাজ করতে হবে। মানুষ যাতে আস্থার সঙ্গে ব্যাংকমুখী হয় সেই উদ্যোগ আগে নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনের তুলনায় জুলাই মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা বেশি ছিল ২ হাজার কোটি টাকা। জুলাইয়ে ব্যাংকগুলোর বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। আগস্টেও এই ধারা অব্যাহত ছিল এবং টানা ৯ মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমানত না বেড়ে উল্টো প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কমেছে। ব্যাংক খাতে এভাবে আমানত কমে যাওয়ার নজির নিকট অতীতে দেখা যায়নি। ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার বেশি দিলেও অনেক গ্রাহক ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহী নন।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যাংকের প্রতি মানুষে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। গ্রাহক বা আমানতকারী আস্থা হারিয়ে ফেললে ব্যাংক খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ এভাবে নিজেদের কাছে নগদ টাকা রেখে দিলে দুর্বল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট আরও বাড়বে। এতে আমানত ও ঋণের সুদহার আরও বাড়তে পারে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্যাংকের বাইরে ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। পরের মাস ডিসেম্বর থেকে অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৭ শতাংশ বা ৪৪ হাজার কোটি টাকা। এই সময় থেকে ব্যাংকগুলোতে টাকার সংকট তৈরি হয় এবং দেখা দেয় ডলারের বাজারে অস্থিরতা। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে বেশি বেশি টাকা তোলা শুরু করেন। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুরুতে এক লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপর সর্বোচ্চ দুই লাখ, তারপরের সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন লাখ, তারপরের সপ্তাহে চার লাখ এবং শেষ নির্দেশনায় সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা তোলার সুযোগ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেখা গেছে, টানা এক মাসের বেশি সময় কোনও ব্যাংক থেকেই চাহিদা অনুযায়ী টাকা ওঠাতে পারেনি গ্রাহকেরা। তবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা তুলে নেওয়া হলেও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো এখনও তাদের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারছে না।
চলতি বছরের ১৩ আগস্ট ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮টি ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এতেও গ্রাহকদের খুব বেশি উপকার হচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা কিছুটা কমলেও তারল্য সংকটে ভুগছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক।
অবশ্য ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আর্থিক খাত বিষয়ে অভিজ্ঞ ছয় জনকে সদস্য করা হয়েছে।
কিছু দিন আগে এক অনুষ্ঠানে গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সবাই একসঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা না তুলে যেটুকু না তুললেই নয়, সেটুকুই তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) চাঁদপুর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ঘেরাও করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। জানা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর জেলা শাখার গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজার। অথচ ১০০ গ্রাহকের টাকাও দিতে পারছে ব্যাংকটি। এদিকে আগের দিন সোমবার (২১ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায় টাকা না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। এদিন বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শতাধিক গ্রাহক অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
গ্রাহকরা মহাসড়ক অবরোধ করায় আধা ঘণ্টার মতো যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয় গ্রাহকদের বক্তব্য হলো— ন্যাশনাল ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করা গ্রাহকেরা গত তিন মাস ধরে ব্যাংকে তাদের সঞ্চিত টাকা ওঠাতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কাউকেই চাহিদামতো টাকা দিচ্ছে না ব্যাংক। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যাংকে অপেক্ষা করে টাকা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
ন্যাশনাল ব্যাংকের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম শাখায় টাকার সংকটে গ্রাহকের চেক ফেরত দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১০ অক্টোবর সকাল থেকে একটি চেকে ১০ হাজার টাকাও উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহকরা। এতে অনেক গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যান।
সাহিদা নামে এক গ্রাহক প্রথমে একটি ৪০ হাজার এবং পরে একটি ১০ হাজার টাকার চেক দিয়েও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভে কর্মকর্তাদের সামনে দুটি চেক ছিঁড়ে ফেলে দেন। বর্তমানে এই শাখার গ্রাহক সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।
একাধিক গ্রাহক বলেছেন, দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাংকে এসে টাকা নিতে পারছি না। ব্যাংকে এলেই তারা বলছেন সামনের সপ্তাহে আসেন ঠিক হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ব্যাংকে এখন টাকার সংকট চলছে। সংকট উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিলেও গ্রাহকদের বিড়ম্বনার কমতি নেই। এমন পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এদিকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা ওঠাতে পারছে না। নিরুপায় হয়ে অনেকে অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাচ্ছেন।
এদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকও চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহককে টাকা দিতে পারছে না। গত রবিবার (২০ অক্টোবর) রামপুরা শাখায় ৩ লাখ টাকার চেক দিলেও টাকা তুলতে পারেননি একাধিক গ্রাহক। ক্যাশ কাউন্টার থেকে জানানো হয়, নগদ ১ লাখ টাকা দেওয়াও সম্ভব নয়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে চেক নিয়ে ঘোরাঘুরি করেও চাহিদামতো টাকা তোলা যায়নি গত সপ্তাহের পুরোটা সময়, এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা।
চাঁদপুর সদর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকের এক গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন। তিনি প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পারছেন না বলে জানান। ফলে তার জরুরি কাজগুলো আটকে যায়।
রাজধানীর দিলকুশা এলাকার ইসলামী ব্যাংক, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আল আরাফাহ ব্যাংকের কোনও এটিএম বুথেই টাকা নেই। এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। বুথ কর্মীরা জানান, এস আলমের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না বেশিরভাগ বুথে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংক খাতের মাফিয়া এস আলমের নিয়ন্ত্রণে যেসব ব্যাংক ছিল, সেসব ব্যাংকে চরম তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সব মানুষের একসঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়ার প্রবণতা চলতে থাকলে ব্যাংককে যত টাকাই দেওয়া হোক না কেন, ব্যাংক এত মানুষের চাপ সামাল দিতে পারবে না।’
অবশ্য সম্প্রতি দুর্বল কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সংকট কাটাতে ঋণ সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ জালিয়াতিসহ নানান অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে তারল্য গ্যারান্টি দিচ্ছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক। এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যাংক গত একমাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি পেয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটিড পেয়েছে ১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ২৯৫ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭৭৫ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৮২০ কোটি টাকা।
তারল্য সংকটে থাকা এই ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দিয়েছে সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ৪টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সুবিধা পেয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৬৯৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ২৫ কোটি টাকা
আপনার মতামত জানানঃ