শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত গোপনে প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। লক্ষ্য একটাই বাংলাদেশের সেনা ভারতের দিকে যাতে কোনো স্ট্র্যাটেজিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে না পারে। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে- সামরিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটির হাতে রয়েছে মাত্র ৮ টি মিগ্, ২৯ টি ফাইটার জেট।
যা প্রমাণ করে হাসিনার আমলে স্পষ্টতই দেশের সামরিক ক্ষেত্রকে অবহেলিত করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও সামরিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী পাকিস্তান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৪ এর মতে , পাকিস্তানের মিলিটারি বাহিনী বিশ্বরাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে রয়েছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী – তাদের হাতে রয়েছে জেএফ-১৭ , ২৫ টি জে-১০সি ফাইটার জেট। জিম্বাবুয়েকে ১২-এমএফআই-১৭ সুপার মুশশাক প্রশিক্ষক বিমান সরবরাহ করার জন্য পাকিস্তান আরেকটি বহু মিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেয়েছে। এখানেই শেষ নয় । পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে প্রায় ৬৫,০০০ পূর্ণকালীন কর্মী (যার মধ্যে ৩,০০০ জন পাইলট) রয়েছেন এবং তারা বর্তমানে প্রায় ৮৮৩টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করে। চীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীকে (পিএএফ) জে-৩১ স্টিলথ ফাইটার অফার করেছে। পাকিস্তানের অস্ত্রসম্ভারে রয়েছে তুরস্কের অত্যাধুনিক বন্দুকও । এখানে আরেকটি বিষয় ভুলে গেলে চলবে না মুসলিম বিশ্বে একমাত্র পাকিস্তানের হাতেই রয়েছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বা পারমাণবিক শক্তি।
নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত সবসময় চেয়ে এসেছে বাংলাদেশের মিলিটারি বাহিনী দুর্বল হয়েই থাকুক। আর তাই সামরিক বিভাগে বরাদ্দ না বাড়িয়ে ভারতকে সাহায্য করে এসেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত জানে যদি বাংলাদেশের মিলিটারি বাহিনী শক্তিশালী হতে শুরু করে তাহলে এই অঞ্চলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের অর্থনৈতিক এবং সামরিক খাতকে শক্তিশালী করা। পাকিস্তানের থেকে সামরিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজের মিলিটারি বাহিনীকে শক্তিশালী এবং উন্নত করতে পারে, যে সহায়তা তারা ভারতের থেকে পায়নি। যে কোনো বিদেশী শক্তির বিপরীতে বিশেষ করে ভারতকে টেক্কা দিতে পাকিস্তান -বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে একটি নতুন শক্তি হিসেবে উদ্ভুত হতে পারে।
হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ এখন নিজেদের সামরিক সম্ভারকে সাজাতে মনোনিবেশ করেছে , যেখানে ভারতের ছায়া থাকবে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাই বাংলাদেশের কারোর হাতের পুতুল হয়ে থাকার দরকার নেই। আগামী দিনে পাকিস্তান -বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে একটি নতুন সমীকরণ তৈরী করতে পারে, বিশেষ করে ভারতকে চাপে রেখে। সবশেষে বলতে হয় বাংলাদেশের সামরিক সম্ভারে ভারতের নাক গলানোর দিন শেষ।
আপনার মতামত জানানঃ