আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তরকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে এসব দপ্তরের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়।
আজ রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আল্টিমেটাম দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যারা চাটুকার, দালালি এবং ভিন দেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিয়ে দেশে ছিল। আমরা মনে করি সেই জায়গাগুলোতে তাদের থাকার কোনো অধিকার নেই। আমরা বলব যে আপনারা চলে যান। আপনারা যদি চলে না যান, অবশ্যই আমরা প্রত্যাশা রাখি এবং আমরাই এটি করব।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ক্ষোভ বেড়েছে। যা সবাইকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাত দিনের মধ্যে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানানো হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন,‘তোমরা ট্রাফিক কন্ট্রোল করছ। তোমরা কয়দিন ধরে বাজার মনিটরিং করছো। তাই আমার মনে হয়েছে তোমাদের সঙ্গে বসা দরকার। তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেব। আমি অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। মাংস, ডিম, ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, শিশুখাদ্য নিয়ে কাজ করেছি। অনেক কথা বলেছি, অনেক নথি আছে। সেই নথি আমি তোমাদের হাতে তুলে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পেছন দিকে তাকালে হবে না, আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি দপ্তরগুলোকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হবে এবং সেটি স্বীকার করার সৎ সাহস রাখতে হবে। তোমাদের হাত এত শক্তিশালী হয়েছে, তোমরা যেখানে হাত দেবে, সেখানেই সোনা ফলবে। আমরা আসলেই ব্যর্থ হয়েছি। এখন তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি।’
এদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাজার মনিটরিং করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ সকালে কুমিল্লা নিউমার্কেট এলাকায় বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আইনি ব্যবস্থা নিতে না পারায় ভোক্তা অধিকার তাদের সহযোগিতা করবে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই জনসাধারণের সচেতনতা বাড়বে।’
আপনার মতামত জানানঃ