ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান সাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে বদলি করে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপারেশন পদে পদায়ন করা হয়েছে।
হারুন অর রশীদের জায়গায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামানকে। তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে লজিস্টিক, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রক্রিউরমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
একই আদেশে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিনকে অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে লজিস্টিক, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রক্রিউরমেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নানা কারণে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাতজন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেয়া, তাদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়ার ছবি প্রচার করার কারণে উচ্চ আদালত উষ্মা প্রকাশ করে। এছাড়া তার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন হারুন অর রশীদ। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ওই সমন্বয়কদের মধ্যে তিনজনকে ধরে নেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। এরপর বাকি তিনজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক গত রোববার এক ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ওই দিনই ডিবি কার্যালয়ে ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন হারুন অর রশীদ।
এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার পাশাপাশি হাইকোর্টও উষ্মা প্রকাশ করেন। গত সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ছয় সমন্বয়কের কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়ার প্রসঙ্গ তুললে হাইকোর্ট বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’
এ ছাড়া সম্প্রতি হারুন অর রশীদকে নিয়ে একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আপনার মতামত জানানঃ