রাস্তার ধারে সারি সারি কাঠের তক্তা স্থাপন করা হচ্ছিলো। রোমান লিজিয়নের শক্তিশালী সৈনিকরা এই তক্তা লাগানোর মহড়া তদারকি করছে। পথের ধারে বসে থাকা একজন ভিখারি রোমান সৈনিকদের এদিকে আসতে দেখামাত্র কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেলো মুহূর্তের মধ্যে। বিপদের গন্ধ নাকে আসা মাত্র যে যেদিকে পারছে আত্মগোপন করছে।
রোমান সমাজে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও রোমের সাধারণ জনগণ বেশ কয়েকবার এই মহড়ার সম্মুখীন হয়েছে। ইংরেজি প্লাস চিহ্নের ন্যায় গড়নের তক্তাগুলো একের পর এক সারিবদ্ধভাবে লাগানো শেষ হওয়া মাত্র শহরের কারাগার থেকে বিশাল গাড়ি সেদিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করলো। গাড়ির জানালা দিয়ে প্রায় ডজনখানেক শেকল পরা হাত ঝুলছিলো। পথচারীরা শেকলের ঝনঝনানি শুনে সেদিকে একপলক তাকিয়ে থাকলো। তাদের কারো বুঝতে বাকি থাকলো না কী ঘটতে যাচ্ছে।
কারাগারের বিশাল ভ্যানে করে তখন রাষ্ট্রদোহী ইহুদিদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্রুশতক্তার দিকে। রোমান সম্রাটের সরাসরি ক্ষমতাবলে তাদের উপর ক্রুশবিদ্ধকরণের আদেশ জারি হয়েছে। মধ্যগগণে যখন দিনের সূর্য খাড়াভাবে তাপ দেয়া শুরু করবে, ঠিক তখন একে একে তক্তার মাথায় এই ইহুদি বিদ্রোহীদের ক্রুশবিদ্ধ করে টাঙিয়ে দেয়া হবে বাজারের পণ্যের ন্যায়।
রোমান সাম্রাজ্যে আর যা-ই করা হোক না কেন, বিদ্রোহীদের সাথে কোনো আপোষ করা হতো না। তাই বিদ্রোহী ইহুদীদের একাংশকে ক্রুশবিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে শাস্তি এখানেই শেষ নয়। সম্রাটের নির্দেশে রোমান সেনারা ইহুদি পল্লীর কৃষিজমিতে লবণ ছিটিয়ে দিয়ে তাদের সারা বছরের কষ্টকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। হাজার ইহুদি দাসকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।
ইতিহাসবিদদের হিসাব অনুযায়ী, ৭০ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া ইহুদি বিদ্রোহের শাস্তিস্বরূপ প্রায় ১০ লক্ষ ইহুদী নিধন করা হয়েছে। এর থেকে নিস্তার লাভের কোনো পথই খোলা ছিল না। কারণ, হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী রোমান সাম্রাজ্যে তখন আইনের শাসন শুরু। সিনেটে লিপিবদ্ধ করা আইনানুযায়ী যা শাস্তি ধার্য করা ছিল, তা সকলেকেই মাথা পেতে নিতে হতো। বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে সেগুলো নিষ্ঠুর ঠেকলেও পৃথিবীর ইতিহাসে রোমান আইন ছিল এক যুগান্তকারী বিচার ব্যবস্থা।
রোমান সাম্রাজ্যের সুদীর্ঘ ইতিহাসে রোমান আইন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বড় অবদান হিসেবে দেখা হয়। সিনেটের সদস্যগণের সম্মতিক্রমে প্রণীত আইনগুলো রোমান সাম্রাজ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। রোমানদের আইনব্যবস্থায় গ্রিক আইনের কিছুটা অবদান রয়েছে। গ্রিকদের ন্যায় রোমে বিশ্বাস করা হতো, আইন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ নিজের অধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাবে। রোমানদের আইনগুলো লিখিতরূপে সংরক্ষিত থাকতো। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অব্দে সর্বপ্রথম লিখিত রোমান আইন প্রচলিত হয়। ইতিহাসের পাতায় Twelve Tables বা বারো টেবিল নামে পরিচিত সেই আইনের মাধ্যমে রোমে এক নতুন যুগের সূচনা হয়।
প্রায় বারটি ধাপে রোমের সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রণীত সেই বারো টেবিল আইনটি আজও ইতিহাসবিদগণের নিকট এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্তু শুরুর দিকে রোমানদের আইনগুলো কিছুটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রাজ্যজুড়ে। ফলে সঠিকভাবে আইন প্রণয়ন সম্ভব হতো না।
৫৩৪ সালে সম্রাট জাস্তিনিয়ান সর্বপ্রথম রোমান সাম্রাজ্যের সকল আইন একীভূত করার প্রকল্প হাতে নেন। বর্তমান পশ্চিমা আইনে রোমানদের পরোক্ষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তা মূলত সম্রাট জাস্তিনিয়ানের পদক্ষেপের ভবিষ্যৎ ফসল হিসেবে গণ্য হয়। রোমের আইনের ক্ষমতাবলে কোনো নাগরিক সরাসরি রোমের রাজদরবারে ফরিয়াদ জানাতে পারতো। নাগরিক ব্যতীত সাধারণ জনগণের জন্য অবশ্য সেই সুযোগ ছিল না। তাদের ভরসার পাত্র হিসেবে থাকতেন স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
কিন্তু মাঝে মাঝে আইনের কোপানলে পড়েই অত্যাচারিত হতো সাধারণ জনতা। অত্যাচারী শাসকগণ নিজেদের সুবিধামতো আইন প্রণয়ন করতেন। যেমন- সম্রাট ইচ্ছে করলেই কাউকে হত্যা করতে পারবেন। এজন্য তিনি কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য ছিলেন না। এর ফলে ভুক্তভোগী হতো রোমের শ্রমজীবী জনতা। ইতিহাসবিদ টেকিটাস এই সম্পর্কে বলেছেন, “রোমের শাসক যত অত্যাচারী ছিলেন, তার প্রণীত আইনের সংখ্যা তত বেশি ছিল।”
৭৫৪ খ্রিস্টপূর্বের আগে রোমে স্বেচ্ছাচারীদের দাপট বিদ্যমান ছিল। বিভিন্ন ধর্মমত অনুসারে আইনের প্রয়োগ ভিন্ন ছিল। বিশৃঙ্খল রোমে একতা ফিরিয়ে আনার জন্য তখন রোমান পণ্ডিতগণ বারো টেবিলের আইনের সূত্রপাত করেন। সম্রাট কর্তৃক অনুমোদিত একটি বিশেষ কমিশনের তত্ত্বাবধানে সর্বপ্রথম দশ ধারার আইন তৈরি করা হয়। ৪৫০ খ্রিস্টপূর্বে তখন দ্বিতীয় কমিশন গঠিত হলে আরো দুটি টেবিল যোগ করে মোট ১২ ধারার আইন প্রণীত হয়।
এই আইনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম শ্রমজীবী জনতার জন্য কিছু অধিকার এবং প্রয়োজনে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। বারো টেবিল আইনকে রোমান আইন ব্যবস্থার ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন প্রণয়নের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল রোমের শ্রেণীবৈষম্য। রোমের অভিজাত শ্রেণীর নাগরিক ব্যতীত অন্য কেউ যোগ্যতা থাকলেও ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা এর সমতুল্য পদে আসীন হতে পারতো না। তাই নিচু শ্রেণীর নেতারা বিদ্রোহ করার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু রোমের রাজনৈতিক অবকাঠামোতে সেই নেতাদের অবদান ছিল অনেক।
তাই সম্রাট সিদ্ধান্ত নিলেন, সবার জন্য আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে যেমন সমাজের সাধারণ নেতা এবং জনগণের অধিকাত বাস্তবায়িত হলো, তেমনি অভিজাত শ্রেণীর সাথে বিভিন্ন বিরোধপূর্ণ ইস্যুর সমাধান পাওয়া গেলো।
বারো টেবিল আইন তৈরি করার পূর্বে রোমের দশজন পণ্ডিত গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ভ্রমণ করেছিলেন। তারা সেখানে অবস্থানকালে গ্রিসের বিভিন্ন আইন, অনুশাসন নিয়ে গবেষণা করেন। গ্রিক সাম্রাজ্যের অধিভূক্ত বর্তমান দক্ষিণ ইতালি অঞ্চলের বিভিন্ন আইনের অনুকরণে তৈরি হয় বারো টেবিল আইন।
রোমকে প্রথম পেশাজীবী আইনজীবীদের জন্মস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়। নতুন আইন ব্যবস্থা প্রণীত হলে এরা জনগণের নিকট তা পৌঁছে দিতো সহজ ভাষায়। প্রাচীন গ্রিসে কিছু মানুষ আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য হতো। এদের কাজ ছিল আসামীদের আইনের বিভিন্ন নিয়ম শিখিয়ে দেয়া। বিচারকার্যে তাদের আর কোনো ভূমিকা ছিল না। আসামীর নিজে থেকেই মামলায় লড়াই করতে হতো।
কিন্তু রোম গ্রিক সাম্রাজ্যের এই চমৎকার কৌশলকে আরো একধাপ এগিয়ে নিলো। রোমের আসামীরা নিজেদের হয়ে মামলা লড়তেন না। বরং আইন শিখিয়ে দেয়া মানুষগুলোই ইচ্ছে করলে আসামীর হয়ে মামলা লড়তে পারতো। এভাবে শুরু হয় ওকালতি নামক একটি পেশা। উকিলদের অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের উপর ভিত্তি করে অ্যাডভোকেট, কসিদিসি (Causidici), জুরিস প্রুদেন্ত প্রভৃতি পদবী চালু হয়। আইনজীবীরা রোমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে থাকে। ফলে খুব দ্রুত পেশাটি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
কিন্তু আইনজীবী পেশাতেও দ্রুত দুর্নীতির পোকা ধরে যায়। কিছুদিন পর উকিলরা চড়ামূল্যের বেতন নেওয়া শুরু করলো। এর মাধ্যমে রোমানদের অনেকেই আইনজীবীদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেন। প্রাচীন রোমে যেকোনো মামলা দুই ভাগে পরিচালিত হতো। প্রথমে সিনেটের সামনে আসামী এবং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো একসাথে বলা হতো। তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধান্ত নিতেন মামলা পরিচালনা করবেন কি না।
মামলা চলাকালীন সময়ে যদি কোনোপক্ষ কোনো ভুল শব্দ উচ্চারণ করে কিংবা নিয়ম ভঙ্গ করে, সেক্ষেত্রে মামলার রায় তার বিরুদ্ধে দেয়ার বিধান ছিল। মামলায় শুনানি এবং উকিলদের আক্রমণ, যুক্তিখণ্ডন শেষে বিচারপতি হিসেবে একজন সিনেটর মামলায় দণ্ড প্রদান করতেন।
প্রাচীন রোমে প্রতিটি নাগরিকের পদমর্যাদা অনুযায়ী আইন ভিন্ন হতো। সাম্রাজ্যের নীতি অনুযায়ী একজন রোমান হয় নাগরিক, নাহয় মুক্ত মানুষ হিসেবে সমাজে বাস করে। এমনকি পরিবার প্রধান কিংবা সদস্যদের জন্যেও ভিন্ন আইন প্রচলিত ছিল। রোমান জনপ্রসাশন আইন অনুযায়ী শুধু একজন রোমান নাগরিকই পারবেন সাম্রাজ্যের সকল সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, প্রাচীনকালে সবাইকে নাগরিকত্ব দেয়া হতো না।
এখন যেমন জন্মগতভাবে যে কেউ একটি দেশের নাগরিক হতে পারে, পূর্বে সে নিয়ম প্রচলিত ছিল না। নাগরিকরা পদমর্যাদা অনুযায়ী সিভিস, ল্যাতিনি, পেরেগ্রিনি ইত্যাদি পদবীর অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। বিদেশিদের জন্য রোমান সাম্রাজ্য কোনো বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে বাধ্য ছিল না। রোমানরা সাম্রাজ্যের বাইরের যেকোনো ব্যক্তিকে ‘বর্বর‘ হিসেবে অভিহিত করতো।
তাছাড়া সমাকে আরেক শ্রেণীর মানুষ ছিল, যাদের জন্য বলতে গেলে কোনো আইন ছিল না। এরা হচ্ছে দাস শ্রেণীভুক্ত মানুষ। তখন দাসদের প্রভুর নির্দেশ অনুযায়ী চলতে হতো। সাধারণ মানুষ হত্যার চেয়ে দাস হত্যায় নাম মাত্র জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। রোমান আইনে দাসদের ব্যক্তিস্বত্ত্বাকে অস্বীকার করা হয়। আইনানুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে দাসদের বস্তু হিসেবে গণ্য করা হতো। তবে আইন প্রণয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ দাসদের নিয়ে আইন রাখার কথা কল্পনাও করেনি।
রোমানদের সবচেয়ে প্রিয় শাস্তির ছিল ক্রুশবিদ্ধ করা। শাস্তির কথা বলতে গিয়ে প্রিয় বিশেষণ ব্যবহার করার কারণ, রোমান শাসকগণ সুযোগ পেলেই বিদ্রোহী কিংবা ডাকাতদের ক্রুশবিদ্ধ করতো। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টকেও এরা ক্রুশবিদ্ধ করেছিল বলে তাঁর অনুসারীরা বিশ্বাস করে। একবার ক্রুশবিদ্ধ করা হলে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দোষীকে ঝুলিয়ে রাখার বিধান ছিল। মরার পর রোমের ক্ষুধার্ত শকুন এসে বসতো লাশের গায়ে।
কখনো কখনো মরার পূর্বেই শকুনের আক্রমণে চোখ হারাতো দোষীরা। এমন পাশবিক উপায়ে শাস্তি দেয়ার কারণে রোমান বিচারকদের কুখ্যাতি ছিল। তাছাড়া রোমে সামাজিক পদমর্যাদা অনুযায়ী সাজার পরিমাণ ভিন্ন হতো। দাসরা কোনো অপরাধ করলে তাদেরকে বেধরক পেটানোর বিধান ছিল। অনেক ক্ষেত্রে দাসদের মাথায় জ্বলন্ত লোহা দ্বারা বিভিন্ন চিহ্ন এঁকে দেয়া হতো।
রোমান নাগরিকদের সাধারণত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হতো না। তবে দেশদ্রোহী নাগরিকের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। সাধারণত নাগরিকদের ক্রুশবিদ্ধ করার রীতি প্রচলিত ছিল না। নাগরিকদের জরিমানা করার বিধান ছিল। চুরির অপরাধে যেকোনো ব্যক্তি তার সামাজিক পদমর্যাদা হারাতো। এমনকি তার স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি সম্রাটের আজ্ঞায় বাতিল ঘোষণা করা হতো। মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে অপরাধীকে নির্বাসনে পাঠানোর বিধি ছিল। কোনো ব্যক্তি যদি অপর আরেক ব্যক্তির সম্পদে কোনো ক্ষতিসাধন করে, সেক্ষেত্রে তাকে সমপরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হতো।
প্রাচীন রোমান শাসন নীতি এবং বারো টেবিল আইন বাতিল হয়ে গিয়েছে আজ থেকে প্রায় হাজার বছর পূর্বে। হয়তো বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোমান আইন বেশ বর্বর ছিল। কিন্তু প্রাচীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীন আইনগুলো যুগের আবর্তে পরমার্জিত হয়ে তা আধুনিক যুগের আইনে পরিণত হয়েছে। রোমান আইন ছিল যাত্রার শুরু। ধীরে ধীরে আইনের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ অধিকার ফিরে পাচ্ছে। একদিন হয়তো পৃথিবীজুড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এর জন্য প্রাচীন রোমান আইনের পরোক্ষ ভূমিকা কখনোই অস্বীকার করা যাবে না।
আপনার মতামত জানানঃ