ভারতীয় ইতিহাস হোক বা বিদেশের, সবসময় রাজাদের কৃতিত্ব এবং অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে সেই রাজাদের পাশাপাশি রানীদের অবদানও কম ছিল না।
কিছু রানী বিখ্যাত হয়েছেন সাহসিকতার জেরে, আবার কেউ কেউ সৌন্দর্যের খাতিরে। যাইহোক এই প্রতিবেদনে ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে ৫ জন সুন্দরী রানীর কথা বলা হয়েছে।
পদ্মাবতী
রাজা রাওয়াল রতন সিংকে বিয়ে করার পর রানী পদ্মাবতী ভারতীয় রানী হন, যিনি চিতোরগড় শাসন করেন। তবে পদ্মাবতী এতটাই সুন্দরী ছিলেন যে আলাউদ্দিন খলজি তাকে বন্দী করার জন্য চিতোর আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পদ্মাবতী তার আগেই আত্মহনন করেন।
সম্যুক্তা
কৌনজের কন্যা এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের স্ত্রী হলেন সম্যুক্তা, যিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমতী হওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন। তাকে তার সময়ের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারী বলা হয়। অনেক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি এতটাই সুন্দরী ছিলেন যে রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানও তার প্রতি আকৃষ্ট হন।
মীরাবাঈ
রাজস্থানের এক রাঠোর রাজপুত পরিবারে মীরাবাঈ জন্মগ্রহণ করেন। মীরাবাঈ দেখতে ছিলেন জলপরীর মতো। তিনি শৈশব থেকে ষোড়শ শতাব্দীর একজন বড় কৃষ্ণভক্ত এবং কবি। ভক্তি আন্দোলনের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রানী লক্ষ্মীবাঈ
রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের প্রকৃত নাম মণিকর্নিকা এবং ঝাঁসির মহারাজকে বিয়ে করার সময় তিনি রানী লক্ষীবাঈ নামটি পান। তিনি বারানসীর একজন ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে ছিলেন। রানী লক্ষ্মীবাঈ তার সাহসিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত হন। এমনকি তিনি ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে একজন যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
মহারানী জিজাবাই
ইনি রাজমাতা জিজাবাই নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন শিবাজীর মা, যিনি মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সর্বদা শিবাজীর জীবনের প্রতিশ্রুতবদ্ধ ছিলেন এবং একজন আদর্শ মা হিসেবে উপাসনা করতেন।
আপনার মতামত জানানঃ