রংপুরের স্বামী পরিত্যাক্তা আনিছা মায়ের ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাত। অভাবের সংসারে প্রতিদিন ভাবির খোটার মধ্যেই দুর্বিষহ জীবনযাপন করত। অভাব-অনটনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে প্রতিবেশি একজনের সঙ্গে গাজীপুরে এসে গার্মেন্টসে কাজ নেন। প্রথম দিকে কম বেতন পেলেও দীর্ঘ ১৫ বছরে এখন ভাল বেতন পান। গ্রামের বাড়িতে সেমি পাকা ঘর তুলেছেন। স্বামীর ঘর থেকে চলে আসার সময় নিয়ে আসা মেয়েকে স্কুলে লেখাপড়া করাচ্ছেন। গার্মেন্টস তার জীবন পাল্টে দিয়েছে। তবে এখন ভীতি আর আতঙ্কে পড়েছেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসলে চাকরি হারাবেন।
মো. শহিদুল ইসলাম রংপুরের এক অজপাড়াগায়ের যুবক পঞ্চম শ্রেণি পাস দেয়ার পর বাপের সংসারে অর্থের জোগান দিতে পরের বাড়িতে কাজ নেন। কিন্তু গেরস্থের স্ত্রীর ভাত বেশি খাওয়ার অভিযোগে কাজ হারান। শহিদুল রংপুরের পীরগাছার এক চরাঞ্চল থেকে সাভারে আসেন প্রতিবেশির সহায়তায়। গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে সংসারের অভাব দূর করেছেন। যে গেরস্থের বাসায় ‘ভাত বেশি খাওয়ার’ অপরাধে (!) কাজ হারিয়েছেন সেই গেরস্থের বাড়ি এখনো টিনের ঘর হলেও শহিদুল সেমিপাকা ঘর তুলেছেন। সাহানা বেগম এসএসসি পাসের পর টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারেননি।
বাবা-মা বিয়ের চেষ্টা করে পাত্র ঠিক করলেও যৌতুকের টাকা জোগার করতে না পারায় বিয়ে ভেঙে যায়। বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে অপয়া (!) মেয়ে ভর্ৎসনা পান। অপয়া দুর্নাম থেকে বাঁচতে বান্ধবীর হাত ধরে ঢাকায় এসে তেজগাঁওয়ে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেন।
এ চাকরির টাকা দিয়ে বাবা-মায়ের অভাবের সংসার টেনে তোলেন এবং বাড়িতে সেমিপাকা বিল্ডিং করেন। যৌতুকের অভাবে বিয়ে ভেঙে যাওয়া সাহানাকে যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করার জন্য ৫ গ্রামের ছেলেরা প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। কিন্তু গার্মেন্টস নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হওয়ায় সাহানার কপালে চিন্তার ভাঁজ। গার্মেন্টস বন্ধ হলে চাকরিটা বোধ হয় থাকবে না। আনিছা, শহিদুল আর সাহানার মতো গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করা লাখ লাখ ছেলে-মেয়ের দুঃশ্চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। গার্মেন্টসে তৈরি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে কাজ হারিয়ে তারা পথে বসবেন।
বিদেশে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ যে আয় করে তার ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। এটা মোট রফতানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশ। জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানির ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
অন্যদিকে, রফতানি বাজারের ৬২ দশমিক ৮৮ শতাংশই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (৪৫.৪২ শতাংশ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (১৭.৪৬ শতাংশ) মধ্যে কেন্দ্রীভূত। এ ছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যে পোশাক রফতানি হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি কার্যকরের পর বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয়ে ফ্রান্সের কারিবাম নামের একটি বায়ার (ক্রেতা) নারায়ণগঞ্জের নিট কনসার্ন গার্মেন্টসে পণ্য ক্রয়ে কোনো দেশ নিষেধাজ্ঞা দিলে পণ্য ক্রয় করবেন না এবং জাহাজিকরণ হলেও পণ্য কিনবেন না এই শর্তজুড়ে দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি ঘোষণা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টের পর তৈরি পোশাক মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছেন, একজন বিদেশি বায়ার (ফ্রান্সের কারিবাম) নতুন এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট)-তে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হলে তারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নেবে না।
যদি পণ্য চালান জাহাজে উঠার পরে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলেও তারা ওই পণ্যের জন্য পেমেন্ট করতে সক্ষম হবে না। এতে করে গোটা গার্মেন্টস সেক্টরে উদ্বেগ উৎকন্ঠা শুরু হয়। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় ২৫ শতাংশ (২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ) কমেছে। ওই দেশের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এখনো পুরোনো পোশাকের মজুত থাকায় তারা নতুন করে পোশাক রফতানির অর্ডার কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের জন্য শ্রমনীতি ঘোষণা করলেও রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
দেশটি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে গত মে মাসে ‘ভিসানীতি’ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বদলে পাতানো নির্বাচনের পথে হাঁটছে। ফলে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ দিতে পারে। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, দেশের পোশাক খাত নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পাঁয়তারা আছে।
এই সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন। গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’
জানা গেছে, এক সময়ে বাংলাদেশের মসলিন ও জামদানি ছিল সারা বিশ্বে বিখ্যাত। কিন্তু উপমহাদেশে ব্রিটিশরা এ শিল্পের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করে দেয়। অতঃপর ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার তিন দশক পর ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৯টি রফতানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানার মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। অতঃপর উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি শুরু হলে বিগত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ ঘটে।
বর্তমানে এ শিল্প ব্যাপক কলেবর বৃদ্ধি করেছে এবং লাখ লাখ মহিলা শ্রমিকের কর্মসংস্থান ঘটিয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এ খাত। এখন দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর ৭০ শতাংশ নারী। এর মধ্যে আবার ১০ লাখেরও বেশি নারী শ্রমিকের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এরা এসেছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থেকে।
বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত এবং পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন। গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং পরিবারকে সচ্ছল করে তুলেছেন। ‘মঙ্গার দেশ’ হিসেবে পরিচিত বৃহত্তর রংপুরে এখন গার্মেন্টসের কারণের মঙ্গা দূর হয়েছে। গ্রামের যে সব মেয়ের যৌতুকের কারণে বিয়ে হয় না, স্বামী পরিত্যাক্তা তারা অভিশপ্ত জীবন থেকে বাঁচতে এবং নিজেদের ভাগ্য গড়তে অল্প পয়সার গার্মেন্টস শিল্পের কর্মী হয়েছেন।
আবার অর্ধ-শিক্ষিত, পরিবারের বোঝা এবং বাউণ্ডুলে তরুণ-যুবক তারাও অন্যের হাত ধরে ঢাকা-গাজীপুরে এসে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে সারা পৃথিবীতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাতি দিয়েছে তৈরি পোশাক। বিশ্বের দেশে দেশে বড় বড় শহরগুলোর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শার্ট, পাজামা, জিন্সপ্যান্ট, জ্যাকেট, ট্রাউজার, গেঞ্জি, স্যুয়েটার, পুলওভার, ল্যাবরেটরি কোর্ট, খেলাধুলার পোশাক, শীতকালীন নানা ধরনের গরম কাপড়ের তৈরি পোশাক, নাইট ড্রেস, মেয়েদের ব্লাউজ শোভা পায়।
প্রতিটির গায়ে লেখা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বিশ্ববাজারে যথেষ্ট সমাদৃত। গত শতকের আশির দশক পর্যন্ত মোট রফতানির ৫০ শতাংশ ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য। এরপর পাটকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় পোশাক শিল্প। ১৯৮২ সালে দেশে গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা ছিল ৪৭টি। অতঃপর ১৯৮৫ সালে ৫৮৭, ১৯৯৯ সালে ২৯০০ এবং বর্তমানে কারখানা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ১৯৮৩-৮৪ সালে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (মোট রফতানি আয়ের ৩ দশমিক ৮৯ ভাগ)। কিন্তু গত দশ বছরের গড় হিসাবে মোট রফতানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসছে গার্মেন্টস খাত থেকে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ গার্মেন্টস পণ্য ক্রয় বর্জনের আলোচনায় চাকরি হারানোর ভীতিতে পড়ে গেছেন।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলে ইইউরোপীয় ইউনিয়ন একই কাজ করবে। আবার কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য একই নিষেধাজ্ঞা দেবে। এতে বিশ্বের দেশে দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্টিকারসংযুক্ত পণ্য কমে যাবে এবং দেশের গার্মেন্টস শিল্প সংকুচিত হয়ে আসবে। এতে করে গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা চাকরি হারাবে এবং সমাজে বিশঙ্খলার সৃষ্টি হবে। অনাচার, অনৈতিকতা এবং অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রফতানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ কয়েকটি দেশে। বাংলাদেশে কার্যত গার্মেন্টস সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এছাড়াও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট দিয়ে নানা পণ্য তৈরিতে আরো কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। যেসব যায়গায় গার্মেন্টস রয়েছে সে অঞ্চলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, নানা দোকান, বাসা-বাড়ি সেগুলোতেও অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলে একই পথ অনুসরণ করবে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপান। এতে করে কোটি শ্রমিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র। যদি টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানি এক সঙ্গে বিবেচনা করা হয় তাহলে আয় দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। গত বছর বাংলাদেশি রফতানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্রে ১০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি করেছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে। টেক্সটাইল ও পোশাক উভয় পণ্য মিলিয়ে ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে।
আপনার মতামত জানানঃ