ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা চলছেই। মাঝে সপ্তাহখানেকের বিরতি চললেও গত শুক্রবার থেকে হামলা আবারও শুরু হয়েছে। এছাড়া টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি এই হামলা গাজার ১০ লাখ শরণার্থীকে মিশরের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ ১০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মিসরীয় সীমান্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান সতর্ক করে দিয়েছেন। সংস্থাটি শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একথা বলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি একথা বলেন। লাজারিনিকে উদ্ধৃত করে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘যদি সেখানে (গাজা উপত্যকার দক্ষিণে) যুদ্ধ হয়, তাহলে বিপুল সংখ্যক এই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আরও দক্ষিণে এবং সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
লাজারিনি দ্য গার্ডিয়ানকে আরও বলেছেন, ‘আমাদের ১০ লাখ মানুষ আছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে ১ লাখ মানুষসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন স্থাপনায় এই ১০ লাখ মানুষ আছেন।’
আনাদোলু বলছে, ফিলিপ লাজারিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন যখন এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির পর ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরায়েল তার আগ্রাসন পুনরায় শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সাথে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আবার বোমাবর্ষণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬৫২ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আপনার মতামত জানানঃ